কোনটি ব্যক্তি সমাজকর্মের প্রয়োগ ক্ষেত্র নয়?
A
হাসপাতাল
B
স্কুল
C
কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র
D
কৃষি উন্নয়ন
উত্তরের বিবরণ
কৃষি উন্নয়নকে ব্যক্তি সমাজকর্মের প্রয়োগ ক্ষেত্র হিসেবে গণ্য করা হয় না, কারণ এটি সমবায় বা সমষ্টিভিত্তিক কার্যক্রম। অর্থাৎ, কৃষি উন্নয়ন এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে ব্যক্তি নয়, বরং একটি গোষ্ঠী বা সমাজের অংশগ্রহণের মাধ্যমে উন্নয়ন সাধিত হয়।
ব্যক্তি সমাজকর্মের প্রয়োগ ক্ষেত্রগুলো হলো—
-
হাসপাতাল: যেখানে রোগীর মানসিক, শারীরিক ও সামাজিক সমস্যা নিরসনে সহায়তা প্রদান করা হয়।
-
স্কুল: যেখানে শিক্ষার্থীর আচরণগত, মানসিক ও সামাজিক সমস্যার সমাধানে কাজ করা হয়।
-
কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র: যেখানে ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপথগামী কিশোরদের পুনর্বাসন ও ইতিবাচক সামাজিকীকরণে সহায়তা করা হয়।
-
মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র: যেখানে মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও মানসিক পুনর্বাসনের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়।
-
অন্যান্য সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা: যেখানে ব্যক্তি পর্যায়ে পারিবারিক, সামাজিক বা মানসিক সমস্যা সমাধানে সমাজকর্ম পরিচালিত হয়।

0
Updated: 13 hours ago
কোনটি সিগমন্ড ফ্রয়েডের (Sigmund Freud) তত্ত্ব?
Created: 11 hours ago
A
Psycho-SocialTheory
B
Psycho-analytic Theory
C
Cognitive-Development Theory
D
Person-centered Theory
সিগমন্ড ফ্রয়েডের প্রধান তত্ত্ব হলো মনোবিশ্লেষণ তত্ত্ব (Psycho-analytic Theory), যা মানব আচরণকে অচেতন মন, ব্যক্তিত্বের গঠন এবং শৈশবের অভিজ্ঞতার প্রভাবের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করে। তার গুরুত্বপূর্ণ ধারণাগুলোর মধ্যে রয়েছে সাইকোডাইনামিক তত্ত্ব, মনোযৌন বিকাশের পর্যায় এবং অবচেতন মনের ব্যাখ্যা।
-
মনোবিশ্লেষণ (Psychoanalysis): ফ্রয়েডের মূল তত্ত্ব, যা অবচেতন মন দ্বারা চালিত মানুষের আচরণ বিশ্লেষণ করে। তিনি এই পদ্ধতি তৈরি করেন এবং মানসিক অসুস্থতা নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করেন।
-
আইডি, ইগো এবং সুপারইগো: ফ্রয়েডের মতে, মানুষের ব্যক্তিত্ব তিনটি উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত।
১) আইডি (Id): সম্পূর্ণ অচেতন, যা আনন্দ নীতি (pleasure principle) অনুসরণ করে।
২) ইগো (Ego): বাস্তবতার নীতি (reality principle) অনুযায়ী কাজ করে এবং আইডি ও সুপারইগোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে।
৩) সুপারইগো (Superego): নৈতিকতা ও আদর্শের প্রতিনিধিত্ব করে এবং সচেতন ও অচেতন উভয় স্তরে কার্যকর।

0
Updated: 11 hours ago
দল সমাজকর্মের নীতি নয়-
Created: 11 hours ago
A
দলীয় সম্পদের সদ্ব্যবহার
B
দলীয় গতিশীলতা
C
দলের গণতান্ত্রিক আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার
D
সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ না করা
বাংলাদেশে সর্বশেষ শিশু আইন প্রণীত হয় ২০১৩ সালে, যা দেশের শিশু অধিকার সুরক্ষায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত। এই “শিশু আইন, ২০১৩” (Children Act, 2013) দ্বারা ১৯৭৪ সালের পুরনো শিশু আইন বাতিল করা হয় এবং এটি জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ (UN Convention on the Rights of the Child – CRC) অনুযায়ী প্রণীত হয়।
এই আইনের মূল উদ্দেশ্য হলো শিশুদের সুরক্ষা, উন্নয়ন, বিচার ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা এবং তাদেরকে সকল ধরনের নির্যাতন, শোষণ ও অবহেলা থেকে রক্ষা করা।
শিশু আইন ২০১৩-এর প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ:
১) শিশুর সংজ্ঞা: ১৮ বছর বয়সের নিচে যে কেউ শিশুর অন্তর্ভুক্ত।
২) শিশু আদালত স্থাপন: শিশুদের বিচার কার্যক্রম আলাদা আদালতের মাধ্যমে পরিচালিত হবে, যাতে তারা ন্যায্য বিচার পায়।
৩) শিশু কল্যাণ বোর্ড ও কর্মকর্তা: শিশু সুরক্ষা ও পুনর্বাসনের জন্য জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ব্যবস্থা।
৪) অপরাধী শিশুদের পুনর্বাসন: শাস্তির পরিবর্তে সংশোধন ও পুনর্বাসনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।
৫) শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ: মানসিক, শারীরিক ও যৌন নির্যাতন থেকে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
৬) শিশুর অধিকার নিশ্চিতকরণ: শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, বিনোদন ও নিরাপদ পরিবেশে বেড়ে ওঠার অধিকার সংরক্ষণ।
২০১৩ সালের শিশু আইন বাংলাদেশের শিশু অধিকার ও কল্যাণে একটি আধুনিক, মানবিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন আইন, যা দেশের শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করেছে।

0
Updated: 11 hours ago
নির্ভরতার তত্ত্বে অনুমিত ধারনা কোনটি?
Created: 1 day ago
A
উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলো উন্নত রাষ্ট্রের উপর নিরভরশীল
B
রাষ্ট্রের উন্নয়ন আন্তর্জাতিক বাজার ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল
C
রাষ্ট্রের উন্নয়ন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের নীতির উপর নির্ভরশীল
D
ব্যক্তি, সমাজ, ও রাষ্ট্র পরস্পর নির্ভরশীল
নির্ভরতা তত্ত্ব (Dependency Theory) হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ সমাজ-অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, যা অর্থনৈতিক অনুন্নয়নকে বোঝার একটি বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত। এই তত্ত্বের মূল ধারণা হলো—বিশ্বব্যাপী বিদ্যমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো এমনভাবে গঠিত, যা উন্নত দেশগুলিকে লাভবান করে এবং অনুন্নত দেশগুলিকে নির্ভরশীল অবস্থায় আবদ্ধ রাখে।
এই তত্ত্বটি প্রথম প্রস্তাব করেন আর্জেন্টিনার অর্থনীতিবিদ ও রাষ্ট্রনায়ক রাউল প্রেবিশ ১৯৫০-এর দশকের শেষের দিকে। পরবর্তীতে ১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকে এই তত্ত্বটি লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়ার অর্থনৈতিক বিশ্লেষণে বিশেষ গুরুত্ব লাভ করে।
নির্ভরতা তত্ত্বের মূল ধারণাগুলো হলো:
১) বিশ্ব অর্থনীতিতে কেন্দ্র ও প্রান্তের বিভাজন: বিশ্ব অর্থনীতি দুটি ভাগে বিভক্ত — ধনী কেন্দ্র (Core) এবং দরিদ্র প্রান্ত (Periphery)। কেন্দ্রের দেশগুলো প্রযুক্তি, শিল্প এবং মূলধন নিয়ন্ত্রণ করে, আর প্রান্তের দেশগুলো কাঁচামাল ও সস্তা শ্রম সরবরাহ করে।
২) অসাম্য বিনিময়: অনুন্নত দেশগুলো বিশ্ববাজারে সস্তা কাঁচামাল ও শ্রম বিক্রি করে, কিন্তু উন্নত দেশগুলো সেই উপকরণ ব্যবহার করে উচ্চমূল্যের প্রস্তুত পণ্য তৈরি করে আবার অনুন্নত দেশগুলোকেই বিক্রি করে।
৩) অর্থনৈতিক শোষণ ও পুঁজি হ্রাস: এই প্রক্রিয়ায় অনুন্নত দেশগুলোর মূলধন ও উৎপাদনশীল ক্ষমতা ক্রমশ হ্রাস পায়, যা তাদের স্থায়ীভাবে নির্ভরশীল অবস্থায় রাখে।
৪) উন্নয়নের সীমাবদ্ধতা: নির্ভরতা তত্ত্ব অনুযায়ী, এই বৈশ্বিক কাঠামোর মধ্যে প্রকৃত উন্নয়ন প্রায় অসম্ভব, কারণ প্রান্তের দেশগুলো সবসময় কেন্দ্রের অর্থনৈতিক স্বার্থের অধীন থাকে।
বিভিন্ন তাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গি:
-
ফার্নান্দো হেনরিক কার্ডোসো (ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি, ১৯৯৫–২০০৩) যুক্তি দেন যে, নির্ভরতার মধ্যেও কিছু মাত্রার উন্নয়ন সম্ভব, যদি দেশগুলো নিজেদের অভ্যন্তরীণ নীতি ও শিল্প উন্নয়নে মনোযোগ দেয়।
-
অন্যদিকে, আন্দ্রে গুন্ডার ফ্রাঙ্ক, একজন জার্মান-আমেরিকান অর্থনৈতিক ইতিহাসবিদ, মত দেন যে এই নির্ভরতা থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হলো অ-পুঁজিবাদী (সমাজতান্ত্রিক) অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
অতএব, নির্ভরতা তত্ত্ব বিশ্ব অর্থনীতির বৈষম্য ও অনুন্নয়নের কারণ ব্যাখ্যা করে দেখায় যে, বৈশ্বিক উন্নয়নের প্রক্রিয়া মূলত একপাক্ষিক, যেখানে উন্নত দেশগুলোর সমৃদ্ধি অনুন্নত দেশগুলোর ওপর নির্ভর করে।

0
Updated: 1 day ago