কোন আইনটি সামাজিক নিরাপত্তার সাথে সম্পর্কযুক্ত?
A
তথ্য অধিকার আইন ২০০৯
B
পরিবেশ সংরক্ষন আইন ১৯৯৫
C
শ্রমিক ক্ষতিপূরণ আইন ১৯২৩
D
যোগাযোগ আইন ২০০৬
উত্তরের বিবরণ
শ্রমিক ক্ষতিপূরণ আইন, ১৯২৩ হল একটি আইন যা ব্রিটিশ শাসনামলে তৎকালীন অবিভক্ত ভারতে প্রণীত হয়েছিল এবং বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে সংশোধিত আকারে কার্যকর রয়েছে। এই আইনের মূল লক্ষ্য হলো কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা বা পেশাগত রোগে আহত বা মৃত্যুবরণকারী শ্রমিকের উপর নির্ভরশীলদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করা। আইনটি শ্রমিকদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং তাদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করে।
-
শ্রমিক ক্ষতিপূরণ আইন, ১৯২৩ সরাসরি সামাজিক নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, কারণ এটি শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে।
-
অন্যান্য আইন যেমন জনশৃঙ্খলা বা সুরক্ষামূলক আইন সামাজিক নিরাপত্তার মূলধারার বাইরে পড়ে, যা মূলত জনসাধারণের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষা করে।

0
Updated: 13 hours ago
শহর সমতি উন্নয়ন (Urban Community Development) যাত্রা শুরু হয়-
Created: 11 hours ago
A
১৯৫৩ সালে
B
১৯৫৪ সালে
C
১৯৫৫ সালে
D
১৯৫৬ সালে
শহর সমষ্টি উন্নয়ন (Urban Community Development) কর্মসূচির সূচনা ঘটে ১৯৫৫ সালে, যা বাংলাদেশের সমাজকর্ম ও সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রমের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত।
এই কর্মসূচি মূলত শহুরে দারিদ্র্য, বস্তি সমস্যা, অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং সামাজিক অস্থিরতা মোকাবিলার উদ্দেশ্যে গৃহীত হয়। জাতিসংঘের সমাজকল্যাণ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সরকার একই বছরে ঢাকা আরবান কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড গঠন করে।
পরীক্ষামূলক প্রকল্প:
১৯৫৫ সালে ঢাকার কায়েতটুলী এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে শহর সমষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প (Urban Community Development Project - UCDP) চালু করা হয়। এর মাধ্যমে শহরের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, সচেতনতা সৃষ্টি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সংগঠন গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য ছিল:
১) শহরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করা।
২) বস্তিবাসীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করা।
৩) জনগণের অংশগ্রহণমূলক উন্নয়নকে উৎসাহিত করা।
৪) নগর সমাজকল্যাণ কার্যক্রমে সম্প্রদায়ভিত্তিক সংগঠন গড়ে তোলা।
১৯৫৫ সালে ঢাকার কায়েতটুলীতে শুরু হওয়া এই শহর সমষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প ছিল বাংলাদেশের শহর সমাজকর্মের প্রথম পরীক্ষামূলক প্রয়াস, যা পরবর্তীতে নগর সমাজকল্যাণ কর্মসূচির ভিত্তি স্থাপন করে

0
Updated: 11 hours ago
সমাজকর্ম পেশার ধর্ম হলো-
Created: 1 day ago
A
সক্ষমকারী ও সাহায্যকারী পেশা
B
দাতব্য পেশা
C
পরনির্ভরশীল পেশা
D
যৌগিক পেশা
সমাজকর্ম পেশার মূল ভিত্তি হলো মানবসেবা, যার মাধ্যমে ব্যক্তি, গোষ্ঠী এবং সম্প্রদায়ের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করা হয়। এই পেশার উদ্দেশ্য কেবল সাহায্য প্রদান নয়, বরং মানুষকে নিজেদের সমস্যা মোকাবিলায় সক্ষম করে তোলা। সমাজকর্ম এমন একটি সক্ষমকারী ও সাহায্যকারী পেশা, যা মানবমর্যাদা, ন্যায়বিচার ও সমান সুযোগের নীতিতে বিশ্বাস করে।
সমাজকর্মের প্রধান লক্ষ্যগুলো হলো—
-
ব্যক্তিগত ও সামাজিক সমস্যার কার্যকর সমাধান নিশ্চিত করা।
-
দুর্বল, সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার ও সুযোগ সুরক্ষা করা।
-
ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে স্বনির্ভর করে তোলা এবং সামাজিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা।
-
সমাজে সামগ্রিক কল্যাণ, সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমতা প্রতিষ্ঠা করা।
অতএব, সমাজকর্ম পেশা মানবকল্যাণমুখী এক সেবা কার্যক্রম, যার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন ও ন্যায়ভিত্তিক উন্নয়ন সাধিত হয়।

0
Updated: 1 day ago
সমাজকর্মে গ্রহণনীতিতে কে কাকে গ্রহণ করবে?
Created: 11 hours ago
A
ব্যক্তি সমাজকর্মীকে
B
সমাজকর্মী ব্যক্তিকে
C
প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিকে
D
প্রতিষ্ঠান সমাজকর্মী ও ব্যক্তিকে
সমাজকর্মের গ্রহণ নীতি (Principle of Acceptance) হলো এমন একটি মৌলিক নৈতিক নীতি, যার মাধ্যমে সমাজকর্মী প্রত্যেক সাহায্যার্থীকে আন্তরিকতা, সহানুভূতি ও শ্রদ্ধার সাথে গ্রহণ করেন। এই নীতির মূল উদ্দেশ্য হলো সাহায্যপ্রার্থীর প্রতি এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করা, যেখানে তিনি নিজেকে মূল্যবান, মর্যাদাসম্পন্ন এবং বোঝাপড়ার যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে অনুভব করেন।
গ্রহণ নীতির মূল ভিত্তি হলো—জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ বা সামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে প্রতিটি ব্যক্তিকে সম্মানের সাথে গ্রহণ করা। সমাজকর্মী কখনো সাহায্যার্থীর ভুল, দুর্বলতা বা অতীত আচরণের জন্য তাকে অবজ্ঞা করেন না; বরং সহমর্মিতার সঙ্গে তার পাশে দাঁড়ান।
গ্রহণ নীতির মূল দিকগুলো হলো:
১) অবিচারহীন দৃষ্টিভঙ্গি: সমাজকর্মী সাহায্যার্থীর প্রতি কোনো পূর্বধারণা বা পক্ষপাতিত্ব পোষণ করবেন না।
২) সম্মান ও মর্যাদার স্বীকৃতি: সাহায্যার্থীকে তার নিজস্ব ব্যক্তিত্ব, অভিজ্ঞতা ও মর্যাদা অনুযায়ী মূল্যায়ন করা।
৩) সহানুভূতিশীল মনোভাব: ক্লায়েন্টের আবেগ, কষ্ট ও অনুভূতিকে বোঝা এবং তা শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করা।
৪) বিশ্বাসভিত্তিক সম্পর্ক গঠন: আন্তরিক গ্রহণের মাধ্যমে সমাজকর্মী ও সাহায্যার্থীর মধ্যে আস্থা ও সহযোগিতার সম্পর্ক স্থাপন করা।
সমাজকর্মে গ্রহণ নীতি এমন একটি মানবিক ভিত্তি, যা সাহায্যার্থীর আত্মবিশ্বাস ও নিরাপত্তাবোধ জাগিয়ে তোলে এবং সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করে তোলে।

0
Updated: 11 hours ago