সমাজকর্মে মাঠকর্ম (Field Work) বলতে বোঝায়?
A
তাত্ত্বিক জ্ঞানকে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার অনুশীলন
B
তথ্য সংগ্রহকরণ
C
মাঠে কাজ করা
D
গবেষনা করা
উত্তরের বিবরণ
সমাজকর্মের মাঠকর্ম (Field Work) হলো এমন একটি ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া, যেখানে শিক্ষার্থীরা সমাজকর্মের তাত্ত্বিক জ্ঞানকে বাস্তব জীবনের পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করার সুযোগ পায়। এটি সমাজকর্ম শিক্ষার একটি অপরিহার্য ও বাধ্যতামূলক অংশ, যা শিক্ষার্থীদের পেশাগত দক্ষতা, নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে বাস্তব অভিজ্ঞতা যুক্ত করে।
মাঠকর্মের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সাধারণত কোনো সমাজসেবা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা বা সম্প্রদায়ভিত্তিক প্রকল্পে কাজ করে। সেখানে তারা সমাজকর্মের নীতি, পদ্ধতি ও কৌশল বাস্তবভাবে প্রয়োগ করে শেখে।
মাঠকর্মের মূল উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব হলো:
১) তাত্ত্বিক জ্ঞানকে বাস্তবে প্রয়োগ করা: শ্রেণিকক্ষে শেখা সমাজকর্মের ধারণা, নীতি ও পদ্ধতিগুলো বাস্তব সামাজিক পরিবেশে প্রয়োগের দক্ষতা অর্জন।
২) পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি: যোগাযোগ, সমস্যা বিশ্লেষণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সমন্বয় সাধনের মতো দক্ষতা বিকাশ।
৩) মানবিক মূল্যবোধ ও পেশাগত নৈতিকতা চর্চা: সহানুভূতি, শ্রদ্ধা, গোপনীয়তা ও মানবমর্যাদার প্রতি সম্মান প্রদর্শন শেখা।
৪) বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন: সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে সরাসরি কাজ করে বাস্তব সমস্যাগুলো বোঝা ও সমাধানের উপায় শেখা।
৫) পেশাগত আত্মবিশ্বাস গঠন: ভবিষ্যৎ সমাজকর্মী হিসেবে স্বনির্ভর ও দক্ষভাবে কাজ করার মানসিক প্রস্তুতি তৈরি করা।
অতএব, সমাজকর্মের মাঠকর্ম হলো তত্ত্ব ও বাস্তবতার মধ্যে একটি সেতুবন্ধন, যা শিক্ষার্থীদের পেশাগতভাবে দক্ষ, দায়িত্বশীল ও বাস্তবভিত্তিক সমাজকর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করে।

0
Updated: 13 hours ago
Laura Jane Adams কী নামে Settlement House প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
Created: 11 hours ago
A
Toynbee Hall
B
Hull House
C
Dallas House
D
City House
জেন অ্যাডামস (Jane Addams) ছিলেন একজন বিশিষ্ট সমাজকর্মী, সমাজসংস্কারক ও শান্তিকর্মী, যিনি সমাজকল্যাণমূলক কাজের ক্ষেত্রে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তিনি তার বন্ধু এলেন গেটস স্টার (Ellen Gates Starr)-এর সঙ্গে ১৮৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে ‘হাল-হাউস’ (Hull House) প্রতিষ্ঠা করেন। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম দিকের এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী সেটেলমেন্ট হাউস (Settlement House) হিসেবে পরিচিত।
হাল-হাউস প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল সমাজের দরিদ্র, শ্রমজীবী ও অভিবাসী জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি করা। এখানে স্থানীয় জনগণকে শিল্প, সাহিত্য, স্বাস্থ্যসেবা, শিশু লালনপালন, ইংরেজি ভাষা শিক্ষা, সেলাই, রান্না, এবং নাগরিক সচেতনতার প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো।
হাল-হাউসের প্রধান লক্ষ্য ও গুরুত্ব ছিল:
১) দরিদ্র ও অভিবাসীদের উন্নয়ন: সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে স্বনির্ভর ও সচেতন করে তোলা।
২) শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রসার: প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষা, সঙ্গীত, শিল্প ও সাহিত্যচর্চার সুযোগ সৃষ্টি করা।
৩) সামাজিক সংহতি বৃদ্ধি: ভিন্ন জাতি ও সংস্কৃতির মানুষের মধ্যে বোঝাপড়া ও সহযোগিতা স্থাপন করা।
৪) নারী ও শিশু উন্নয়ন: নারীদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি ও শিশুদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।
অতএব, জেন অ্যাডামসের প্রতিষ্ঠিত ‘হাল-হাউস’ সমাজকর্ম ইতিহাসে এক মাইলফলক, যা আধুনিক সমাজসেবা আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপন করে। তাঁর এই অবদানের জন্য তিনি ১৯৩১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।

0
Updated: 11 hours ago
বেগম রোকেয়া কেন বিখ্যাত?
Created: 1 day ago
A
নারী উন্নয়নের জন্য
B
নারী জাগরণের জন্য
C
বই লেখার জন্য
D
পুরুষ-বিদ্বেষের জন্য
বেগম রোকেয়া বিখ্যাত কারণ তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারীবাদী, নারী জাগরণের অগ্রদূত এবং একজন বিশিষ্ট লেখক ও সমাজকর্মী। তিনি নারী শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা ও সমাজে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তাঁর সাহিত্যকর্ম যেমন সুলতানার স্বপ্ন ও অবরোধবাসিনী নারীর মুক্তি, শিক্ষার গুরুত্ব এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান প্রকাশ করে।
তিনি সমাজে নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কাজ করেন এবং মুসলিম নারী শিক্ষার প্রসারে বেথুন স্কুলের আদলে সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন, যা তাঁর নারী জাগরণে বাস্তব অবদানের প্রমাণ।
যদিও অপশন a ও c-তে আংশিকভাবে সঠিক তথ্য রয়েছে, তবুও সম্পূর্ণ ও সঠিক উত্তর হিসেবে সবচেয়ে উপযুক্ত অপশন b।

0
Updated: 1 day ago
দল সমাজকর্মের নীতি নয়-
Created: 11 hours ago
A
দলীয় সম্পদের সদ্ব্যবহার
B
দলীয় গতিশীলতা
C
দলের গণতান্ত্রিক আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার
D
সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ না করা
বাংলাদেশে সর্বশেষ শিশু আইন প্রণীত হয় ২০১৩ সালে, যা দেশের শিশু অধিকার সুরক্ষায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত। এই “শিশু আইন, ২০১৩” (Children Act, 2013) দ্বারা ১৯৭৪ সালের পুরনো শিশু আইন বাতিল করা হয় এবং এটি জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ (UN Convention on the Rights of the Child – CRC) অনুযায়ী প্রণীত হয়।
এই আইনের মূল উদ্দেশ্য হলো শিশুদের সুরক্ষা, উন্নয়ন, বিচার ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা এবং তাদেরকে সকল ধরনের নির্যাতন, শোষণ ও অবহেলা থেকে রক্ষা করা।
শিশু আইন ২০১৩-এর প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ:
১) শিশুর সংজ্ঞা: ১৮ বছর বয়সের নিচে যে কেউ শিশুর অন্তর্ভুক্ত।
২) শিশু আদালত স্থাপন: শিশুদের বিচার কার্যক্রম আলাদা আদালতের মাধ্যমে পরিচালিত হবে, যাতে তারা ন্যায্য বিচার পায়।
৩) শিশু কল্যাণ বোর্ড ও কর্মকর্তা: শিশু সুরক্ষা ও পুনর্বাসনের জন্য জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ব্যবস্থা।
৪) অপরাধী শিশুদের পুনর্বাসন: শাস্তির পরিবর্তে সংশোধন ও পুনর্বাসনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।
৫) শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ: মানসিক, শারীরিক ও যৌন নির্যাতন থেকে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
৬) শিশুর অধিকার নিশ্চিতকরণ: শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, বিনোদন ও নিরাপদ পরিবেশে বেড়ে ওঠার অধিকার সংরক্ষণ।
২০১৩ সালের শিশু আইন বাংলাদেশের শিশু অধিকার ও কল্যাণে একটি আধুনিক, মানবিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন আইন, যা দেশের শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করেছে।

0
Updated: 11 hours ago