সমাজকর্মের মৌলিক পদ্ধতি কয়টি?
A
২টি
B
৩টি
C
৪টি
D
৫টি
উত্তরের বিবরণ
সমাজকর্মের মৌলিক পদ্ধতি হলো সমাজকর্মের সেই প্রধান কার্যকরী উপায়গুলো, যেগুলোর মাধ্যমে ব্যক্তি, দল এবং সমষ্টির সামাজিক সমস্যা সমাধান করা হয়। এই পদ্ধতিগুলো সমাজকর্মের মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরে মানুষের কল্যাণ ও সামাজিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।
সমাজকর্মের তিনটি মৌলিক পদ্ধতি হলো:
১) ব্যক্তি সমাজকর্ম (Social Case Work): এই পদ্ধতিতে একজন ব্যক্তি বা তার পরিবারকে সরাসরি সহায়তা প্রদান করা হয়। সমাজকর্মী ক্লায়েন্টের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও মানসিক সমস্যা বিশ্লেষণ করে তার উপযুক্ত সমাধান বের করেন। লক্ষ্য থাকে ব্যক্তিকে আত্মনির্ভর ও মানসিকভাবে সক্ষম করে তোলা।
২) দল সমাজকর্ম (Social Group Work): এখানে সমাজকর্মী একটি সামাজিক দলের সদস্যদের সঙ্গে কাজ করেন, যাতে তারা পারস্পরিক সহযোগিতা, বোঝাপড়া ও আত্মোন্নয়নের মাধ্যমে সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারে। এটি দলগত সম্পর্ক, নেতৃত্বগুণ ও সামাজিক দায়বদ্ধতা বিকাশে সাহায্য করে।
৩) সমষ্টি সমাজকর্ম (Community Organization): এই পদ্ধতিতে বৃহত্তর সম্প্রদায় বা সমাজের সমস্যাগুলোর সমাধান সমষ্টিগতভাবে করা হয়। দারিদ্র্য, বেকারত্ব, শিক্ষা, স্বাস্থ্য বা পরিবেশ সম্পর্কিত সমস্যা নিরসনে জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়ন সাধন করা হয়।

0
Updated: 13 hours ago
দল সমাজকর্মের উপাদান নয় কোনটি?
Created: 1 day ago
A
দল সমাজকর্মী
B
দলীয় প্রক্রিয়া
C
দলের আর্থিক সামর্থ্য
D
দল সমাজকর্ম এজেন্সী
দল সমাজকর্মের মৌলিক উপাদান হলো সেই প্রধান উপাদানসমূহ, যেগুলোর সমন্বয়ে দল সমাজকর্ম কার্যকরভাবে পরিচালিত হয়। দল সমাজকর্মের উদ্দেশ্য হলো দলগত কার্যক্রমের মাধ্যমে সদস্যদের পারস্পরিক সম্পর্ক গঠন, সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং ব্যক্তিগত ও সামাজিক বিকাশে সহায়তা করা। নিচে এর চারটি মৌলিক উপাদান উল্লেখ করা হলো—
১) সামাজিক দল: এটি দল সমাজকর্মের মূল কেন্দ্রবিন্দু। একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত এই দল সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সমবায়মূলক আচরণ বিকাশে সহায়তা করে।
২) দল সমাজকর্ম প্রতিষ্ঠান: এটি হলো সেই সংগঠন বা সংস্থা যেখানে দল সমাজকর্ম কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা, সম্পদ ও কাঠামোগত সহায়তা প্রদান করে।
৩) দল সমাজকর্মী: সমাজকর্মী এখানে নির্দেশক, সহায়ক ও পরিচালকের ভূমিকা পালন করেন। তিনি দলের সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন, সম্পর্ক গঠন ও লক্ষ্য অর্জনের জন্য পেশাগত দক্ষতা প্রয়োগ করেন।
৪) দল সমাজকর্ম প্রক্রিয়া: এটি একটি ধাপে ধাপে পরিচালিত পদ্ধতি, যার মাধ্যমে দল গঠন, পরিকল্পনা, কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং ফলাফল মূল্যায়ন করা হয়।

0
Updated: 1 day ago
সামাজিক গবেষনায় তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি কোনটি-
Created: 1 day ago
A
পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি
B
গুণবাচক পদ্ধতি
C
সংখ্যাবাচক পদ্ধতি
D
ম্যাট্রিক পদ্ধতি
সামাজিক গবেষণায় তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি হলো গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যার মাধ্যমে বাস্তবমুখী ও নির্ভরযোগ্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এই পদ্ধতিগুলো গবেষককে সমাজ, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর আচরণ, মনোভাব ও সামাজিক বাস্তবতা সম্পর্কে গভীর ধারণা পেতে সহায়তা করে। নিচে প্রধান তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতিগুলো উল্লেখ করা হলো:
১) সাক্ষাৎকার পদ্ধতি: গবেষক সরাসরি ব্যক্তি বা অংশগ্রহণকারীর সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করেন। এটি কাঠামোবদ্ধ, আধা-কাঠামোবদ্ধ বা মুক্ত সাক্ষাৎকার হতে পারে।
২) জরিপ বা প্রশ্নাবলী পদ্ধতি: নির্দিষ্ট প্রশ্নের একটি সেট বা প্রশ্নাবলী ব্যবহার করে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে পরিমাণগত তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
৩) পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি: গবেষক নিজে কোনো ঘটনা, কার্যকলাপ বা আচরণ সরাসরি পর্যবেক্ষণ করে তথ্য সংগ্রহ করেন। এটি প্রাকৃতিক বা নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে সম্পন্ন হতে পারে।
৪) দস্তাবেজ পদ্ধতি: বিদ্যমান নথিপত্র যেমন বই, জার্নাল, প্রতিবেদন, সংবাদপত্র বা অন্য প্রকাশনা বিশ্লেষণ করে তথ্য সংগৃহীত হয়।
উল্লেখ্য, এই পদ্ধতিগুলোই সামাজিক গবেষণার তথ্য সংগ্রহের উপায়, অন্যদিকে প্রশ্নে উল্লিখিত বাকি অপশনগুলো মূলত সামাজিক গবেষণার পদ্ধতি, তথ্য সংগ্রহের নয়।
সুতরাং উত্তর হবে অপশন "A"।

0
Updated: 1 day ago
'বাস্তবায়নের ফাঁক' কথাটি নির্দেশ করে?
Created: 11 hours ago
A
দক্ষতার অভাব
B
সঠিক তদারকি না থাকা
C
মূল্যায়ন না করা
D
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মধ্যে ব্যবধান
বাস্তবায়নের ফাঁক’ (Implementation Gap) বলতে বোঝানো হয় পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তার বাস্তব প্রয়োগের মধ্যে থাকা ব্যবধান বা অসঙ্গতি। এটি এমন একটি অবস্থা, যেখানে সরকার বা প্রতিষ্ঠান কোনো উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা তৈরি করলেও বাস্তব পর্যায়ে তা সঠিকভাবে কার্যকর হয় না। ফলে নির্ধারিত লক্ষ্য ও বাস্তব ফলাফলের মধ্যে পার্থক্য দেখা দেয়।
এই ফাঁক সৃষ্টি হওয়ার মূল কারণ হলো প্রশাসনিক অদক্ষতা, নীতিগত অসামঞ্জস্য, এবং সামাজিক বা রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতা। বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে এটি একটি সাধারণ সমস্যা।
বাস্তবায়নের ফাঁক সৃষ্টির প্রধান কারণগুলো হলো:
১) আমলাতান্ত্রিক জটিলতা: অতিরিক্ত নিয়মকানুন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে ধীরগতি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করে।
২) দুর্নীতি: তহবিলের অপব্যবহার ও স্বজনপ্রীতি উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কার্যকারিতা হ্রাস করে।
৩) পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নের অভাব: যথাযথ মনিটরিং না থাকায় প্রকল্পের অগ্রগতি সঠিকভাবে মূল্যায়িত হয় না।
৪) অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা: প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে প্রকল্প অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
৫) সামাজিক সমস্যা: দারিদ্র্য, অশিক্ষা ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে বাধা সৃষ্টি করে।

0
Updated: 11 hours ago