সমাজকর্মের বিশেষায়িত শাখা হলো-
A
চিকিৎসা সমাজকর্ম
B
প্রতিরোধমূলক সমাজকর্ম
C
উন্নয়নমুলক সমাজকর্ম
D
ব্যক্তি সমাজকর্ম
উত্তরের বিবরণ
সমাজকর্মের বিশেষায়িত শাখাগুলি সমাজের নির্দিষ্ট সমস্যা ও জনগোষ্ঠীর চাহিদা পূরণের জন্য কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এসব শাখার মধ্যে রয়েছে চিকিৎসা সমাজকর্ম, বিদ্যালয় সমাজকর্ম, শিল্প সমাজকর্ম, প্রবীণ সমাজকর্ম, সাইকিয়াট্রিক সমাজকর্ম ইত্যাদি।
-
চিকিৎসা সমাজকর্ম: হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে রোগীদের মানসিক, সামাজিক ও আবেগিক চাহিদা পূরণে সহায়তা প্রদান করে।
-
বিদ্যালয় সমাজকর্ম: শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা, ব্যক্তিগত সমস্যা সমাধান এবং সামাজিক বিকাশে সহায়তা করে।
-
শিল্প সমাজকর্ম: কারখানার শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা, অধিকার এবং কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করে।
-
প্রবীণ সমাজকর্ম: প্রবীণ জনগোষ্ঠীর কল্যাণ ও অধিকার নিশ্চিত করতে সমাজকর্মের জ্ঞান ও কৌশল প্রয়োগ করে।
-
সাইকিয়াট্রিক সমাজকর্ম: মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে সহায়তা প্রদান করে।

0
Updated: 11 hours ago
প্রবেশন (Probation) কার্যক্রমের জনক-
Created: 11 hours ago
A
Augusto Compte
B
John Augustus
C
John Neil
D
W.A Friedlander
প্রবেশন (Probation) কার্যক্রমের জনক হিসেবে পরিচিত জন অগাস্টাস (John Augustus), যিনি প্রথম প্রকৃত প্রবেশন অফিসার হিসেবে স্বীকৃত। তিনি ১৮২৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে প্রবেশন কার্যক্রম শুরু করেন এবং অপরাধ সংশোধন ব্যবস্থায় এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
জন অগাস্টাস পেশায় ছিলেন একজন বুট প্রস্তুতকারক (Shoemaker), তবে তিনি সমাজসেবামূলক কাজে গভীরভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি লক্ষ্য করেন যে, অনেক অপরাধী আসলে অপরাধপ্রবণ নয়, বরং পরিস্থিতির শিকার। তাই তিনি তাদের শাস্তি না দিয়ে সুযোগ ও পরামর্শের মাধ্যমে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন।
তার প্রচেষ্টায় বোস্টনের আদালত কিছু অপরাধীকে শাস্তির পরিবর্তে তার তত্ত্বাবধানে সমাজে ফিরিয়ে দেয়। তিনি ব্যক্তিগতভাবে তাদের চাকরি, নৈতিক সহায়তা ও মানসিক সমর্থন প্রদান করতেন, যাতে তারা সমাজে পুনরায় স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে।
জন অগাস্টাসের অবদান:
১) প্রবেশন ব্যবস্থাকে একটি মানবিক ও পুনর্বাসনভিত্তিক প্রক্রিয়ায় রূপ দেন।
২) অপরাধীর শাস্তির পরিবর্তে সংশোধন ও পুনর্গঠনের ধারণা প্রতিষ্ঠা করেন।
৩) আধুনিক প্রবেশন ব্যবস্থার তত্ত্ব ও প্রয়োগের ভিত্তি স্থাপন করেন।
অতএব, জন অগাস্টাসকেই প্রবেশন কার্যক্রমের প্রথম পথিকৃৎ ও প্রকৃত প্রবেশন অফিসার হিসেবে গণ্য করা হয়, যিনি সমাজে অপরাধ সংশোধনের একটি মানবিক ও কার্যকর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।

0
Updated: 11 hours ago
সমস্যাগ্রস্থ ব্যক্তির অন্তর্নিহিত শক্তি বলতে বুঝানো হয়-
Created: 1 day ago
A
ব্যক্তির মূল্যবোধের বিকাশ
B
ব্যক্তির সততার বিকাশ
C
ব্যক্তির পারিপার্শ্বিক বিকাশ
D
ব্যক্তির সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ
সমাজকর্মে সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তির অন্তর্নিহিত শক্তি বলতে বোঝানো হয় সেই সকল নিজস্ব ক্ষমতা, দক্ষতা, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও মানসিক দৃঢ়তা, যা একজন ব্যক্তি নিজের সমস্যা মোকাবিলায় ব্যবহার করতে পারে। সমাজকর্মের অন্যতম মূল ধারণা হলো—প্রত্যেক মানুষের ভেতরেই কিছু না কিছু সুপ্ত সামর্থ্য ও ইতিবাচক শক্তি থাকে, যা সঠিক দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে বিকশিত করা সম্ভব।
এই অন্তর্নিহিত শক্তি ব্যক্তি সমাজকর্মের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত, কারণ সমাজকর্মের লক্ষ্য কেবল সাহায্য প্রদান নয়, বরং ব্যক্তিকে নিজের সমস্যার সমাধানে সক্ষম করে তোলা।
ব্যক্তির অন্তর্নিহিত শক্তির মূল দিকগুলো হলো—
১) ব্যক্তিগত দক্ষতা ও সামর্থ্য: যেমন আত্মবিশ্বাস, ধৈর্য, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা।
২) মানসিক ও আবেগিক দৃঢ়তা: চাপ, দুঃখ বা ব্যর্থতা মোকাবিলার মানসিক প্রস্তুতি ও ইতিবাচক মনোভাব।
৩) সামাজিক ও পারিবারিক সমর্থন: পরিবার, বন্ধু, সমাজ বা প্রতিষ্ঠানের সহায়তা, যা ব্যক্তির পুনর্গঠনে সাহায্য করে।
৪) অভ্যন্তরীণ প্রেরণা ও লক্ষ্য সচেতনতা: নিজের জীবনে পরিবর্তন আনার ইচ্ছাশক্তি ও লক্ষ্যের প্রতি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা।
৫) সম্পদ ব্যবহারের দক্ষতা: নিজের চারপাশের সহায়ক উপকরণ ও সুযোগগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর কার্যকর ব্যবহার।
সমাজকর্মী এই অন্তর্নিহিত শক্তিগুলো শনাক্ত করে ব্যক্তিকে নিজের সামর্থ্য কাজে লাগাতে উদ্বুদ্ধ করেন, যাতে সে আত্মনির্ভর ও সমাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে।

0
Updated: 1 day ago
সমাজকর্মের মৌলিক পদ্ধতি কয়টি?
Created: 13 hours ago
A
২টি
B
৩টি
C
৪টি
D
৫টি
সমাজকর্মের মৌলিক পদ্ধতি হলো সমাজকর্মের সেই প্রধান কার্যকরী উপায়গুলো, যেগুলোর মাধ্যমে ব্যক্তি, দল এবং সমষ্টির সামাজিক সমস্যা সমাধান করা হয়। এই পদ্ধতিগুলো সমাজকর্মের মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরে মানুষের কল্যাণ ও সামাজিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।
সমাজকর্মের তিনটি মৌলিক পদ্ধতি হলো:
১) ব্যক্তি সমাজকর্ম (Social Case Work): এই পদ্ধতিতে একজন ব্যক্তি বা তার পরিবারকে সরাসরি সহায়তা প্রদান করা হয়। সমাজকর্মী ক্লায়েন্টের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও মানসিক সমস্যা বিশ্লেষণ করে তার উপযুক্ত সমাধান বের করেন। লক্ষ্য থাকে ব্যক্তিকে আত্মনির্ভর ও মানসিকভাবে সক্ষম করে তোলা।
২) দল সমাজকর্ম (Social Group Work): এখানে সমাজকর্মী একটি সামাজিক দলের সদস্যদের সঙ্গে কাজ করেন, যাতে তারা পারস্পরিক সহযোগিতা, বোঝাপড়া ও আত্মোন্নয়নের মাধ্যমে সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারে। এটি দলগত সম্পর্ক, নেতৃত্বগুণ ও সামাজিক দায়বদ্ধতা বিকাশে সাহায্য করে।
৩) সমষ্টি সমাজকর্ম (Community Organization): এই পদ্ধতিতে বৃহত্তর সম্প্রদায় বা সমাজের সমস্যাগুলোর সমাধান সমষ্টিগতভাবে করা হয়। দারিদ্র্য, বেকারত্ব, শিক্ষা, স্বাস্থ্য বা পরিবেশ সম্পর্কিত সমস্যা নিরসনে জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়ন সাধন করা হয়।

0
Updated: 13 hours ago