১৬০১ সালের দরিদ্র আইন প্রনীত হয় কোন দেশে?
A
যুক্তরাজ্য
B
যুক্তরাষ্ট্র
C
চীন
D
ভারত
উত্তরের বিবরণ
১৬০১ সালের দরিদ্র আইন (Poor Law of 1601) ইংল্যান্ডে প্রণীত হয়েছিল, যা রানী এলিজাবেথ প্রথমের শাসনামলে কার্যকর করা হয়। এটি ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য প্রথম সংগঠিত ও কাঠামোগত সামাজিক সহায়তা ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত।
এই আইনের মাধ্যমে পূর্ববর্তী বিভিন্ন দরিদ্র আইনকে একীভূত করে দরিদ্রদের সাহায্য ও পুনর্বাসনের জন্য একটি প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি করা হয়। এতে সমাজে দরিদ্রদের প্রতি দায়িত্ব রাষ্ট্রের ওপর ন্যস্ত করা হয়, যা ছিল পরবর্তী আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র (Welfare State) গঠনের ভিত্তি।
আইনের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
১) দরিদ্রদের সাহায্যের দায়িত্ব প্রতিটি প্যারিশ (Parish) বা স্থানীয় প্রশাসনের ওপর ন্যস্ত করা হয়।
২) কাজ করতে সক্ষম দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা এবং অক্ষম দরিদ্রদের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান নির্ধারিত হয়।
৩) তহবিল সংগ্রহের জন্য ‘Poor Rate’ নামে কর আরোপ করা হয়, যা দরিদ্র সহায়তা কার্যক্রমে ব্যয় করা হতো।
৪) আইনটি দরিদ্রদের মধ্যে পার্থক্য করে—অক্ষম দরিদ্র (Impotent Poor), কর্মক্ষম দরিদ্র (Able-bodied Poor) এবং অবাধ্য দরিদ্র (Idle Poor)—যাতে তাদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
অতএব, ১৬০১ সালের দরিদ্র আইন ছিল ইংল্যান্ডের সমাজকল্যাণ ইতিহাসে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ, যা পরবর্তীকালে আধুনিক সমাজসেবা ও কল্যাণ রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করে।

0
Updated: 13 hours ago
কোন দেশকে সমাজকর্মের সুতিকাগার বলা হয়?
Created: 1 day ago
A
আমেরিকা
B
কানাডা
C
যুক্তরাজ্য
D
সুইডেন
সমাজকর্মের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত ইংল্যান্ড, কারণ এই দেশেই সমাজকর্মের ধারণা, কার্যক্রম এবং পেশাগত ভিত্তি প্রথম গড়ে ওঠে ও বিকশিত হয়। সমাজকর্মের প্রাথমিক রূপ দেখা যায় ১৭তম ও ১৮তম শতাব্দীতে, যখন ইংল্যান্ডে দারিদ্র্য নিরসন ও সামাজিক সহায়তা প্রদানের জন্য বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা ও আইন প্রণীত হয়, যেমন Poor Law (১৬০১)।
ইংল্যান্ডে সমাজকর্মের বিকাশ ধীরে ধীরে একটি সাংগঠনিক ও পেশাগত রূপ লাভ করে। শিল্পবিপ্লবের পর সামাজিক বৈষম্য ও দরিদ্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সমাজে সংগঠিতভাবে মানবসেবা ও সামাজিক কল্যাণমূলক কার্যক্রমের প্রয়োজন দেখা দেয়। এই সময় Charity Organization Society (COS) এবং Settlement Movement সমাজকর্মের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
পরবর্তীতে সমাজকর্ম শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একটি পেশাগত কাঠামো লাভ করে, যা বিশ্বব্যাপী সমাজকর্মের বিস্তারের পথ প্রশস্ত করে। যদিও আমেরিকা, ফ্রান্স এবং অন্যান্য দেশেও সমাজকর্মের বিকাশ ঘটেছে, তবুও সমাজকর্ম পেশার মূল ও সাংগঠনিক ভিত্তি ইংল্যান্ডেই গড়ে ওঠে।

0
Updated: 1 day ago