সামাজিক উন্নয়নের সূচক হিসাবে অধিক গুরুত্বপূর্ণ কোনটি?
A
মানব উন্নয়ন সূচক
B
জিডিপি
C
সামরিক ব্যয়
D
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা
উত্তরের বিবরণ
মানব উন্নয়ন সূচক (HDI) হলো সামাজিক উন্নয়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সূচক, যা একটি দেশের জনগণের জীবনমান, শিক্ষা ও গড় আয়ুষ্কালের ভিত্তিতে সামগ্রিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে। এটি শুধুমাত্র অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে নয়, বরং মানুষের বাস্তব জীবনযাত্রার মান ও সুযোগের বিস্তারকেও মূল্যায়ন করে।
HDI তিনটি মূল উপাদানের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়—
১) জীবনমান (Standard of Living): প্রতি ব্যক্তির মাথাপিছু মোট জাতীয় আয় (GNI per capita)।
২) শিক্ষা (Education): গড় শিক্ষাবর্ষ (Mean Years of Schooling) ও প্রত্যাশিত শিক্ষাবর্ষ (Expected Years of Schooling)।
৩) আয়ুষ্কাল (Life Expectancy): জন্মের সময় প্রত্যাশিত গড় জীবনকাল।
এই সূচকের মাধ্যমে একটি দেশের উন্নয়নের মাত্রা বোঝা যায়—অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মানবিক দিক থেকে কতটা অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
অতএব, সামাজিক উন্নয়নের প্রকৃত চিত্র নির্ধারণে মানব উন্নয়ন সূচকই সবচেয়ে কার্যকর ও বিস্তৃত মাপকাঠি।
সে অনুযায়ী, উত্তর হিসেবে সবচেয়ে উপযুক্ত হবে অপশন “D”।

0
Updated: 13 hours ago
কোনটি ব্যক্তি সমাজকর্মের প্রয়োগ ক্ষেত্র নয়?
Created: 13 hours ago
A
হাসপাতাল
B
স্কুল
C
কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র
D
কৃষি উন্নয়ন
কৃষি উন্নয়নকে ব্যক্তি সমাজকর্মের প্রয়োগ ক্ষেত্র হিসেবে গণ্য করা হয় না, কারণ এটি সমবায় বা সমষ্টিভিত্তিক কার্যক্রম। অর্থাৎ, কৃষি উন্নয়ন এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে ব্যক্তি নয়, বরং একটি গোষ্ঠী বা সমাজের অংশগ্রহণের মাধ্যমে উন্নয়ন সাধিত হয়।
ব্যক্তি সমাজকর্মের প্রয়োগ ক্ষেত্রগুলো হলো—
-
হাসপাতাল: যেখানে রোগীর মানসিক, শারীরিক ও সামাজিক সমস্যা নিরসনে সহায়তা প্রদান করা হয়।
-
স্কুল: যেখানে শিক্ষার্থীর আচরণগত, মানসিক ও সামাজিক সমস্যার সমাধানে কাজ করা হয়।
-
কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র: যেখানে ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপথগামী কিশোরদের পুনর্বাসন ও ইতিবাচক সামাজিকীকরণে সহায়তা করা হয়।
-
মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র: যেখানে মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও মানসিক পুনর্বাসনের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়।
-
অন্যান্য সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা: যেখানে ব্যক্তি পর্যায়ে পারিবারিক, সামাজিক বা মানসিক সমস্যা সমাধানে সমাজকর্ম পরিচালিত হয়।

0
Updated: 13 hours ago
কোনটি সামাজিক গবেষনার পদ্ধতি নয়?
Created: 1 day ago
A
সাক্ষাৎকার পদ্ধতি
B
সামাজিক জরিপ পদ্ধতি
C
পরীক্ষা মূলক পদ্ধতি
D
ঐতিহাসিক পদ্ধতি
সামাজিক গবেষণার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, যার মাধ্যমে সমাজ, মানুষ ও সামাজিক ঘটনার বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করা হয়। প্রধান পদ্ধতিগুলোর মধ্যে রয়েছে গুণগত ও পরিমাণগত গবেষণা, জরিপ, কেস স্টাডি, নৃবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, পরীক্ষণ পদ্ধতি ইত্যাদি। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হলো:
১) তুলনামূলক পদ্ধতি: দুটি বা ততোধিক সমাজ বা সম্প্রদায়ের মধ্যে তুলনা করে তাদের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নির্ধারণ করা হয়। এটি সমাজের কাঠামোগত ও সাংস্কৃতিক পার্থক্য বিশ্লেষণে সহায়ক।
২) জরিপ পদ্ধতি: এটি সবচেয়ে প্রচলিত গবেষণা পদ্ধতি, যেখানে একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সাধারণত প্রশ্নপত্র বা সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে পরিসংখ্যানভিত্তিক তথ্য সংগৃহীত হয়।
৩) কেস স্টাডি (Case Study): কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি, গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান বা ঘটনার গভীর ও বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা হয়, যাতে বিষয়টির প্রকৃতি ও প্রভাব স্পষ্টভাবে বোঝা যায়।
৪) নৃবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি: গবেষক সরাসরি সমাজে মিশে গিয়ে মানুষের আচরণ, সংস্কৃতি ও জীবনধারা পর্যবেক্ষণ করেন। এটি সমাজের অন্তর্নিহিত সংস্কৃতি ও সম্পর্কের ধরন বোঝার জন্য বিশেষভাবে কার্যকর।
৫) গুণগত ও পরিমাণগত গবেষণা:
-
গুণগত গবেষণা: মানুষের আচরণ, মনোভাব, অভিজ্ঞতা ও সামাজিক ঘটনার গভীরতা বিশ্লেষণ করে।
-
পরিমাণগত গবেষণা: পরিসংখ্যান, সংখ্যা ও পরিমাপযোগ্য তথ্যের মাধ্যমে সমাজ সম্পর্কিত ধারণা তৈরি করে।
৬) পরীক্ষণ পদ্ধতি বা পরীক্ষামূলক পদ্ধতি: নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে কোনো ঘটনার কারণ ও ফলাফল নির্ধারণের জন্য পরীক্ষা পরিচালনা করা হয়।
৭) ঐতিহাসিক পদ্ধতি: অতীতের ঘটনা, দলিল ও ঐতিহাসিক নথি বিশ্লেষণ করে বর্তমান সমাজের বিকাশ ও কাঠামো বোঝা হয়।
উল্লেখ্য, সাক্ষাৎকার পদ্ধতি সামাজিক গবেষণার মূল পদ্ধতি নয়; এটি কেবল একটি তথ্য সংগ্রহের উপায় (Data Collection Method) হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
সুতরাং উত্তর হবে অপশন "a"।

0
Updated: 1 day ago
সমাজকর্ম প্রশাসনের তিনটি (৩টি) স্তর কী কী?
Created: 11 hours ago
A
জাতীয়, জেলা ও উপজেলা
B
নিয়ন্ত্রণ, প্রচার ও সমন্বয়
C
পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন
D
বাজেট, লোকবল ও সেবা
সমাজকর্ম প্রশাসন (Social Work Administration) হলো সমাজকর্ম কার্যক্রমের পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, তত্ত্বাবধান ও মূল্যায়নের একটি সংগঠিত প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান বা কর্মসূচিগুলো দক্ষভাবে পরিচালিত হয়। সমাজকর্ম প্রশাসনের কার্যকর পরিচালনার জন্য এটি সাধারণত তিনটি মৌলিক স্তরে বিভক্ত।
সমাজকর্ম প্রশাসনের তিনটি স্তর হলো:
১) নীতি নির্ধারণ (Policy Making):
এই স্তরে সমাজকর্মের মূল লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, এবং কার্যক্রমের নীতি নির্ধারণ করা হয়। এর মাধ্যমে সমাজের প্রয়োজন ও সমস্যার ভিত্তিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা পরবর্তী কর্মপরিকল্পনার দিক নির্দেশ করে।
২) কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন (Program Planning and Implementation):
এই স্তরে নির্ধারিত নীতি ও লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি, প্রকল্প ও কার্যক্রম প্রণয়ন করা হয়। এরপর সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ, জনবল ও সংগঠনগত ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়।
৩) মূল্যায়ন ও সংশোধন (Evaluation and Modification):
এই স্তরে সমাজকর্ম কর্মসূচির কার্যকারিতা ও ফলাফল মূল্যায়ন করা হয়। প্রয়োজন অনুসারে কর্মপদ্ধতি বা নীতিতে পরিবর্তন ও সংশোধন এনে কার্যক্রমকে আরও উন্নত করা হয়।
সমাজকর্ম প্রশাসনের এই তিনটি স্তর একে অপরের পরিপূরক, যা একসাথে সমাজকল্যাণমূলক কাজকে কার্যকর, পরিকল্পিত ও টেকসই করে তোলে।
সে অনুযায়ী, অপশন “C” উত্তর হিসেবে বেশি উপযুক্ত।

0
Updated: 11 hours ago