'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যের প্রথম খণ্ডের নাম কী?
A
জন্মখন্ড
B
তাম্বুলখণ্ড
C
দানখণ্ড
D
রাধাবিরহ
উত্তরের বিবরণ
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বাংলা ভাষায় লেখা মধ্যযুগের প্রথম কাব্যগ্রন্থ। এটি মূলত রাধা ও কৃষ্ণের প্রেমকাহিনি নিয়ে তৈরি একটি গীতিনাট্য (গান ও নাটকের মিশ্র রচনা)।
এই কাব্যে মোট ১৩টি খণ্ড আছে এবং ৪১৮টি পদ (ছোট কবিতা বা গান) দিয়ে সাজানো হয়েছে।
-
কাব্যের প্রথম খণ্ড হলো – জন্ম খণ্ড, যেখানে কৃষ্ণের জন্মকথা বলা হয়েছে।
-
শেষ খণ্ড হলো – বিরহ খণ্ড, যেখানে রাধা-কৃষ্ণের বিচ্ছেদের বেদনা তুলে ধরা হয়েছে।
এ কাহিনির মূল উৎস ভাগবত পুরাণ হলেও, এর মধ্যে গীতগোবিন্দ (জয়দেব রচিত) এবং অন্যান্য পুরাণের প্রভাব দেখা যায়।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের ১৩টি খণ্ড
১. জন্ম খণ্ড
২. তাম্বুল খণ্ড
৩. দান খণ্ড
৪. নৌকা খণ্ড
৫. ভার খণ্ড
৬. ছত্র খণ্ড
৭. বৃন্দাবন খণ্ড
৮. কালিয়দমন খণ্ড
৯. যমুনা খণ্ড
১০. হার খণ্ড
১১. বাণ খণ্ড
১২. বংশী খণ্ড
১৩. বিরহ খণ্ড
প্রধান তিনটি চরিত্র
১. কৃষ্ণ – যিনি পরমাত্মা বা সৃষ্টিকর্তা।
২. রাধা – যিনি জীবাত্মা বা প্রেমিক আত্মা।
৩. বড়াই – যিনি রাধা ও কৃষ্ণের মধ্যে দূতী বা সংযোগকারী।
উৎস: বাংলাপিডিয়া এবং 'বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস' – মাহবুবুল আলম।
0
Updated: 3 months ago
'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যের আবিষ্কারক কে?
Created: 1 month ago
A
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
B
বসন্তরঞ্জন রায়বিদ্বদ্বল্লভ
C
দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়
D
দীনেশচন্দ্র সেন
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন একটি বৈষ্ণব কাব্য, যার রচয়িতা বড়ু চণ্ডীদাস।
-
রচনাকাল: সঠিকভাবে নির্ণীত না হলেও প্রাকচৈতন্য যুগ (খ্রিস্টীয় ১৪শ শতক) মনে করা হয়
-
আবিষ্কার: ১৩১৬ বঙ্গাব্দে (খ্রি. ১৯০৯) বসন্তরঞ্জন রায়বিদ্বদ্বল্লভ বনবিষ্ণুপুরের কাঁকিল্যা গ্রামে নিবাসী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় থেকে পুথি আবিষ্কার করেন
-
ভাষা ও বৈশিষ্ট্য: মধ্যযুগের বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ
-
কাব্যরূপ: ১৩ খণ্ডের কাব্য, মোট ৪১৮টি পদে বিন্যস্ত
-
প্রধান চরিত্র:
-
রাধা
-
কৃষ্ণ
-
বড়ায়ি
-
0
Updated: 1 month ago
'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্য বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায় কত বঙ্গাব্দে প্রকাশিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৩০৯ বঙ্গাব্দে
B
১৩২৩ বঙ্গাব্দে
C
১৩১৬ বঙ্গাব্দে
D
১৩২২ বঙ্গাব্দে
'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্য বাংলা মধ্যযুগের একটি প্রধান কাব্যগ্রন্থ, যা বড়ু চণ্ডীদাস রচিত এবং রাধা-কৃষ্ণের প্রেমের মাধ্যমে ঈশ্বরতত্ত্ব প্রকাশ করে।
-
বড়ু চণ্ডীদাস আনুমানিক ১৩০৯ খ্রিষ্টাব্দে ছাতনা, বাঁকুড়া মতান্তরে বীরভূমের নানুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' রাধা-কৃষ্ণের প্রণয় বর্ণনার মাধ্যমে ঈশ্বরতত্ত্বকে কাব্যিকভাবে উপস্থাপন করে। এটি বাংলা ভাষার প্রথম মধ্যযুগীয় কাব্যগ্রন্থ হিসেবে পরিচিত।
-
১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে (১৩১৬ বঙ্গাব্দে) বসন্তরঞ্জন রায়, পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলায় কাকিল্যা গ্রামে মল্লরাজগুরু বৈষ্ণবমহন্ত শ্রীনিবাসের দৌহিত্র শ্রী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের গোয়ালঘর থেকে এই পুথি আবিষ্কার করেন।
-
শ্রীকৃষ্ণকীর্তনকে শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ নামেও অভিহিত করা হয়।
-
গ্রন্থের প্রধান তিনটি চরিত্র: কৃষ্ণ, রাধা, বড়ায়ি/বড়াই।
-
কাব্যটি মোট ১৩টি খণ্ডে বিভক্ত এবং ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে (১৩২৩ বঙ্গাব্দে) বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ থেকে বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়।
-
অন্যদিকে, বৈষ্ণব পদাবলির সমর্থা নায়িকা হিসেবে পরিচিত চরিত্রগুলো হলো: শ্রীরাধা, ললিতা, বিশাখা, চন্দ্রাবলি, যার মধ্যে শ্রীরাধা সর্বশ্রেষ্ঠ।
-
অন্নদামঙ্গল কাব্যের একটি উল্লেখযোগ্য চরিত্র হলো ঈশ্বরী পাটনী।
0
Updated: 1 month ago
'চর্যাগীতিকোষবৃত্তি' নামে মুনিদত্তের টীকার তিব্বতি অনুবাদ করেন কে?
Created: 1 month ago
A
ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী
B
রাজেন্দ্রলাল মিত্র
C
কীর্তিচন্দ্র
D
বিজয়চন্দ্র মজুমদার
চর্যাপদ ও প্রাচীন বাংলার পদসংগ্রহ
-
মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে তৃতীয় নেপাল সফরে নেপালের রাজগ্রন্থাগার থেকে প্রাচীন কিছু সাহিত্য পদ আবিষ্কার করেন।
-
তাঁর সম্পাদনায় এগুলো বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ১৯১৬ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়:
-
চর্যাচর্যবিনিশ্চয়
-
সরহপাদ ও কৃষ্ণপাদের দোহা
-
ডাকার্ণব-এর চারটি পুঁথি
-
গ্রন্থের নাম: ‘হাজার বছরের পুরাণ: বাংলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’
-
-
এগুলোর মধ্যে একমাত্র চর্যাচর্যবিনিশ্চয়ই প্রাচীন বাংলায় লেখা, বাকিগুলো অপভ্রংশ ভাষায় রচিত।
ভাষাতাত্ত্বিক ও ধর্মমত বিশ্লেষণ
-
১৯২৬ সালে ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় Origin and Development of the Bengali Language (ODBL) গ্রন্থে এসব পদসংগ্রহের ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য প্রথম আলোচনা করেন।
-
১৯২৭ সালে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ চর্যাপদের ধর্মমত সম্পর্কে প্রথম আলোচনা করেন।
-
১৯৩৮ সালে ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যার তিব্বতি অনুবাদ প্রকাশ করেন।
পদসংগ্রহের নাম সম্পর্কিত তথ্য
-
মুনিদত্তের সংস্কৃত টীকানুসারে পদসংগ্রহের নাম ছিল ‘আশ্চর্যচর্যাচয়’।
-
নেপালে প্রাপ্ত পুঁথিতে নাম দেওয়া হয়েছিল ‘চর্যাচর্যবিনিশ্চয়’।
-
ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী দুটি নাম মিলিয়ে ‘চর্যাশ্চর্যবিনিশ্চয়’ নামকরণ করেন।
-
কীর্তিচন্দ্র মুনিদত্তের টীকার তিব্বতি অনুবাদ ছিল ‘চর্যাগীতিকোষবৃত্তি’।
-
আধুনিক পণ্ডিতদের অনুমান: মূল সংকলনের নাম ছিল ‘চর্যাগীতিকোষ’, সংস্কৃত টীকার নাম ‘চর্যাচর্যবিনিশ্চয়’।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
0
Updated: 1 month ago