কোনটি সামাজিক নিরাপত্তার সাথে যুক্ত নয়-
A
সামাজিক বিমা
B
সামাজিক সাহায্য
C
সমাজ সংস্কার
D
সমাজ সেবা
উত্তরের বিবরণ
সমাজ সংস্কার সামাজিক নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত নয়, কারণ এটি মূলত একটি সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া যা সমাজের বিদ্যমান প্রথা ও নীতি পরিবর্তনের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। সামাজিক নিরাপত্তা হলো একটি সরকারি ব্যবস্থা যা ব্যক্তি বা পরিবারের আয় বজায় রাখতে, আয়ের উৎস ব্যাহত হলে সহায়তা করতে এবং জরুরি ব্যয়ের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। সামাজিক নিরাপত্তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে—
-
সামাজিক বীমা, যা কর্মজীবী মানুষদের আয়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করে;
-
সামাজিক সাহায্য, যা দুর্বল বা ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সহায়তা প্রদান করে;
-
সমাজসেবা, যা মানসিক, সামাজিক ও শারীরিক সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে;
-
বিভিন্ন ধরনের ভাতা, যেমন বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা এবং প্রতিবন্ধী ভাতা।
সবমিলিয়ে, সমাজ সংস্কার ব্যক্তিগত বা সরকারি সহায়তার মাধ্যমে নয়, বরং সামাজিক পরিবর্তনের দিকে মনোনিবেশ করে, যেখানে সামাজিক নিরাপত্তা সরাসরি আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করে।

0
Updated: 13 hours ago
কোন আইনটি সামাজিক নিরাপত্তার সাথে সম্পর্কযুক্ত?
Created: 13 hours ago
A
তথ্য অধিকার আইন ২০০৯
B
পরিবেশ সংরক্ষন আইন ১৯৯৫
C
শ্রমিক ক্ষতিপূরণ আইন ১৯২৩
D
যোগাযোগ আইন ২০০৬
শ্রমিক ক্ষতিপূরণ আইন, ১৯২৩ হল একটি আইন যা ব্রিটিশ শাসনামলে তৎকালীন অবিভক্ত ভারতে প্রণীত হয়েছিল এবং বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে সংশোধিত আকারে কার্যকর রয়েছে। এই আইনের মূল লক্ষ্য হলো কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা বা পেশাগত রোগে আহত বা মৃত্যুবরণকারী শ্রমিকের উপর নির্ভরশীলদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করা। আইনটি শ্রমিকদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং তাদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করে।
-
শ্রমিক ক্ষতিপূরণ আইন, ১৯২৩ সরাসরি সামাজিক নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, কারণ এটি শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে।
-
অন্যান্য আইন যেমন জনশৃঙ্খলা বা সুরক্ষামূলক আইন সামাজিক নিরাপত্তার মূলধারার বাইরে পড়ে, যা মূলত জনসাধারণের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষা করে।

0
Updated: 13 hours ago
শহর সমতি উন্নয়ন (Urban Community Development) যাত্রা শুরু হয়-
Created: 11 hours ago
A
১৯৫৩ সালে
B
১৯৫৪ সালে
C
১৯৫৫ সালে
D
১৯৫৬ সালে
শহর সমষ্টি উন্নয়ন (Urban Community Development) কর্মসূচির সূচনা ঘটে ১৯৫৫ সালে, যা বাংলাদেশের সমাজকর্ম ও সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রমের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত।
এই কর্মসূচি মূলত শহুরে দারিদ্র্য, বস্তি সমস্যা, অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং সামাজিক অস্থিরতা মোকাবিলার উদ্দেশ্যে গৃহীত হয়। জাতিসংঘের সমাজকল্যাণ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সরকার একই বছরে ঢাকা আরবান কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড গঠন করে।
পরীক্ষামূলক প্রকল্প:
১৯৫৫ সালে ঢাকার কায়েতটুলী এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে শহর সমষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প (Urban Community Development Project - UCDP) চালু করা হয়। এর মাধ্যমে শহরের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, সচেতনতা সৃষ্টি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সংগঠন গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য ছিল:
১) শহরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করা।
২) বস্তিবাসীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করা।
৩) জনগণের অংশগ্রহণমূলক উন্নয়নকে উৎসাহিত করা।
৪) নগর সমাজকল্যাণ কার্যক্রমে সম্প্রদায়ভিত্তিক সংগঠন গড়ে তোলা।
১৯৫৫ সালে ঢাকার কায়েতটুলীতে শুরু হওয়া এই শহর সমষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প ছিল বাংলাদেশের শহর সমাজকর্মের প্রথম পরীক্ষামূলক প্রয়াস, যা পরবর্তীতে নগর সমাজকল্যাণ কর্মসূচির ভিত্তি স্থাপন করে

0
Updated: 11 hours ago
'আচরণ সংশোধন' কৌশল কোন ক্ষেত্রে বেশী প্রয়োগ করা হয়?
Created: 1 day ago
A
দ্বন্দ্ব নিরসনে
B
সামাজিক নিয়ন্ত্রণে
C
আসক্তি নিরাময়ে
D
সমাজ সংস্কার আন্দোলনে
আচরণ সংশোধন (Behavior Modification) হলো এমন একটি কৌশল, যা মূলত শিক্ষা, মনোবিজ্ঞান, থেরাপি এবং সমাজকর্মে ব্যবহৃত হয় মানুষের আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে। এটি শিক্ষণ তত্ত্ব (Learning Theory), বিশেষ করে বি. এফ. স্কিনারের (B.F. Skinner) প্রবর্তিত অপারেন্ট কন্ডিশনিং (Operant Conditioning) নীতির ওপর ভিত্তি করে গঠিত। এই পদ্ধতিতে ব্যক্তির কাঙ্ক্ষিত আচরণকে উৎসাহিত করা হয় এবং অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ ধীরে ধীরে পরিবর্তনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
সমাজকর্মের ক্ষেত্রে আচরণ সংশোধন কৌশল বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি—
১) সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তির আচরণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যেমন রাগ, উদ্বেগ, হিংসা বা আত্মবিধ্বংসী প্রবণতা কমানো।
২) মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে ভূমিকা রাখে, যেমন আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি, ইতিবাচক চিন্তা ও সামাজিক মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা বিকাশ।
৩) শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে, যেখানে ইতিবাচক আচরণকে উৎসাহিত করা হয় এবং কর্মপরিবেশে শৃঙ্খলা বজায় রাখা হয়।
৪) থেরাপি ও কাউন্সেলিংয়ে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে ব্যক্তির মানসিক বা আবেগীয় সমস্যাগুলো নিরসনে।
এক্ষেত্রে আসক্তি নিরাময়ে আচরণ সংশোধনের ব্যবহার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আসক্ত ব্যক্তিদের ধীরে ধীরে মাদক বা ক্ষতিকর অভ্যাস থেকে দূরে রাখতে ইতিবাচক প্রণোদনা, পর্যবেক্ষণ এবং বিকল্প আচরণ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নতুন অভ্যাস গঠনে সহায়তা করা হয়।

0
Updated: 1 day ago