গ্রামীন সমাজসেবা (Rural Social Service) কত সালে শুরু হয়?
A
১৯৬৪ সালে
B
১৯৬৫ সালে
C
১৯৭৪ সালে
D
১৯৭৫ সালে
উত্তরের বিবরণ
গ্রামীণ সমাজসেবা (Rural Social Service) হলো সমাজকল্যাণমূলক একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি, যার লক্ষ্য ছিল গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং সমাজে স্বনির্ভরতা প্রতিষ্ঠা করা। এ কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র্য হ্রাস, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারী উন্নয়ন ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
এই কর্মসূচি ১৯৭৪ সালে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়, এবং এটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিল সমাজসেবা অধিদপ্তর। প্রথম পর্যায়ে ১৯টি তৎকালীন থানায় এ কার্যক্রম চালু করা হয়। প্রাথমিক সাফল্যের পর সরকার ১৯৭৭ সালে আরও ২১টি থানায় এই কার্যক্রম সম্প্রসারণ করে, যার ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্র বিস্তৃত হয়।
গ্রামীণ সমাজসেবার মূল উদ্দেশ্য ছিল—
১) দরিদ্র ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে স্বনির্ভরতা গঠন।
২) স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সামাজিক সমস্যা সমাধান করা।
৩) নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে কার্যকর সেবা প্রদান।
৪) শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে সমাজে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা।

0
Updated: 13 hours ago
বাংলাদেশের কোন কর্মসূচীর মাধ্যমে সমাজকর্ম শিক্ষার যাত্রা শুরু হয়?
Created: 1 day ago
A
শহর সমষ্টীর উন্নয়ন
B
চিকিৎসা সমাজকর্ম
C
গ্রামীন সমাজসেবা
D
অপরাধ সংশোধন
বাংলাদেশে সমাজকর্ম শিক্ষার সূচনা ঘটে শহর সমষ্টির উন্নয়ন কর্মসূচি (Urban Community Development Programme)-এর মাধ্যমে, যা দেশের সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রমে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত। এ কর্মসূচি ছিল বাংলাদেশের সমাজকর্ম চর্চা ও শিক্ষার ভিত্তি স্থাপনের অন্যতম প্রথম উদ্যোগ।
১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর এদেশে বিপুল সংখ্যক মোহাজের (অভিবাসী) আগমনের ফলে তৎকালীন প্রাদেশিক রাজধানী ঢাকায় বস্তি সমস্যা, বেকারত্ব, দারিদ্র্য, অপরাধপ্রবণতা ও সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। এই ক্রমবর্ধমান নগর সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে জাতিসংঘের সামাজিক উন্নয়ন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সরকার ১৯৫৫ সালে Dhaka Urban Community Development Board গঠন করে।
এরপর বোর্ডের কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে একই বছর ঢাকার কায়েতটুলিতে পরীক্ষামূলকভাবে শহর সমাজ উন্নয়ন প্রকল্প (Urban Community Development Project – UCDP) চালু করা হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে শহরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, সচেতনতা সৃষ্টি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার প্রসার এবং সামাজিক সংগঠন গঠনের প্রচেষ্টা নেওয়া হয়।
এই উদ্যোগের ফলেই বাংলাদেশে সমাজকর্ম শিক্ষা ও কার্যক্রমের ভিত্তি তৈরি হয়, যা পরবর্তীতে সমাজকল্যাণ বিভাগ ও সমাজকর্ম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করে।

0
Updated: 1 day ago
ভারতবর্ষে সমাজকর্ম পাঠদানকারী প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-
Created: 1 day ago
A
টাটা ইন্সটিটিউট
B
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
C
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
D
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়
ভারতবর্ষে সমাজকর্ম শিক্ষা প্রবর্তনের ক্ষেত্রে পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠান হলো টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস (TISS)। এটি ১৯৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় স্যার দোরাবজি টাটা গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ সোশ্যাল ওয়ার্ক নামে, যা পরবর্তীতে বর্তমান নাম লাভ করে। প্রতিষ্ঠানটি সমাজকর্ম শিক্ষা ও গবেষণাকে পেশাগত কাঠামোয় রূপ দিয়ে ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ায় সমাজকর্মের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
এই প্রতিষ্ঠানটির বিশেষ অবদান হলো—
১) এটি ছিল ভারতের প্রথম সমাজকর্ম পাঠদানকারী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেখানে সমাজকর্মকে একটি স্বতন্ত্র পেশাগত শিক্ষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
২) প্রায় এক দশক ধরে এটি ভারতে সমাজকর্মে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদানকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত ছিল।
৩) সমাজকর্ম শিক্ষা, সমাজনীতি, সম্প্রদায় উন্নয়ন, শ্রমনীতি, নারী ও শিশু কল্যাণ, এবং সামাজিক গবেষণার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ও গবেষণামূলক অবদান রাখে।
৪) পরবর্তীতে এটি আন্তর্জাতিক মানের সমাজকর্ম শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে, যা ভারতের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশেও সমাজকর্ম শিক্ষার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

0
Updated: 1 day ago
কোন আইনটি সামাজিক নিরাপত্তার সাথে সম্পর্কযুক্ত?
Created: 13 hours ago
A
তথ্য অধিকার আইন ২০০৯
B
পরিবেশ সংরক্ষন আইন ১৯৯৫
C
শ্রমিক ক্ষতিপূরণ আইন ১৯২৩
D
যোগাযোগ আইন ২০০৬
শ্রমিক ক্ষতিপূরণ আইন, ১৯২৩ হল একটি আইন যা ব্রিটিশ শাসনামলে তৎকালীন অবিভক্ত ভারতে প্রণীত হয়েছিল এবং বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে সংশোধিত আকারে কার্যকর রয়েছে। এই আইনের মূল লক্ষ্য হলো কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা বা পেশাগত রোগে আহত বা মৃত্যুবরণকারী শ্রমিকের উপর নির্ভরশীলদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করা। আইনটি শ্রমিকদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং তাদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করে।
-
শ্রমিক ক্ষতিপূরণ আইন, ১৯২৩ সরাসরি সামাজিক নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, কারণ এটি শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে।
-
অন্যান্য আইন যেমন জনশৃঙ্খলা বা সুরক্ষামূলক আইন সামাজিক নিরাপত্তার মূলধারার বাইরে পড়ে, যা মূলত জনসাধারণের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষা করে।

0
Updated: 13 hours ago