কোনটি সিগমন্ড ফ্রয়েডের (Sigmund Freud) তত্ত্ব?
A
Psycho-SocialTheory
B
Psycho-analytic Theory
C
Cognitive-Development Theory
D
Person-centered Theory
উত্তরের বিবরণ
সিগমন্ড ফ্রয়েডের প্রধান তত্ত্ব হলো মনোবিশ্লেষণ তত্ত্ব (Psycho-analytic Theory), যা মানব আচরণকে অচেতন মন, ব্যক্তিত্বের গঠন এবং শৈশবের অভিজ্ঞতার প্রভাবের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করে। তার গুরুত্বপূর্ণ ধারণাগুলোর মধ্যে রয়েছে সাইকোডাইনামিক তত্ত্ব, মনোযৌন বিকাশের পর্যায় এবং অবচেতন মনের ব্যাখ্যা।
-
মনোবিশ্লেষণ (Psychoanalysis): ফ্রয়েডের মূল তত্ত্ব, যা অবচেতন মন দ্বারা চালিত মানুষের আচরণ বিশ্লেষণ করে। তিনি এই পদ্ধতি তৈরি করেন এবং মানসিক অসুস্থতা নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করেন।
-
আইডি, ইগো এবং সুপারইগো: ফ্রয়েডের মতে, মানুষের ব্যক্তিত্ব তিনটি উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত।
১) আইডি (Id): সম্পূর্ণ অচেতন, যা আনন্দ নীতি (pleasure principle) অনুসরণ করে।
২) ইগো (Ego): বাস্তবতার নীতি (reality principle) অনুযায়ী কাজ করে এবং আইডি ও সুপারইগোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে।
৩) সুপারইগো (Superego): নৈতিকতা ও আদর্শের প্রতিনিধিত্ব করে এবং সচেতন ও অচেতন উভয় স্তরে কার্যকর।

0
Updated: 11 hours ago
সমস্যাগ্রস্থ ব্যক্তির অন্তর্নিহিত শক্তি বলতে বুঝানো হয়-
Created: 1 day ago
A
ব্যক্তির মূল্যবোধের বিকাশ
B
ব্যক্তির সততার বিকাশ
C
ব্যক্তির পারিপার্শ্বিক বিকাশ
D
ব্যক্তির সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ
সমাজকর্মে সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তির অন্তর্নিহিত শক্তি বলতে বোঝানো হয় সেই সকল নিজস্ব ক্ষমতা, দক্ষতা, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও মানসিক দৃঢ়তা, যা একজন ব্যক্তি নিজের সমস্যা মোকাবিলায় ব্যবহার করতে পারে। সমাজকর্মের অন্যতম মূল ধারণা হলো—প্রত্যেক মানুষের ভেতরেই কিছু না কিছু সুপ্ত সামর্থ্য ও ইতিবাচক শক্তি থাকে, যা সঠিক দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে বিকশিত করা সম্ভব।
এই অন্তর্নিহিত শক্তি ব্যক্তি সমাজকর্মের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত, কারণ সমাজকর্মের লক্ষ্য কেবল সাহায্য প্রদান নয়, বরং ব্যক্তিকে নিজের সমস্যার সমাধানে সক্ষম করে তোলা।
ব্যক্তির অন্তর্নিহিত শক্তির মূল দিকগুলো হলো—
১) ব্যক্তিগত দক্ষতা ও সামর্থ্য: যেমন আত্মবিশ্বাস, ধৈর্য, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা।
২) মানসিক ও আবেগিক দৃঢ়তা: চাপ, দুঃখ বা ব্যর্থতা মোকাবিলার মানসিক প্রস্তুতি ও ইতিবাচক মনোভাব।
৩) সামাজিক ও পারিবারিক সমর্থন: পরিবার, বন্ধু, সমাজ বা প্রতিষ্ঠানের সহায়তা, যা ব্যক্তির পুনর্গঠনে সাহায্য করে।
৪) অভ্যন্তরীণ প্রেরণা ও লক্ষ্য সচেতনতা: নিজের জীবনে পরিবর্তন আনার ইচ্ছাশক্তি ও লক্ষ্যের প্রতি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা।
৫) সম্পদ ব্যবহারের দক্ষতা: নিজের চারপাশের সহায়ক উপকরণ ও সুযোগগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর কার্যকর ব্যবহার।
সমাজকর্মী এই অন্তর্নিহিত শক্তিগুলো শনাক্ত করে ব্যক্তিকে নিজের সামর্থ্য কাজে লাগাতে উদ্বুদ্ধ করেন, যাতে সে আত্মনির্ভর ও সমাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে।

0
Updated: 1 day ago
সমাজকর্ম প্রশাসনের তিনটি (৩টি) স্তর কী কী?
Created: 11 hours ago
A
জাতীয়, জেলা ও উপজেলা
B
নিয়ন্ত্রণ, প্রচার ও সমন্বয়
C
পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন
D
বাজেট, লোকবল ও সেবা
সমাজকর্ম প্রশাসন (Social Work Administration) হলো সমাজকর্ম কার্যক্রমের পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, তত্ত্বাবধান ও মূল্যায়নের একটি সংগঠিত প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান বা কর্মসূচিগুলো দক্ষভাবে পরিচালিত হয়। সমাজকর্ম প্রশাসনের কার্যকর পরিচালনার জন্য এটি সাধারণত তিনটি মৌলিক স্তরে বিভক্ত।
সমাজকর্ম প্রশাসনের তিনটি স্তর হলো:
১) নীতি নির্ধারণ (Policy Making):
এই স্তরে সমাজকর্মের মূল লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, এবং কার্যক্রমের নীতি নির্ধারণ করা হয়। এর মাধ্যমে সমাজের প্রয়োজন ও সমস্যার ভিত্তিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা পরবর্তী কর্মপরিকল্পনার দিক নির্দেশ করে।
২) কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন (Program Planning and Implementation):
এই স্তরে নির্ধারিত নীতি ও লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি, প্রকল্প ও কার্যক্রম প্রণয়ন করা হয়। এরপর সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ, জনবল ও সংগঠনগত ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়।
৩) মূল্যায়ন ও সংশোধন (Evaluation and Modification):
এই স্তরে সমাজকর্ম কর্মসূচির কার্যকারিতা ও ফলাফল মূল্যায়ন করা হয়। প্রয়োজন অনুসারে কর্মপদ্ধতি বা নীতিতে পরিবর্তন ও সংশোধন এনে কার্যক্রমকে আরও উন্নত করা হয়।
সমাজকর্ম প্রশাসনের এই তিনটি স্তর একে অপরের পরিপূরক, যা একসাথে সমাজকল্যাণমূলক কাজকে কার্যকর, পরিকল্পিত ও টেকসই করে তোলে।
সে অনুযায়ী, অপশন “C” উত্তর হিসেবে বেশি উপযুক্ত।

0
Updated: 11 hours ago
প্রবেশন হলো-
Created: 1 day ago
A
অপরাধীকে পুনরায় সাজা দেওয়া
B
নির্দিষ্ট শর্তে জেলে রাখা
C
অর্থনৈতিক মুক্তি দেওয়া
D
নির্দিষ্ট শর্তে শাস্তি স্থগিত রেখে অপরাধীকে সমাজে পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া
প্রবেশন হলো একটি বিচারিক ও সমাজসেবামূলক পুনর্বাসন প্রক্রিয়া, যেখানে আদালত অপরাধীকে কারাদণ্ড প্রদান না করে, তাকে নির্দিষ্ট শর্ত ও তত্ত্বাবধানের অধীনে সমাজে স্বাভাবিকভাবে বসবাসের সুযোগ দেয়। এর মাধ্যমে অপরাধীকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন না করে, বরং তার আচরণ সংশোধনের সুযোগ প্রদান করা হয়, যাতে সে আইনসম্মত ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে পুনরায় সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
এই প্রক্রিয়ায় অপরাধীকে একজন প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। অফিসার তার আচরণ পর্যবেক্ষণ করেন, পরামর্শ দেন এবং তাকে পুনর্বাসনের পথে পরিচালিত করেন। অপরাধীকে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয়—যেমন অপরাধমূলক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা, নিয়মিত রিপোর্ট প্রদান করা এবং সমাজকল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণ করা।
প্রবেশনের প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো:
১) অপরাধীর মানসিক ও সামাজিক পুনর্গঠন করা।
২) সমাজে পুনঃএকীভূত করার মাধ্যমে অপরাধ প্রবণতা হ্রাস করা।
৩) কারাগারের ভিড় ও রাষ্ট্রীয় ব্যয় কমানো।
৪) অপরাধীর আত্মসম্মান রক্ষা করে তাকে ইতিবাচক জীবনযাপনে উৎসাহিত করা।
প্রবেশন মূলত প্রযোজ্য হয়:
-
লঘু অপরাধী, যারা গুরুতর অপরাধে জড়িত নয়।
-
প্রথম অপরাধী, যাদের পুনরায় অপরাধে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম।
-
অল্পবয়সী অপরাধী, যাদের মানসিক বিকাশ ও সমাজে পুনর্বাসনের সম্ভাবনা বেশি।

0
Updated: 1 day ago