কর্মক্ষেত্রে নৈতিক দ্বিধায় পড়লে দর্শনের কোন শাখাটি সবচেয়ে বেশি সহায়ক হতে পারে?
A
অধিবিদ্যা
B
নীতিবিদ্যা
C
যুক্তিবিদ্যা
D
জ্ঞানবিদ্যা
উত্তরের বিবরণ
নীতিবিদ্যা দর্শনের একটি শাখা, যা মানুষের আচরণ, চরিত্র ও ইচ্ছাধীন কাজের নৈতিকতা নিয়ে আলোচনা করে। এটি ভালো-মন্দ, সঠিক-ভুল ও ন্যায়-অন্যায় পার্থক্য নির্ধারণে সহায়তা করে।
তাই কেউ যদি কর্মক্ষেত্রে নৈতিক দ্বিধায় পড়ে, তাহলে নীতিবিদ্যার জ্ঞান তাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে পারে।

0
Updated: 13 hours ago
'দাঁতের বদলে দাঁত'- কোন্ মতবাদের উদাহরণ?
Created: 11 hours ago
A
শিক্ষামূলক শাস্তি
B
প্রতিশোধমূলক শাস্তি
C
প্রতিরোধমূলক শাস্তি
D
তিরস্কারমূলক শাস্তি
কঠোর প্রতিশোধাত্মক বা প্রতিশোধমূলক মতবাদ অনুযায়ী অপরাধের প্রকৃতির তুলনায় শাস্তিও সমানভাবে কঠোর বা নরম হওয়া উচিত; অর্থাৎ শাস্তি নির্ধারণে কেবল অপরাধের মাত্রাই মাপকাঠি।
-
মূল সূত্র: অপরাধ যদি গুরুতর হয়, শাস্তিও গুরুতর; অপরাধ যদি লঘু, শাস্তিও লঘু।
-
অবস্থা বিবেচনার প্রত্যাখ্যান: শাস্তি নির্ধারণে অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অবস্থা (যেমন প্রবৃত্তি, উদ্দেশ্য, পরিপার্শ্বিক কারণ) বিবেচনার কোন মূল্য নেই।
-
উদাহরণমূলক নীতি: “চোখের বদলা চোখ”, “দাঁতের বদলা দাঁত”—এটাই আদর্শ।
-
মানসিক ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা অগ্রাহ্য: অপরাধীর মানসিক অবস্থা বা পরিবেশগত কারণ নির্বিশেষে শুধুমাত্র কার্যত অপরাধটি বিচার্য।
-
চূড়ান্ত প্রয়োগ: যার দ্বারা কেউ হত্যা করেছে, সেই অপরাধীর উপযুক্ত শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড প্রযোজ্য বলে গণ্য করা হয়।

0
Updated: 11 hours ago
অধিবিদ্যক দৃষ্টিকোণ থেকে ভাববাদের বিপরীত মতবাদ-
Created: 11 hours ago
A
প্রাণবাদ
B
যন্ত্রবাদ
C
জড়বাদ
D
কৈলাসবাদ
তত্ত্ববিদ্যা বা সত্তাসম্পর্কীয় দর্শন (Metaphysics) হলো দর্শনের সেই শাখা, যেখানে জগতের মূল উপাদান, সত্তার স্বরূপ ও সংখ্যার আলোচনা করা হয়। এই শাখায় অনুসন্ধান করা হয়—দৃশ্যমান জগতের অন্তরালে থাকা মৌলিক সত্তা আসলে জড়, না মন বা আধ্যাত্মিক শক্তি।
মূল ধারণাসমূহ—
-
তত্ত্ববিদ্যা অনুসন্ধান করে অস্তিত্বের চূড়ান্ত কারণ ও প্রকৃতি।
-
এই অনুসন্ধান থেকেই উদ্ভব হয়েছে দুই প্রধান মতবাদ—
-
জড়বাদ বা বস্তুবাদ (Materialism): জগতের মূল সত্তা জড় পদার্থ।
-
ভাববাদ বা অধ্যাত্মবাদ (Idealism/Spiritualism): জগতের মূল সত্তা মন, চেতনা বা আত্মা।
-
-
অধিবিদ্যক দৃষ্টিকোণ থেকে ভাববাদের বিপরীত মতবাদ হলো জড়বাদ।
-
এভাবে তত্ত্ববিদ্যা জগতের চূড়ান্ত বাস্তবতা ও তার প্রকৃতি নির্ধারণের চেষ্টা করে।

0
Updated: 11 hours ago
মূল্য কত প্রকার?
Created: 1 day ago
A
দুই
B
তিন
C
চার
D
পাঁচ
মূল্যতত্ত্বে সমস্ত প্রকার মূল্যে সাধারণভাবে দুটি ভাগে বিভক্ত করা যায়— স্বতঃমূল্য এবং পরতঃমূল্য (Intrinsic and Extrinsic Values)। জাগতিক জীবনে আমরা যে বস্তুগুলোর মূল্য নির্ধারণ করি, তা প্রায়ই এই দুই ধরনের ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে থাকে।
পরতঃমূল্য (Extrinsic Value):
যেসব বস্তুর নিজস্ব কোনো মূল্য নেই, কিন্তু অন্য কোনো মূল্যবান জিনিস অর্জনে সহায়ক হওয়ায় আমরা সেগুলোকে মূল্যবান মনে করি, সেগুলোকে পরতঃমূল্য বলা হয়।
-
অর্থ বা টাকা-পয়সা এর একটি উদাহরণ; এর নিজস্ব কোনো মূল্য নেই, কিন্তু এটি জীবনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অর্জনে সহায়তা করে বলে আমরা এর মূল্য স্বীকার করি।
-
একইভাবে ব্যায়াম বা শরীরচর্চা-ও পরতঃমূল্যবান, কারণ এটি আমাদের দৈহিক সুস্থতা ও কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
-
তদ্রূপ সামাজিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্ব অন্য সুফল অর্জনের সহায়ক হওয়ায় এগুলোও পরতঃমূল্যের অন্তর্ভুক্ত।
স্বতঃমূল্য (Intrinsic Value):
যেসব কিছুর মূল্য অন্য কিছুর ওপর নির্ভরশীল নয়, বরং নিজস্ব গুণেই মূল্যবান, তাদের স্বতঃমূল্য বলা হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ, বিদ্যা অর্থের মতো নয়; এর মূল্য নিজস্ব জ্ঞানগত ও মানসিক উৎকর্ষে নিহিত।
-
ভাববাদী চিন্তাধারায় সত্য, মঙ্গল (শিব) ও সুন্দর-কে স্বতঃমূল্যবান হিসেবে গণ্য করা হয়।
-
এই তিনটি আদর্শ মানব জীবনের পরম লক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত, কারণ তারা নিজ গুণেই শ্রদ্ধা ও সাধনার যোগ্য।
অতএব, স্বতঃমূল্য মানুষের আত্মিক ও নৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত, আর পরতঃমূল্য বস্তুগত বা উপযোগমূলক জীবনের প্রয়োজনে নির্ভরশীল।

0
Updated: 1 day ago