১৮৩৪ সালের দারিদ্র্য আইনে অক্ষম দরিদ্রের জন্য কী ধরনের ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়েছিল?
A
আংশিক সাহায্য ব্যবস্থা চালু করা
B
শ্রমাগারে পাঠানো
C
প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা
D
বহিঃসাহায্যের ব্যবস্থা করা (Outdoor relief)
উত্তরের বিবরণ
১৮৩৪ সালের দারিদ্র্য আইন (Poor Law Amendment Act of 1834) ইংল্যান্ডে প্রণীত একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক আইন, যা পূর্ববর্তী ১৬০১ সালের এলিজাবেথীয় দরিদ্র আইনের সংস্কার হিসেবে কার্যকর হয়। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল দরিদ্র সহায়তা ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর ও সীমিত করা এবং কাজ করতে সক্ষম দরিদ্রদের মধ্যে কর্মস্পৃহা জাগিয়ে তোলা।
এই আইনে বিশেষভাবে অক্ষম দরিদ্রদের জন্য বহিঃসাহায্য (Outdoor Relief) প্রদানের ব্যবস্থা সুপারিশ করা হয়। বহিঃসাহায্য বলতে বোঝায়—যেসব দরিদ্র ব্যক্তি শারীরিকভাবে কাজ করতে অক্ষম, যেমন বৃদ্ধ, অসুস্থ, শিশু এবং বিধবা, তাদেরকে কর্মশালায় না পাঠিয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে থেকে আর্থিক বা খাদ্য সহায়তা প্রদান করা।
অন্যদিকে, যারা কর্মক্ষম দরিদ্র, তাদের জন্য কর্মশালাভিত্তিক সহায়তা বা Indoor Relief নীতি প্রয়োগ করা হয়েছিল, যাতে তারা কাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহে অভ্যস্ত হয়।
১৮৩৪ সালের দারিদ্র্য আইনের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ:
১) কাজ করতে সক্ষম দরিদ্রদের জন্য কর্মশালার ব্যবস্থা।
২) অক্ষম দরিদ্রদের জন্য বহিঃসাহায্য প্রদান।
৩) দরিদ্র তহবিল ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ জোরদার করা।
৪) দরিদ্রতা নিরসনের পরিবর্তে কর্মসংস্থানের ওপর জোর দেওয়া।
১৮৩৪ সালের দারিদ্র্য আইনে বহিঃসাহায্য ব্যবস্থা শুধু অক্ষম, বৃদ্ধ, অসুস্থ, শিশু ও বিধবাদের জন্য প্রযোজ্য ছিল, যা তৎকালীন সমাজে মানবিক সহায়তা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়।

0
Updated: 11 hours ago
সমাজকর্মে মাঠকর্ম (Field Work) বলতে বোঝায়?
Created: 13 hours ago
A
তাত্ত্বিক জ্ঞানকে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার অনুশীলন
B
তথ্য সংগ্রহকরণ
C
মাঠে কাজ করা
D
গবেষনা করা
সমাজকর্মের মাঠকর্ম (Field Work) হলো এমন একটি ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া, যেখানে শিক্ষার্থীরা সমাজকর্মের তাত্ত্বিক জ্ঞানকে বাস্তব জীবনের পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করার সুযোগ পায়। এটি সমাজকর্ম শিক্ষার একটি অপরিহার্য ও বাধ্যতামূলক অংশ, যা শিক্ষার্থীদের পেশাগত দক্ষতা, নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে বাস্তব অভিজ্ঞতা যুক্ত করে।
মাঠকর্মের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সাধারণত কোনো সমাজসেবা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা বা সম্প্রদায়ভিত্তিক প্রকল্পে কাজ করে। সেখানে তারা সমাজকর্মের নীতি, পদ্ধতি ও কৌশল বাস্তবভাবে প্রয়োগ করে শেখে।
মাঠকর্মের মূল উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব হলো:
১) তাত্ত্বিক জ্ঞানকে বাস্তবে প্রয়োগ করা: শ্রেণিকক্ষে শেখা সমাজকর্মের ধারণা, নীতি ও পদ্ধতিগুলো বাস্তব সামাজিক পরিবেশে প্রয়োগের দক্ষতা অর্জন।
২) পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি: যোগাযোগ, সমস্যা বিশ্লেষণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সমন্বয় সাধনের মতো দক্ষতা বিকাশ।
৩) মানবিক মূল্যবোধ ও পেশাগত নৈতিকতা চর্চা: সহানুভূতি, শ্রদ্ধা, গোপনীয়তা ও মানবমর্যাদার প্রতি সম্মান প্রদর্শন শেখা।
৪) বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন: সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে সরাসরি কাজ করে বাস্তব সমস্যাগুলো বোঝা ও সমাধানের উপায় শেখা।
৫) পেশাগত আত্মবিশ্বাস গঠন: ভবিষ্যৎ সমাজকর্মী হিসেবে স্বনির্ভর ও দক্ষভাবে কাজ করার মানসিক প্রস্তুতি তৈরি করা।
অতএব, সমাজকর্মের মাঠকর্ম হলো তত্ত্ব ও বাস্তবতার মধ্যে একটি সেতুবন্ধন, যা শিক্ষার্থীদের পেশাগতভাবে দক্ষ, দায়িত্বশীল ও বাস্তবভিত্তিক সমাজকর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করে।

0
Updated: 13 hours ago
দল সমাজকর্মের উপাদান নয় কোনটি?
Created: 1 day ago
A
দল সমাজকর্মী
B
দলীয় প্রক্রিয়া
C
দলের আর্থিক সামর্থ্য
D
দল সমাজকর্ম এজেন্সী
দল সমাজকর্মের মৌলিক উপাদান হলো সেই প্রধান উপাদানসমূহ, যেগুলোর সমন্বয়ে দল সমাজকর্ম কার্যকরভাবে পরিচালিত হয়। দল সমাজকর্মের উদ্দেশ্য হলো দলগত কার্যক্রমের মাধ্যমে সদস্যদের পারস্পরিক সম্পর্ক গঠন, সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং ব্যক্তিগত ও সামাজিক বিকাশে সহায়তা করা। নিচে এর চারটি মৌলিক উপাদান উল্লেখ করা হলো—
১) সামাজিক দল: এটি দল সমাজকর্মের মূল কেন্দ্রবিন্দু। একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত এই দল সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সমবায়মূলক আচরণ বিকাশে সহায়তা করে।
২) দল সমাজকর্ম প্রতিষ্ঠান: এটি হলো সেই সংগঠন বা সংস্থা যেখানে দল সমাজকর্ম কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা, সম্পদ ও কাঠামোগত সহায়তা প্রদান করে।
৩) দল সমাজকর্মী: সমাজকর্মী এখানে নির্দেশক, সহায়ক ও পরিচালকের ভূমিকা পালন করেন। তিনি দলের সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন, সম্পর্ক গঠন ও লক্ষ্য অর্জনের জন্য পেশাগত দক্ষতা প্রয়োগ করেন।
৪) দল সমাজকর্ম প্রক্রিয়া: এটি একটি ধাপে ধাপে পরিচালিত পদ্ধতি, যার মাধ্যমে দল গঠন, পরিকল্পনা, কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং ফলাফল মূল্যায়ন করা হয়।

0
Updated: 1 day ago
কুমিল্লা মডেলের উদ্ভাবক হলেন-
Created: 1 day ago
A
হেনরি ডুনান্ট
B
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইব্রাহিম
C
ড. আখতার হামিদ খান
D
ব্যাডেন পাওয়েল
কুমিল্লা মডেলের উদ্ভাবক ছিলেন আখতার হামিদ খান। তিনি ১৯৫৯ সালে কুমিল্লায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর প্রথম পরিচালক হিসেবে এই মডেলটি উদ্ভাবন করেন। কুমিল্লা মডেল বাংলাদেশের পল্লী উন্নয়নের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ধারণা হিসেবে পরিচিত।
এই মডেলের মূল লক্ষ্য ছিল—
-
তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
-
সমবায়ভিত্তিক উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণকে সংগঠিত করা।
-
কৃষি, শিক্ষা ও স্থানীয় নেতৃত্বের সমন্বয়ে একটি টেকসই পল্লী উন্নয়ন কাঠামো গঠন করা।
এই মডেল পরবর্তীতে শুধু বাংলাদেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও পল্লী উন্নয়নের একটি সফল উদাহরণ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।

0
Updated: 1 day ago