কোন অবস্থা সামাজিক নিরাপত্তার জন্য বিবেচ্য নয়?
A
অসুস্থতা
B
বার্ধক্য
C
বেকারত্ব
D
ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া
উত্তরের বিবরণ
যখন কোনো ব্যক্তি অসুস্থতা, বেকারত্ব, বার্ধক্য, দুর্ঘটনা বা পঙ্গুত্বের মতো পরিস্থিতির কারণে নিজে বা পরিবারকে রক্ষা করতে পারে না, তখন এসব পরিস্থিতি সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় পড়ে।
সামাজিক নিরাপত্তা বলতে এমন সব নীতি ও কর্মসূচিকে বোঝায়, যা মানুষকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ঝুঁকি—যেমন অসুস্থতা, বেকারত্ব, বার্ধক্য বা দুর্ঘটনা—থেকে রক্ষা করে। এর মাধ্যমে সমাজে দারিদ্র্য, বৈষম্য ও দুর্বলতা হ্রাস পায়।
এর আওতায় সাধারণত বিভিন্ন সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকে, যেমন—
১) নগদ অর্থ প্রদান বা ভাতা।
২) চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা।
৩) দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ।
৪) অন্যান্য সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি, যা দুর্বল জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে।

0
Updated: 11 hours ago
১৮৩৪ সালের দারিদ্র্য আইনে অক্ষম দরিদ্রের জন্য কী ধরনের ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়েছিল?
Created: 11 hours ago
A
আংশিক সাহায্য ব্যবস্থা চালু করা
B
শ্রমাগারে পাঠানো
C
প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা
D
বহিঃসাহায্যের ব্যবস্থা করা (Outdoor relief)
১৮৩৪ সালের দারিদ্র্য আইন (Poor Law Amendment Act of 1834) ইংল্যান্ডে প্রণীত একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক আইন, যা পূর্ববর্তী ১৬০১ সালের এলিজাবেথীয় দরিদ্র আইনের সংস্কার হিসেবে কার্যকর হয়। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল দরিদ্র সহায়তা ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর ও সীমিত করা এবং কাজ করতে সক্ষম দরিদ্রদের মধ্যে কর্মস্পৃহা জাগিয়ে তোলা।
এই আইনে বিশেষভাবে অক্ষম দরিদ্রদের জন্য বহিঃসাহায্য (Outdoor Relief) প্রদানের ব্যবস্থা সুপারিশ করা হয়। বহিঃসাহায্য বলতে বোঝায়—যেসব দরিদ্র ব্যক্তি শারীরিকভাবে কাজ করতে অক্ষম, যেমন বৃদ্ধ, অসুস্থ, শিশু এবং বিধবা, তাদেরকে কর্মশালায় না পাঠিয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে থেকে আর্থিক বা খাদ্য সহায়তা প্রদান করা।
অন্যদিকে, যারা কর্মক্ষম দরিদ্র, তাদের জন্য কর্মশালাভিত্তিক সহায়তা বা Indoor Relief নীতি প্রয়োগ করা হয়েছিল, যাতে তারা কাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহে অভ্যস্ত হয়।
১৮৩৪ সালের দারিদ্র্য আইনের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ:
১) কাজ করতে সক্ষম দরিদ্রদের জন্য কর্মশালার ব্যবস্থা।
২) অক্ষম দরিদ্রদের জন্য বহিঃসাহায্য প্রদান।
৩) দরিদ্র তহবিল ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ জোরদার করা।
৪) দরিদ্রতা নিরসনের পরিবর্তে কর্মসংস্থানের ওপর জোর দেওয়া।
১৮৩৪ সালের দারিদ্র্য আইনে বহিঃসাহায্য ব্যবস্থা শুধু অক্ষম, বৃদ্ধ, অসুস্থ, শিশু ও বিধবাদের জন্য প্রযোজ্য ছিল, যা তৎকালীন সমাজে মানবিক সহায়তা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়।

0
Updated: 11 hours ago
দল সমাজকর্মের নীতি নয়-
Created: 11 hours ago
A
দলীয় সম্পদের সদ্ব্যবহার
B
দলীয় গতিশীলতা
C
দলের গণতান্ত্রিক আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার
D
সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ না করা
বাংলাদেশে সর্বশেষ শিশু আইন প্রণীত হয় ২০১৩ সালে, যা দেশের শিশু অধিকার সুরক্ষায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত। এই “শিশু আইন, ২০১৩” (Children Act, 2013) দ্বারা ১৯৭৪ সালের পুরনো শিশু আইন বাতিল করা হয় এবং এটি জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ (UN Convention on the Rights of the Child – CRC) অনুযায়ী প্রণীত হয়।
এই আইনের মূল উদ্দেশ্য হলো শিশুদের সুরক্ষা, উন্নয়ন, বিচার ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা এবং তাদেরকে সকল ধরনের নির্যাতন, শোষণ ও অবহেলা থেকে রক্ষা করা।
শিশু আইন ২০১৩-এর প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ:
১) শিশুর সংজ্ঞা: ১৮ বছর বয়সের নিচে যে কেউ শিশুর অন্তর্ভুক্ত।
২) শিশু আদালত স্থাপন: শিশুদের বিচার কার্যক্রম আলাদা আদালতের মাধ্যমে পরিচালিত হবে, যাতে তারা ন্যায্য বিচার পায়।
৩) শিশু কল্যাণ বোর্ড ও কর্মকর্তা: শিশু সুরক্ষা ও পুনর্বাসনের জন্য জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ব্যবস্থা।
৪) অপরাধী শিশুদের পুনর্বাসন: শাস্তির পরিবর্তে সংশোধন ও পুনর্বাসনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।
৫) শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ: মানসিক, শারীরিক ও যৌন নির্যাতন থেকে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
৬) শিশুর অধিকার নিশ্চিতকরণ: শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, বিনোদন ও নিরাপদ পরিবেশে বেড়ে ওঠার অধিকার সংরক্ষণ।
২০১৩ সালের শিশু আইন বাংলাদেশের শিশু অধিকার ও কল্যাণে একটি আধুনিক, মানবিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন আইন, যা দেশের শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করেছে।

0
Updated: 11 hours ago
সমস্যাগ্রস্থ ব্যক্তির অন্তর্নিহিত শক্তি বলতে বুঝানো হয়-
Created: 1 day ago
A
ব্যক্তির মূল্যবোধের বিকাশ
B
ব্যক্তির সততার বিকাশ
C
ব্যক্তির পারিপার্শ্বিক বিকাশ
D
ব্যক্তির সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ
সমাজকর্মে সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তির অন্তর্নিহিত শক্তি বলতে বোঝানো হয় সেই সকল নিজস্ব ক্ষমতা, দক্ষতা, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও মানসিক দৃঢ়তা, যা একজন ব্যক্তি নিজের সমস্যা মোকাবিলায় ব্যবহার করতে পারে। সমাজকর্মের অন্যতম মূল ধারণা হলো—প্রত্যেক মানুষের ভেতরেই কিছু না কিছু সুপ্ত সামর্থ্য ও ইতিবাচক শক্তি থাকে, যা সঠিক দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে বিকশিত করা সম্ভব।
এই অন্তর্নিহিত শক্তি ব্যক্তি সমাজকর্মের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত, কারণ সমাজকর্মের লক্ষ্য কেবল সাহায্য প্রদান নয়, বরং ব্যক্তিকে নিজের সমস্যার সমাধানে সক্ষম করে তোলা।
ব্যক্তির অন্তর্নিহিত শক্তির মূল দিকগুলো হলো—
১) ব্যক্তিগত দক্ষতা ও সামর্থ্য: যেমন আত্মবিশ্বাস, ধৈর্য, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা।
২) মানসিক ও আবেগিক দৃঢ়তা: চাপ, দুঃখ বা ব্যর্থতা মোকাবিলার মানসিক প্রস্তুতি ও ইতিবাচক মনোভাব।
৩) সামাজিক ও পারিবারিক সমর্থন: পরিবার, বন্ধু, সমাজ বা প্রতিষ্ঠানের সহায়তা, যা ব্যক্তির পুনর্গঠনে সাহায্য করে।
৪) অভ্যন্তরীণ প্রেরণা ও লক্ষ্য সচেতনতা: নিজের জীবনে পরিবর্তন আনার ইচ্ছাশক্তি ও লক্ষ্যের প্রতি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা।
৫) সম্পদ ব্যবহারের দক্ষতা: নিজের চারপাশের সহায়ক উপকরণ ও সুযোগগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর কার্যকর ব্যবহার।
সমাজকর্মী এই অন্তর্নিহিত শক্তিগুলো শনাক্ত করে ব্যক্তিকে নিজের সামর্থ্য কাজে লাগাতে উদ্বুদ্ধ করেন, যাতে সে আত্মনির্ভর ও সমাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে।

0
Updated: 1 day ago