দ্বান্ধিক পদ্ধতির প্রবক্তা কে?
A
কাল মার্কস
B
ডারউইন
C
হেগেল
D
ম্যুর
উত্তরের বিবরণ
হেগেলের মতে, জগত ও চিন্তার বিকাশ ঘটে একটি দ্বান্দ্বিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, যার তিনটি ধাপ হলো—
-
বাদ (Thesis)
-
প্রতিবাদ (Antithesis)
-
সমন্বয় (Synthesis)
এই তিন ধাপ মিলে গঠন করে দ্বান্দ্বিক প্রক্রিয়ার ত্রয়ী (Triad)।
হেগেল মনে করেন, এ পদ্ধতি শুধু চিন্তার নয়, বরং সমগ্র জগতের পরিবর্তন ও বিকাশের নিয়ম। জড় জগৎ, ইতিহাস, নীতি, ধর্ম—সব ক্ষেত্রেই এই প্রক্রিয়ায় ক্রমোন্নয়ন ও অগ্রগতি ঘটে।
এই পদ্ধতি ইতিহাসে পরিচিত “হেগেলীয়ান দ্বান্দ্বিক” (Hegelian Dialectic) নামে।

0
Updated: 12 hours ago
'দর্শন' হিসেবে সর্ব প্রথম দর্শনের কোন শাখাটি বিবেচিত হয়?
Created: 1 day ago
A
জ্ঞানবিদ্যা
B
অধিবিদ্যা
C
মূল্যবিদ্যা
D
বিশ্বতত্ত্ব
থেলিস প্রাচীন গ্রীসের এক প্রখ্যাত দার্শনিক, যিনি দর্শনের জনক হিসেবে পরিচিত। তিনি প্রথম প্রশ্ন তোলেন— “এই জগতের আদি বা মূল সত্তা কী?” তাঁর মতে, সমগ্র জগতের মূল উপাদান বা আদিমতম সত্তা হলো “পানি”। তিনি বিশ্বাস করতেন, পৃথিবীর সবকিছুই পানির থেকেই সৃষ্টি হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত পানিতেই বিলীন হবে। এইভাবে জগতের মূল সত্তা নিয়ে অনুসন্ধানের মধ্য দিয়েই দর্শনের সূচনা হয়।
এই অনুসন্ধানই মূলত তত্ত্ববিদ্যার (Ontology) অন্তর্ভুক্ত।
তত্ত্ববিদ্যা (Ontology):
তত্ত্ববিদ্যাকে বলা হয় দর্শনের প্রাণস্পন্দন, কারণ এটি জগতের সর্বমৌলিক প্রশ্ন—“অস্তিত্ব কী?” বা “সত্তা কী?”—এর উত্তর অনুসন্ধান করে।
-
‘Ontology’ শব্দের অর্থ হলো সত্তাসম্পর্কীয় বিজ্ঞান (Science of Being)।
-
এটি মূলত অধিবিদ্যার (Metaphysics) একটি শাখা, যা জগতের প্রকৃত অস্তিত্ব, বাস্তবতার প্রকৃতি এবং সত্তার গঠন নিয়ে আলোচনা করে।
-
অ্যারিস্টটল একে বলেছেন “First Philosophy”, কারণ এটি সমস্ত জ্ঞানের ভিত্তি হিসেবে বাস্তবতার মূল রূপ নিয়ে আলোচনা করে।
তত্ত্ববিদ্যায় আলোচনা করা হয়—
-
জগতের আদি বা মৌলিক সত্তা কী,
-
বস্তু ও আত্মার সম্পর্ক কেমন,
-
বাস্তবতা এক না বহু,
-
জগতের উৎপত্তি ও পরিবর্তনের প্রকৃতি কী।
অতএব, থেলিসের পানিকে জগতের মূল সত্তা ঘোষণা করা তত্ত্ববিদ্যারই সূচনা, যেখানে দর্শন প্রথমবারের মতো অস্তিত্ব ও বাস্তবতার মৌলিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শুরু করে।

0
Updated: 1 day ago
নৈতিক প্রগতি বলতে কি বুঝায়?
Created: 22 hours ago
A
অর্থনৈতিক উন্নয়ন
B
ধর্মীয় নিয়মের প্রবতন
C
নৈতিক মানদণ্ডের অবনতি
D
সমাজকে আরও ন্যায়সঙ্গত ও মানবিক করার প্রচেষ্টা
প্রগতি হলো কোনো ভালো বা মূল্যবান লক্ষ্যকে সামনে রেখে তার দিকে অগ্রসর হওয়ার প্রবণতা। অভিজ্ঞতা ও বিচারশক্তির বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের স্বাধীনতা ও নৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। ফলে মানুষ ভালো-মন্দ ও ন্যায়-অন্যায় বিচার করে নিজের ও সমাজের মঙ্গলের পথ খুঁজে নিতে চেষ্টা করে। এই প্রচেষ্টার মাধ্যমেই ঘটে নৈতিক প্রগতি, যা সমাজকে আরও ন্যায়সংগত ও মানবিক করে তোলে।

0
Updated: 22 hours ago
হেগেলের মতে, সমগ্র জাগতিক বিবর্তন হচ্ছে-
Created: 13 hours ago
A
দ্বৈত ঘটনার একটি শৃঙ্খল
B
একটি অন্ধ প্রাণ শক্তির প্রকাশ
C
নতুন গুণের আকস্মিক উদ্ভব
D
পরম আত্মার আত্ম-উপলব্ধির প্রক্রিয়া
হেগেল ছিলেন আধুনিক যুগের একজন বিশিষ্ট কল্যাণবাদী ও পূর্ণতাবাদী দার্শনিক। তাঁর মতে, পরম ধীশক্তি বা বিশ্বচেতনা-ই হলো পরমসত্তা, যা জড়-জগত, প্রকৃতি ও মানবাত্মার মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ ও উপলব্ধি করে।
এই বিশাল বিশ্ব আসলে পরম সত্তার আত্মোপলব্ধির ফল। মানুষ হলো তার শ্রেষ্ঠ প্রকাশ, কারণ মানববুদ্ধি ও বিচারশক্তি পরমসত্তারই প্রকাশ।
মানবজাতির ইতিহাস হেগেলের দৃষ্টিতে একটি পূর্ণাঙ্গ আত্মসচেতনতার দিকে ক্রমাগত অগ্রগতি।

0
Updated: 13 hours ago