গর্ভপাত বিরোধী অবস্থানের মূল যুক্তি প্রায়শই কিসের উপর ভিত্তি করে হয়?
A
মায়ের স্বাস্থ্য
B
সামাজিক স্থিতিশীলতা
C
ভ্রুনের জীবনের নৈতিক অধিকার
D
অর্থনৈতিক কারণ
উত্তরের বিবরণ
গর্ভপাতের বিপক্ষে যুক্তিগুলো সংক্ষেপে:
১. গর্ভপাত নরহত্যার শামিল:
ভ্রূণ সৃষ্টির মুহূর্ত থেকেই মানবসত্তা; তাই ভ্রূণহত্যা মানে নিরপরাধ মানব হত্যার মতোই অন্যায়।
২. গর্ভপাত মন্দ দৃষ্টান্ত:
একবার বৈধতা পেলে তা গণহত্যার প্রবণতা তৈরি করতে পারে। ইতিহাসে যেমন হিটলারের অগ্নি চেম্বার তার প্রমাণ।
৩. নারীর মানসিক ঝুঁকি:
গর্ভপাত মার উপর গভীর আবেগগত ও মানসিক চাপ সৃষ্টি করে, যা মানসিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
৪. বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে:
অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের ক্ষেত্রে শিশুকে দত্তক দেওয়া বা সেবা প্রতিষ্ঠানে রেখে দেওয়া গর্ভপাতের বিকল্প হতে পারে।

0
Updated: 12 hours ago
বুদ্ধিবাদী দার্শনিকগণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে কোন পদ্ধতি ব্যবহার করেন?
Created: 11 hours ago
A
অবরোহ পদ্ধতি
B
আরোহ পদ্ধতি
C
সংশ্লেষক পদ্ধতি
D
বিচারমূলক পদ্ধতি।
বুদ্ধিবাদী দার্শনিক রেনে ডেকার্ট মনে করেন, জ্ঞানের ভিত্তি যুক্তি ও বুদ্ধি। তাঁর মতে যেমন জ্যামিতিতে কিছু স্বতঃসিদ্ধ সূত্র (Axioms) থেকে অবরোহ পদ্ধতিতে (Deductive method) সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়, তেমনি মানব মনের মধ্যেও কিছু স্বতঃসিদ্ধ অন্তর্নিহিত ধারণা বিদ্যমান, যেগুলো থেকেই সত্যের সন্ধান সম্ভব।
মূল ধারণাসমূহ—
-
মানুষের জ্ঞান অর্জনের উৎস হলো বুদ্ধি ও যুক্তিবোধ।
-
অবরোহ পদ্ধতি ব্যবহার করে সত্যে পৌঁছানো যায়।
-
দার্শনিক সত্যও গাণিতিক সত্যের মতোই সুনিশ্চিত ও নির্ভুল বলে তিনি মনে করেন।
-
ডেকার্টের এই দৃষ্টিভঙ্গিই আধুনিক বুদ্ধিবাদের ভিত্তি স্থাপন করে।

0
Updated: 11 hours ago
জ্ঞানতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভাববাদের বিপরীত মতবাদ কোনটি?
Created: 1 day ago
A
জড়বাদ
B
বাস্তুবাদ
C
দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ
D
বাস্তববাদ
জ্ঞানতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে, ভাববাদ (Idealism)-এর বিপরীত মতবাদ হলো বাস্তববাদ (Realism)। ভাববাদ যেখানে মনে করে জ্ঞানের উৎস ও ভিত্তি হলো মন বা চেতনা, সেখানে বাস্তববাদ মনে করে জ্ঞেয় বস্তুর অস্তিত্ব মনের ওপর নির্ভরশীল নয়।
বাস্তববাদের মতে, জগতের বস্তুসমূহের একটি মন-নিরপেক্ষ বাস্তব অস্তিত্ব রয়েছে— অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি তা অনুভব করুক বা না-করুক, বস্তুটি তবুও বিদ্যমান থাকে। এই মতবাদে সত্য ও জ্ঞান নির্ধারণে বস্তুনিষ্ঠ বাস্তবতাকেই মুখ্য ধরা হয়। তাই বাস্তববাদ ভাববাদের মতো মনকেন্দ্রিক নয়; বরং এটি বস্তুকেন্দ্রিক ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক এক দার্শনিক অবস্থান।

0
Updated: 1 day ago
বোধশক্তির আকারের বিষয়ে কথা বলেন-
Created: 1 day ago
A
ডেভিড হিউম
B
রেনে ডেকার্ট
C
ইমানুয়েল কান্ট
D
হেগেল
ইমানুয়েল কান্ট, যিনি আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক, তাঁর জ্ঞানতাত্ত্বিক বিচারবাদে (Critical Philosophy) “বোধশক্তির আকার (Categories of Understanding)” বিষয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেছেন।
কান্টের মতে, জ্ঞানের উৎস দুটি— ইন্দ্রিয়ানুভূতি (Sensation) এবং বুদ্ধি বা বোধশক্তি (Understanding)। ইন্দ্রিয়ানুভূতি আমাদেরকে বাইরের জগতের উপাদান সরবরাহ করে, আর বোধশক্তি সেই উপাদানগুলোকে ধারণা ও কাঠামোর মাধ্যমে সংগঠিত করে জ্ঞানে রূপান্তরিত করে।
এই বোধশক্তির কাজ পরিচালিত হয় কিছু অন্তর্নিহিত বা পূর্বনির্ধারিত ধারণাগত কাঠামো, যেগুলোকে কান্ট “বোধশক্তির আকার” বা “Categories” বলেছেন। এগুলোর মাধ্যমেই মানুষ অভিজ্ঞতাকে গঠন ও অর্থপূর্ণ করে তোলে।
কান্ট এই আকারগুলোকে বারোটি ভাগে বিন্যস্ত করেছেন, যেমন—
-
পরিমাণ (Quantity): একতা, বহুত্ব, সামগ্রিকতা
-
গুণ (Quality): বাস্তবতা, নৈর্ব্যক্তিকতা, সীমা
-
সম্পর্ক (Relation): অন্তর্নিহিততা ও নির্ভরতা, কারণ ও ফল, পারস্পরিকতা
-
রীতি (Modality): সম্ভাবনা, অস্তিত্ব, অপরিহার্যতা
অতএব, কান্টের মতে জ্ঞান কেবল অভিজ্ঞতার ফল নয়, বরং বোধশক্তির এই অন্তর্নিহিত আকারগুলোর মাধ্যমেই অভিজ্ঞতা জ্ঞানে রূপান্তরিত হয়। তাঁর এই বিশ্লেষণই আধুনিক দর্শনে “জ্ঞানের গঠনমূলক বিচারবাদ” নামে পরিচিত।

0
Updated: 1 day ago