প্রবেশন (Probation) কার্যক্রমের জনক-
A
Augusto Compte
B
John Augustus
C
John Neil
D
W.A Friedlander
উত্তরের বিবরণ
প্রবেশন (Probation) কার্যক্রমের জনক হিসেবে পরিচিত জন অগাস্টাস (John Augustus), যিনি প্রথম প্রকৃত প্রবেশন অফিসার হিসেবে স্বীকৃত। তিনি ১৮২৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে প্রবেশন কার্যক্রম শুরু করেন এবং অপরাধ সংশোধন ব্যবস্থায় এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
জন অগাস্টাস পেশায় ছিলেন একজন বুট প্রস্তুতকারক (Shoemaker), তবে তিনি সমাজসেবামূলক কাজে গভীরভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি লক্ষ্য করেন যে, অনেক অপরাধী আসলে অপরাধপ্রবণ নয়, বরং পরিস্থিতির শিকার। তাই তিনি তাদের শাস্তি না দিয়ে সুযোগ ও পরামর্শের মাধ্যমে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন।
তার প্রচেষ্টায় বোস্টনের আদালত কিছু অপরাধীকে শাস্তির পরিবর্তে তার তত্ত্বাবধানে সমাজে ফিরিয়ে দেয়। তিনি ব্যক্তিগতভাবে তাদের চাকরি, নৈতিক সহায়তা ও মানসিক সমর্থন প্রদান করতেন, যাতে তারা সমাজে পুনরায় স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে।
জন অগাস্টাসের অবদান:
১) প্রবেশন ব্যবস্থাকে একটি মানবিক ও পুনর্বাসনভিত্তিক প্রক্রিয়ায় রূপ দেন।
২) অপরাধীর শাস্তির পরিবর্তে সংশোধন ও পুনর্গঠনের ধারণা প্রতিষ্ঠা করেন।
৩) আধুনিক প্রবেশন ব্যবস্থার তত্ত্ব ও প্রয়োগের ভিত্তি স্থাপন করেন।
অতএব, জন অগাস্টাসকেই প্রবেশন কার্যক্রমের প্রথম পথিকৃৎ ও প্রকৃত প্রবেশন অফিসার হিসেবে গণ্য করা হয়, যিনি সমাজে অপরাধ সংশোধনের একটি মানবিক ও কার্যকর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।

0
Updated: 11 hours ago
বিদ্যালয় সমাজকর্ম চালু হয় কত সালে?
Created: 1 day ago
A
১৯৬৯ সালে
B
১৯৭০ সালে
C
১৯৭৯ সালে
D
১৯৮০ সালে
বিদ্যালয় সমাজকর্মের ইতিহাস অনুযায়ী, এর সূচনা ঘটে ১৯০৬–০৭ শিক্ষাবর্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, যেখানে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যা সমাধানের জন্য সমাজকর্ম পদ্ধতি ব্যবহার শুরু হয়। পরবর্তীতে এই ধারণা অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ে এবং বিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক ও সামাজিক উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে ওঠে।
বাংলাদেশে ১৯৬৯ সালে বিদ্যালয় সমাজকর্ম কার্যক্রম চালু হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা, অনুপস্থিতি, পারিবারিক সমস্যা, এবং সামাজিক অনুকূল পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা। তবে ১৯৮৪ সালে এই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়, যদিও এর গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা আজও বিদ্যমান।
প্রশ্নে একটি অস্পষ্টতা রয়েছে, কারণ এখানে কোন দেশের বিদ্যালয় সমাজকর্মের কথা বলা হয়েছে তা নির্দিষ্ট নয়। তবে প্রদত্ত অপশনগুলো বাংলাদেশের বিদ্যালয় সমাজকর্ম চালুর প্রসঙ্গের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, তাই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে উত্তর হবে অপশন “a”।

0
Updated: 1 day ago
লাল ফিতার দৌরাত্ম্য কী?
Created: 1 day ago
A
প্রশাসনিক দীর্ঘসূত্রিতা
B
প্রশাসনিক দুর্নীতি
C
প্রশাসনিক স্থবিরতা
D
কর্মকর্তাদের অদক্ষতা
লাল ফিতার দৌরাত্ম্য (Red Tapism) হলো প্রশাসনিক ও আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থার একটি নেতিবাচক দিক, যেখানে কোনো কাজ বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আনুষ্ঠানিকতা, জটিল নিয়মকানুন ও অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব দেখা যায়। এটি মূলত সেই পরিস্থিতিকে বোঝায়, যখন সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মীরা নিয়ম ও প্রক্রিয়ার প্রতি এতটাই অন্ধভাবে অনুগত থাকে যে, কাজের গতি বাধাগ্রস্ত হয় এবং দক্ষতা নষ্ট হয়।
এই প্রক্রিয়ায় নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলো লক্ষ্য করা যায়—
১) অতিরিক্ত কাগজপত্র ও আনুষ্ঠানিকতা: প্রতিটি সিদ্ধান্ত বা অনুমোদনের জন্য অগণিত নথিপত্র ও সই-সাক্ষরের প্রয়োজন হয়।
২) অহেতুক বিলম্ব: সহজ কাজও বিভিন্ন ধাপে অনুমোদনের কারণে অপ্রয়োজনীয়ভাবে দীর্ঘ সময় নেয়।
৩) প্রশাসনিক দীর্ঘসূত্রিতা: সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব ও দায়িত্ব এড়ানোর প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
৪) আমলাতান্ত্রিক জটিলতা: কর্মকর্তারা নিয়মের ব্যাখ্যায় অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়ে বাস্তব কাজের পরিবর্তে প্রক্রিয়াকেই প্রাধান্য দেন।
৫) অর্থনৈতিক ও সময়গত ক্ষতি: এই অকার্যকর পদ্ধতির ফলে সম্পদ, সময় ও জনআস্থার অপচয় ঘটে।
লাল ফিতার দৌরাত্ম্য শব্দটি এসেছে সেই সময় থেকে, যখন সরকারি দপ্তরে নথিপত্র লাল ফিতা দিয়ে বাঁধা থাকত। সময়ের সঙ্গে এই প্রতীকটি প্রশাসনিক জটিলতা ও দেরির প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।

0
Updated: 1 day ago
কোন অবস্থা সামাজিক নিরাপত্তার জন্য বিবেচ্য নয়?
Created: 11 hours ago
A
অসুস্থতা
B
বার্ধক্য
C
বেকারত্ব
D
ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া
যখন কোনো ব্যক্তি অসুস্থতা, বেকারত্ব, বার্ধক্য, দুর্ঘটনা বা পঙ্গুত্বের মতো পরিস্থিতির কারণে নিজে বা পরিবারকে রক্ষা করতে পারে না, তখন এসব পরিস্থিতি সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় পড়ে।
সামাজিক নিরাপত্তা বলতে এমন সব নীতি ও কর্মসূচিকে বোঝায়, যা মানুষকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ঝুঁকি—যেমন অসুস্থতা, বেকারত্ব, বার্ধক্য বা দুর্ঘটনা—থেকে রক্ষা করে। এর মাধ্যমে সমাজে দারিদ্র্য, বৈষম্য ও দুর্বলতা হ্রাস পায়।
এর আওতায় সাধারণত বিভিন্ন সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকে, যেমন—
১) নগদ অর্থ প্রদান বা ভাতা।
২) চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা।
৩) দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ।
৪) অন্যান্য সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি, যা দুর্বল জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে।

0
Updated: 11 hours ago