ব্যক্তি পরিবেশ দৃষ্টিভঙ্গি (Person in Environment)কোন বিষয়ে ফোকাস করে?
A
সেবা গ্রহীতার মানসিক শক্তি ও সামর্থ্য
B
সেবা গ্রহীতার সামাজিক সম্পর্ক
C
ব্যক্তির আচরণে সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক প্রভাব
D
সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা
উত্তরের বিবরণ
ব্যক্তি-পরিবেশ দৃষ্টিভঙ্গি (Person-in-Environment Perspective) সমাজকর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা, যা একজন ব্যক্তির আচরণ, চিন্তা ও মানসিক অবস্থাকে তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সঙ্গে সম্পর্কিতভাবে বিশ্লেষণ করে। এই দৃষ্টিভঙ্গি মতে, কোনো ব্যক্তিকে শুধুমাত্র তার ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য বা মানসিক অবস্থার ভিত্তিতে নয়, বরং তার সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ভৌত পরিবেশের প্রভাবসহ সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে বুঝতে হয়।
এই দৃষ্টিভঙ্গির মূল ধারণা হলো—ব্যক্তি ও তার পরিবেশ একে অপরের সঙ্গে অবিচ্ছিন্নভাবে যুক্ত ও পারস্পরিকভাবে প্রভাবিত। অর্থাৎ, ব্যক্তি তার পরিবেশের দ্বারা প্রভাবিত হয় এবং একইসঙ্গে পরিবেশকেও প্রভাবিত করে। সমাজকর্মে এই দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োগ করে সেবা প্রদান করলে সমস্যার মূল কারণ ও সমাধান উভয়ই বাস্তবিকভাবে নির্ধারণ করা যায়।
ব্যক্তি-পরিবেশ দৃষ্টিভঙ্গির প্রধান ফোকাস ক্ষেত্রসমূহ:
১) ব্যক্তি ও পরিবেশের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া: ব্যক্তি এবং তার চারপাশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান, যা তার আচরণ ও সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলে।
২) সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক প্রভাব: ব্যক্তির চিন্তা, বিশ্বাস, অভ্যাস ও আচরণ তার পরিবার, সমাজ, পেশা এবং বসবাসের পরিবেশ দ্বারা গঠিত হয়।
৩) সামাজিক সম্পর্ক: পরিবার, বন্ধু, সহকর্মী ও প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক ব্যক্তির মানসিক অবস্থা ও আচরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৪) পারিপার্শ্বিক প্রেক্ষাপট: ব্যক্তি যে সামাজিক ও ভৌগলিক পরিবেশে বাস করে এবং কাজ করে, সেই প্রেক্ষাপটে তার সমস্যা, চাহিদা ও সম্ভাবনাকে বিশ্লেষণ করা হয়।

0
Updated: 11 hours ago
বিভারিজ রিপোর্ট অনুসারে পঞ্চদৈত্যগুলো হলো-
Created: 1 day ago
A
অজ্ঞতা, অদক্ষতা, অসচেতনতা, অবহেলা, অসমতা
B
রোগ, দুর্ভিক্ষ, অভাব, প্রতিযোগিতা, অলসতা
C
অভাব, রোগ, অদক্ষতা,নিরুৎসাহ, অলসতা
D
অভাব, রোগ, অজ্ঞতা, মলিনতা, অলসতা
অভাবযুক্ত ইংল্যান্ডের সমাজজীবনকে অর্থনীতিবিদ উইলিয়াম বিভারিজ ‘পঞ্চদৈত্য (Five Giants)’ নামে পরিচিত পাঁচটি ভয়াবহ সামাজিক সমস্যার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন, যা অক্টোপাসের মতো সমাজকে জড়িয়ে রেখেছিল। তিনি মনে করতেন, এই পাঁচটি দৈত্যই মানবসমাজের অগ্রগতির প্রধান অন্তরায় এবং সামাজিক উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিভারিজ রিপোর্ট, যা ১৯৪২ সালে প্রকাশিত একটি ব্রিটিশ সরকারি প্রতিবেদন, যুক্তরাজ্যে আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র (Welfare State) প্রতিষ্ঠার ভিত্তি স্থাপন করে। এই প্রতিবেদনে সমাজকল্যাণ, অর্থনীতি ও সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য একটি বিস্তৃত কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়।
বিভারিজের নির্ধারিত “পঞ্চদৈত্য” ছিল—
১) অভাব (Want): দারিদ্র্য ও আর্থিক অনটন দূরীকরণের আহ্বান।
২) রোগ (Disease): সবার জন্য কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার প্রস্তাব।
৩) অজ্ঞতা (Ignorance): শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করে জনগণকে জ্ঞানসমৃদ্ধ করা।
৪) মলিনতা (Squalor): বসবাসযোগ্য পরিবেশ ও উন্নত আবাসনের ব্যবস্থা করা।
৫) অলসতা (Idleness): কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকারত্ব হ্রাস করা।
বিভারিজ এই প্রতিবেদনকে ভিত্তি করে প্রস্তাব দেন একটি “দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত” (From Cradle to Grave) একীভূত সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা (Social Security System) প্রতিষ্ঠার, যাতে প্রত্যেক নাগরিক জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা পেতে পারে।
এই রিপোর্ট পরবর্তীতে ব্রিটিশ সমাজে কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের ভিত্তি স্থাপন করে এবং সমাজকর্ম ও সামাজিক নীতিনির্ধারণে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনে।

0
Updated: 1 day ago
বেগম রোকেয়া কেন বিখ্যাত?
Created: 1 day ago
A
নারী উন্নয়নের জন্য
B
নারী জাগরণের জন্য
C
বই লেখার জন্য
D
পুরুষ-বিদ্বেষের জন্য
বেগম রোকেয়া বিখ্যাত কারণ তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারীবাদী, নারী জাগরণের অগ্রদূত এবং একজন বিশিষ্ট লেখক ও সমাজকর্মী। তিনি নারী শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা ও সমাজে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তাঁর সাহিত্যকর্ম যেমন সুলতানার স্বপ্ন ও অবরোধবাসিনী নারীর মুক্তি, শিক্ষার গুরুত্ব এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান প্রকাশ করে।
তিনি সমাজে নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কাজ করেন এবং মুসলিম নারী শিক্ষার প্রসারে বেথুন স্কুলের আদলে সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন, যা তাঁর নারী জাগরণে বাস্তব অবদানের প্রমাণ।
যদিও অপশন a ও c-তে আংশিকভাবে সঠিক তথ্য রয়েছে, তবুও সম্পূর্ণ ও সঠিক উত্তর হিসেবে সবচেয়ে উপযুক্ত অপশন b।

0
Updated: 1 day ago
Rapport' শব্দটি সমাজকর্মে ব্যবহৃত হয় কী বোঝাতে-
Created: 1 day ago
A
ব্যক্তিগত মর্যাদা
B
প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব
C
অর্থগত সম্পর্ক
D
পেশাগত সম্পর্ক
সমাজকর্মে ‘Rapport’ বলতে বোঝানো হয় সমাজকর্মী এবং সাহায্যপ্রার্থীর (ক্লায়েন্ট) মধ্যে গড়ে ওঠা বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে গঠিত ঘনিষ্ঠ কিন্তু পেশাগত সম্পর্ক। এটি সমাজকর্ম প্রক্রিয়ার প্রাথমিক ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, কারণ কার্যকর সহায়তা প্রদান এবং সমস্যা সমাধানের ভিত্তি এই সম্পর্কের উপর নির্ভর করে।
এই সম্পর্কের মাধ্যমে ক্লায়েন্ট নিজের সমস্যা, অনুভূতি ও উদ্বেগ সম্পর্কে খোলামেলা ও নিরাপদভাবে কথা বলতে পারেন। অন্যদিকে, সমাজকর্মী ক্লায়েন্টের পরিস্থিতি গভীরভাবে বোঝার সুযোগ পান এবং তার প্রয়োজন অনুযায়ী উপযুক্ত সহায়তা পরিকল্পনা করতে পারেন।
‘Rapport’-এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
১) পারস্পরিক বিশ্বাস (Mutual Trust): ক্লায়েন্ট সমাজকর্মীর প্রতি আস্থা রাখেন যে তিনি তার সমস্যা গোপন রাখবেন ও সদর্থকভাবে সাহায্য করবেন।
২) শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি (Respect and Empathy): সমাজকর্মী ক্লায়েন্টের অনুভূতি, মতামত ও অভিজ্ঞতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন।
৩) বোঝাপড়া ও গ্রহণযোগ্যতা (Understanding and Acceptance): সমাজকর্মী ক্লায়েন্টকে বিচার না করে তার দৃষ্টিভঙ্গি ও অবস্থানকে বুঝতে চেষ্টা করেন।
৪) খোলামেলা যোগাযোগ (Open Communication): ক্লায়েন্ট ও সমাজকর্মীর মধ্যে আন্তরিক ও অবাধ সংলাপ স্থাপিত হয়।
৫) সহযোগিতার মনোভাব (Cooperation): উভয়েই সমস্যার সমাধানে একসাথে কাজ করেন, যা পারস্পরিক সহযোগিতা ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে ফলপ্রসূ হয়।

0
Updated: 1 day ago