বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্ঠনির প্রধান উদ্দেশ্য-
A
বৈষম্য হ্রাস
B
মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস
C
বিদেশ নির্ভরতা কমানো
D
সামাজিক সংগঠনের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী (Social Safety Net) কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো সমাজের দারিদ্র্যপীড়িত, প্রান্তিক ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো। এই কর্মসূচির মাধ্যমে রাষ্ট্র নাগরিকদের এমন সব সহায়তা প্রদান করে, যা তাদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক হয় এবং দারিদ্র্যের চক্র থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করে।
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো—
১) দারিদ্র্য ও বৈষম্য হ্রাস করা: দরিদ্র, বিধবা, প্রবীণ, প্রতিবন্ধী ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থিক সহায়তা প্রদান করে অর্থনৈতিক বৈষম্য কমানো।
২) ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা: প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বেকারত্ব বা অক্ষমতার মতো পরিস্থিতিতে নাগরিকদের নিরাপত্তা প্রদান।
৩) জীবনমান উন্নয়ন: শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তার সুযোগ সৃষ্টি করে সমাজে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
৪) সামাজিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি: সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে মূলধারার উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা।

0
Updated: 13 hours ago
বাংলাদেশ সরকারের 'জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল পত্র'র প্রধান লক্ষ্য কী?
Created: 11 hours ago
A
গ্রামীন অর্থনীতি শক্তিশালীকরণ
B
আইন শৃঙ্খলা জোরদারকরণ
C
জীবনচক্র ভিত্তিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ
D
আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সুসংগঠিত করা
‘জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল পত্র’ (National Social Security Strategy – NSSS) হলো বাংলাদেশের একটি নীতিমালা, যার মূল দর্শন হলো জীবনচক্রভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গঠন করা। এর লক্ষ্য হলো মানুষের জীবনের প্রতিটি ধাপে—শৈশব, যৌবন, বার্ধক্য—সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং দারিদ্র্য ও বৈষম্য প্রতিরোধ ও হ্রাস করা।
এই কৌশল পত্রের মূল উদ্দেশ্য হলো সমাজের দরিদ্র, ঝুঁকিপূর্ণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করা এবং তাদের জন্য একটি সমন্বিত, কার্যকর ও টেকসই সামাজিক সুরক্ষা কাঠামো তৈরি করা।
NSSS-এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
১) জীবনচক্রভিত্তিক সুরক্ষা: জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে (শৈশব, কর্মক্ষম বয়স ও বার্ধক্য) প্রয়োজনভিত্তিক সহায়তা প্রদান।
২) অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গি: সমাজের সকল শ্রেণি, বিশেষ করে নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী, প্রবীণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষার আওতায় আনা।
৩) দারিদ্র্য ও বৈষম্য হ্রাস: সামাজিক সহায়তা, দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে টেকসই দারিদ্র্য নিরসন।
৪) সমন্বিত প্রশাসনিক কাঠামো: বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিকে একীভূত ও কার্যকর করা।
অতএব, জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল পত্রের (NSSS) মূল দর্শন হলো এমন একটি সমন্বিত, জীবনচক্রভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গঠন করা, যা সমাজে ন্যায়, সমতা ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করে।

0
Updated: 11 hours ago