'গোপনীয়তা হলো ব্যক্তি সমাজকর্মের একটি-
A
নীতি
B
দর্শন
C
কাজ
D
উপাদান
উত্তরের বিবরণ
গোপনীয়তা (Confidentiality) হলো ব্যক্তি সমাজকর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি, যা সাহায্যপ্রার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখার নৈতিক ও পেশাগত দায়িত্ব নির্দেশ করে। এই নীতি সমাজকর্মী ও সাহায্যপ্রার্থীর মধ্যে বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও নিরাপত্তার সম্পর্ক গড়ে তোলে, যা কার্যকর সহায়তা প্রদানের জন্য অপরিহার্য।
গোপনীয়তার মাধ্যমে সমাজকর্মী সাহায্যপ্রার্থীর ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয়, মানসিক অবস্থা, সমস্যা বা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার মতো সংবেদনশীল তথ্য অন্য কারো কাছে প্রকাশ করেন না—যদি না আইনি বা নৈতিক কারণবশত তা প্রয়োজন হয়।
গোপনীয়তা নীতির প্রধান উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব হলো:
১) পারস্পরিক বিশ্বাস স্থাপন: সাহায্যপ্রার্থী নিশ্চিন্ত থাকে যে তার তথ্য নিরাপদ, ফলে সে খোলামেলাভাবে নিজের সমস্যা প্রকাশ করতে পারে।
২) ব্যক্তির অধিকার সুরক্ষা: প্রত্যেক মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখার অধিকার আছে, সমাজকর্মী সেই অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকেন।
৩) নৈতিক দায়িত্ব পালনে সহায়তা: সমাজকর্মীর নৈতিক নীতি অনুসারে গোপনীয়তা বজায় রাখা তার পেশাগত সততা ও বিশ্বাসযোগ্যতার পরিচায়ক।
৪) কার্যকর সমস্যা সমাধান: আস্থার সম্পর্ক তৈরি হলে সমাজকর্মী ক্লায়েন্টের বাস্তব সমস্যা সঠিকভাবে বিশ্লেষণ ও সমাধান করতে পারেন।
অতএব, গোপনীয়তা নীতি সমাজকর্মের এমন একটি মূলভিত্তি, যা সাহায্যপ্রার্থীর প্রতি বিশ্বাস ও সম্মান বজায় রেখে পেশাগত সেবা প্রদানকে কার্যকর ও নৈতিকভাবে সুরক্ষিত করে।

0
Updated: 11 hours ago
কোনটি সিগমন্ড ফ্রয়েডের (Sigmund Freud) তত্ত্ব?
Created: 11 hours ago
A
Psycho-SocialTheory
B
Psycho-analytic Theory
C
Cognitive-Development Theory
D
Person-centered Theory
সিগমন্ড ফ্রয়েডের প্রধান তত্ত্ব হলো মনোবিশ্লেষণ তত্ত্ব (Psycho-analytic Theory), যা মানব আচরণকে অচেতন মন, ব্যক্তিত্বের গঠন এবং শৈশবের অভিজ্ঞতার প্রভাবের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করে। তার গুরুত্বপূর্ণ ধারণাগুলোর মধ্যে রয়েছে সাইকোডাইনামিক তত্ত্ব, মনোযৌন বিকাশের পর্যায় এবং অবচেতন মনের ব্যাখ্যা।
-
মনোবিশ্লেষণ (Psychoanalysis): ফ্রয়েডের মূল তত্ত্ব, যা অবচেতন মন দ্বারা চালিত মানুষের আচরণ বিশ্লেষণ করে। তিনি এই পদ্ধতি তৈরি করেন এবং মানসিক অসুস্থতা নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করেন।
-
আইডি, ইগো এবং সুপারইগো: ফ্রয়েডের মতে, মানুষের ব্যক্তিত্ব তিনটি উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত।
১) আইডি (Id): সম্পূর্ণ অচেতন, যা আনন্দ নীতি (pleasure principle) অনুসরণ করে।
২) ইগো (Ego): বাস্তবতার নীতি (reality principle) অনুযায়ী কাজ করে এবং আইডি ও সুপারইগোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে।
৩) সুপারইগো (Superego): নৈতিকতা ও আদর্শের প্রতিনিধিত্ব করে এবং সচেতন ও অচেতন উভয় স্তরে কার্যকর।

0
Updated: 11 hours ago
ব্যক্তি পরিবেশ দৃষ্টিভঙ্গি (Person in Environment)কোন বিষয়ে ফোকাস করে?
Created: 11 hours ago
A
সেবা গ্রহীতার মানসিক শক্তি ও সামর্থ্য
B
সেবা গ্রহীতার সামাজিক সম্পর্ক
C
ব্যক্তির আচরণে সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক প্রভাব
D
সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা
ব্যক্তি-পরিবেশ দৃষ্টিভঙ্গি (Person-in-Environment Perspective) সমাজকর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা, যা একজন ব্যক্তির আচরণ, চিন্তা ও মানসিক অবস্থাকে তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সঙ্গে সম্পর্কিতভাবে বিশ্লেষণ করে। এই দৃষ্টিভঙ্গি মতে, কোনো ব্যক্তিকে শুধুমাত্র তার ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য বা মানসিক অবস্থার ভিত্তিতে নয়, বরং তার সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ভৌত পরিবেশের প্রভাবসহ সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে বুঝতে হয়।
এই দৃষ্টিভঙ্গির মূল ধারণা হলো—ব্যক্তি ও তার পরিবেশ একে অপরের সঙ্গে অবিচ্ছিন্নভাবে যুক্ত ও পারস্পরিকভাবে প্রভাবিত। অর্থাৎ, ব্যক্তি তার পরিবেশের দ্বারা প্রভাবিত হয় এবং একইসঙ্গে পরিবেশকেও প্রভাবিত করে। সমাজকর্মে এই দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োগ করে সেবা প্রদান করলে সমস্যার মূল কারণ ও সমাধান উভয়ই বাস্তবিকভাবে নির্ধারণ করা যায়।
ব্যক্তি-পরিবেশ দৃষ্টিভঙ্গির প্রধান ফোকাস ক্ষেত্রসমূহ:
১) ব্যক্তি ও পরিবেশের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া: ব্যক্তি এবং তার চারপাশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান, যা তার আচরণ ও সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলে।
২) সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক প্রভাব: ব্যক্তির চিন্তা, বিশ্বাস, অভ্যাস ও আচরণ তার পরিবার, সমাজ, পেশা এবং বসবাসের পরিবেশ দ্বারা গঠিত হয়।
৩) সামাজিক সম্পর্ক: পরিবার, বন্ধু, সহকর্মী ও প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক ব্যক্তির মানসিক অবস্থা ও আচরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৪) পারিপার্শ্বিক প্রেক্ষাপট: ব্যক্তি যে সামাজিক ও ভৌগলিক পরিবেশে বাস করে এবং কাজ করে, সেই প্রেক্ষাপটে তার সমস্যা, চাহিদা ও সম্ভাবনাকে বিশ্লেষণ করা হয়।

0
Updated: 11 hours ago
সমস্যাগ্রস্থ ব্যক্তির অন্তর্নিহিত শক্তি বলতে বুঝানো হয়-
Created: 1 day ago
A
ব্যক্তির মূল্যবোধের বিকাশ
B
ব্যক্তির সততার বিকাশ
C
ব্যক্তির পারিপার্শ্বিক বিকাশ
D
ব্যক্তির সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ
সমাজকর্মে সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তির অন্তর্নিহিত শক্তি বলতে বোঝানো হয় সেই সকল নিজস্ব ক্ষমতা, দক্ষতা, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও মানসিক দৃঢ়তা, যা একজন ব্যক্তি নিজের সমস্যা মোকাবিলায় ব্যবহার করতে পারে। সমাজকর্মের অন্যতম মূল ধারণা হলো—প্রত্যেক মানুষের ভেতরেই কিছু না কিছু সুপ্ত সামর্থ্য ও ইতিবাচক শক্তি থাকে, যা সঠিক দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে বিকশিত করা সম্ভব।
এই অন্তর্নিহিত শক্তি ব্যক্তি সমাজকর্মের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত, কারণ সমাজকর্মের লক্ষ্য কেবল সাহায্য প্রদান নয়, বরং ব্যক্তিকে নিজের সমস্যার সমাধানে সক্ষম করে তোলা।
ব্যক্তির অন্তর্নিহিত শক্তির মূল দিকগুলো হলো—
১) ব্যক্তিগত দক্ষতা ও সামর্থ্য: যেমন আত্মবিশ্বাস, ধৈর্য, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা।
২) মানসিক ও আবেগিক দৃঢ়তা: চাপ, দুঃখ বা ব্যর্থতা মোকাবিলার মানসিক প্রস্তুতি ও ইতিবাচক মনোভাব।
৩) সামাজিক ও পারিবারিক সমর্থন: পরিবার, বন্ধু, সমাজ বা প্রতিষ্ঠানের সহায়তা, যা ব্যক্তির পুনর্গঠনে সাহায্য করে।
৪) অভ্যন্তরীণ প্রেরণা ও লক্ষ্য সচেতনতা: নিজের জীবনে পরিবর্তন আনার ইচ্ছাশক্তি ও লক্ষ্যের প্রতি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা।
৫) সম্পদ ব্যবহারের দক্ষতা: নিজের চারপাশের সহায়ক উপকরণ ও সুযোগগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর কার্যকর ব্যবহার।
সমাজকর্মী এই অন্তর্নিহিত শক্তিগুলো শনাক্ত করে ব্যক্তিকে নিজের সামর্থ্য কাজে লাগাতে উদ্বুদ্ধ করেন, যাতে সে আত্মনির্ভর ও সমাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে।

0
Updated: 1 day ago