বাংলাদেশে দল সমাজকর্ম প্রয়োগের উত্তম ক্ষেত্র কোনটি?
A
হাসপাতাল
B
মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র
C
ভবঘুরে কেন্দ্র
D
বিদ্যালয় ও সংশোধনাগার
উত্তরের বিবরণ
দল সমাজকর্ম (Social Group Work) হলো সমাজকর্মের এমন একটি মৌলিক পদ্ধতি, যেখানে একটি দলকে সমস্যা সমাধান ও ব্যক্তিগত উন্নয়নের একক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর মাধ্যমে দলীয় কার্যক্রম, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে সদস্যদের সামাজিক অভিযোজন, আত্মোন্নয়ন ও দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করা হয়।
এই পদ্ধতির মূল উদ্দেশ্য হলো দলীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সদস্যদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস, নেতৃত্বগুণ, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি করা, যাতে তারা ব্যক্তিগত ও সামাজিক সমস্যাগুলো কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে পারে এবং সমাজে দক্ষ ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
বাংলাদেশে দল সমাজকর্ম প্রয়োগের উত্তম ক্ষেত্রগুলো হলো:
১) সম্প্রদায়গত সংঘর্ষের সমাধান
২) সমবায় মালিকানার যথাযথ ব্যবহার
৩) জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা
৪) অপরাধী পুনর্বাসন কেন্দ্র
৫) বৃদ্ধদের সেবাকেন্দ্র
৬) প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসন কেন্দ্র
৭) কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র
৮) শিল্প প্রতিষ্ঠানে মালিক-শ্রমিক সমস্যার সমাধান
৯) অটিস্টিক শিশু সেবা কেন্দ্র
এই ক্ষেত্রগুলোতে দল সমাজকর্ম প্রয়োগের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সমঝোতা, পুনর্বাসন, দক্ষতা বিকাশ ও সামাজিক সংহতি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়।

0
Updated: 11 hours ago
প্রতিবন্ধীদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক সেবা বলতে কী বুঝায়?
Created: 11 hours ago
A
আলাদা ব্যবস্থা
B
মূল ধারার সাথে সম্পৃক্ত করা
C
ভাতা দেওয়া
D
পুনর্বাসন করা
প্রতিবন্ধীদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক সেবা (Inclusive Services for Persons with Disabilities) বলতে এমন একটি সমতাভিত্তিক ও বৈষম্যহীন সামাজিক ব্যবস্থা বোঝায়, যেখানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজের সকল ক্ষেত্রে — যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, সংস্কৃতি ও সামাজিক অংশগ্রহণে — সমান সুযোগ পায়।
এই সেবার মূল উদ্দেশ্য হলো প্রতিবন্ধীদেরকে সমাজের সক্রিয় ও উৎপাদনশীল নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা, যাতে তারা অন্যদের মতোই তাদের সম্ভাবনা অনুযায়ী অবদান রাখতে পারে। এজন্য প্রয়োজন হয় নির্দিষ্ট চাহিদা অনুযায়ী উপযোগী পরিবেশ, নীতি এবং অবকাঠামোগত সুবিধা নিশ্চিত করা।
অন্তর্ভুক্তিমূলক সেবার প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ:
১) বৈষম্যহীনতা: প্রতিবন্ধীদের প্রতি কোনো প্রকার সামাজিক, অর্থনৈতিক বা কাঠামোগত বৈষম্য না থাকা।
২) সমান সুযোগ: শিক্ষা, চাকরি, স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক অংশগ্রহণে সমান অধিকার প্রদান।
৩) অ্যাক্সেসিবিলিটি (Accessibility): পরিবহন, ভবন, যোগাযোগব্যবস্থা ও প্রযুক্তিকে প্রতিবন্ধীবান্ধব করা।
৪) সহায়ক প্রযুক্তি ও সুবিধা: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত ও শারীরিক সহায়তা নিশ্চিত করা।
৫) সামাজিক অংশগ্রহণ: সমাজের মূলধারায় প্রতিবন্ধীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করা।
অন্তর্ভুক্তিমূলক সেবা এমন একটি ব্যবস্থা, যা সমতা, মর্যাদা ও অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করে সমাজে সকলের অন্তর্ভুক্তি ঘটায়।
সে অনুযায়ী, অপশন “B” উত্তর হিসেবে বেশি এপ্রুপ্রিয়েট।

0
Updated: 11 hours ago
কোনটি সামাজিক নিরাপত্তার সাথে যুক্ত নয়-
Created: 13 hours ago
A
সামাজিক বিমা
B
সামাজিক সাহায্য
C
সমাজ সংস্কার
D
সমাজ সেবা
সমাজ সংস্কার সামাজিক নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত নয়, কারণ এটি মূলত একটি সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া যা সমাজের বিদ্যমান প্রথা ও নীতি পরিবর্তনের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। সামাজিক নিরাপত্তা হলো একটি সরকারি ব্যবস্থা যা ব্যক্তি বা পরিবারের আয় বজায় রাখতে, আয়ের উৎস ব্যাহত হলে সহায়তা করতে এবং জরুরি ব্যয়ের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। সামাজিক নিরাপত্তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে—
-
সামাজিক বীমা, যা কর্মজীবী মানুষদের আয়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করে;
-
সামাজিক সাহায্য, যা দুর্বল বা ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সহায়তা প্রদান করে;
-
সমাজসেবা, যা মানসিক, সামাজিক ও শারীরিক সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে;
-
বিভিন্ন ধরনের ভাতা, যেমন বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা এবং প্রতিবন্ধী ভাতা।
সবমিলিয়ে, সমাজ সংস্কার ব্যক্তিগত বা সরকারি সহায়তার মাধ্যমে নয়, বরং সামাজিক পরিবর্তনের দিকে মনোনিবেশ করে, যেখানে সামাজিক নিরাপত্তা সরাসরি আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করে।

0
Updated: 13 hours ago
কোন আইনটি সামাজিক নিরাপত্তার সাথে সম্পর্কযুক্ত?
Created: 13 hours ago
A
তথ্য অধিকার আইন ২০০৯
B
পরিবেশ সংরক্ষন আইন ১৯৯৫
C
শ্রমিক ক্ষতিপূরণ আইন ১৯২৩
D
যোগাযোগ আইন ২০০৬
শ্রমিক ক্ষতিপূরণ আইন, ১৯২৩ হল একটি আইন যা ব্রিটিশ শাসনামলে তৎকালীন অবিভক্ত ভারতে প্রণীত হয়েছিল এবং বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে সংশোধিত আকারে কার্যকর রয়েছে। এই আইনের মূল লক্ষ্য হলো কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা বা পেশাগত রোগে আহত বা মৃত্যুবরণকারী শ্রমিকের উপর নির্ভরশীলদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করা। আইনটি শ্রমিকদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং তাদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করে।
-
শ্রমিক ক্ষতিপূরণ আইন, ১৯২৩ সরাসরি সামাজিক নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, কারণ এটি শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে।
-
অন্যান্য আইন যেমন জনশৃঙ্খলা বা সুরক্ষামূলক আইন সামাজিক নিরাপত্তার মূলধারার বাইরে পড়ে, যা মূলত জনসাধারণের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষা করে।

0
Updated: 13 hours ago