’জনগণ' কোন সমাসের দৃষ্টান্ত?
A
কর্মধারয়
B
অব্যয়ীভাব
C
চতুর্থী তৎপুরুষ
D
ষষ্ঠী তৎপুরুষ
উত্তরের বিবরণ
যখন কোনো বাক্যে পরপদে রাজি, গ্রাম, বৃন্দ, গণ, যূত প্রভৃতি সমষ্টিবাচক শব্দ থাকে, তখন সেখানে ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস গঠিত হয়। এই সমাসে প্রথম পদটি সাধারণত ষষ্ঠী কারকে (অর্থাৎ ‘এর’ যুক্ত রূপে) থাকে এবং তা সমষ্টির অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তি বা বস্তুকে নির্দেশ করে।
-
যেমন—
-
ছাত্রের বৃন্দ → ছাত্রবৃন্দ, অর্থাৎ ছাত্রদের সমষ্টি।
-
হস্তীর যূত → হস্তীযূত, অর্থাৎ হাতিদের দল।
-
-
এখানে ‘বৃন্দ’, ‘যূত’ ইত্যাদি শব্দ সমষ্টি বা গোষ্ঠী বোঝাচ্ছে, আর প্রথম পদ (ছাত্র, হস্তী) সেই সমষ্টির অংশ বা উপাদান নির্দেশ করছে।
-
তাই এই ধরণের সমাসে দুই পদ মিলিত হয়ে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা দলগত অর্থবোধক শব্দ তৈরি করে, যা ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাসের বৈশিষ্ট্য।

0
Updated: 15 hours ago
‘তপোবন’ কোন সমাস?
Created: 3 weeks ago
A
দ্বন্দ্ব সমাস
B
চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস
C
প্রাদি সমাস
D
বহুব্রীহি সমাস
পূর্বপদে চতুর্থী বিভক্তি (কে, জন্য, নিমিত্ত ইত্যাদি) লোপে যে সমাস হয়, তাকে চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন: গুরুকে ভক্তি= গুরুভক্তি, আরামের জন্য কেদারা= আরামকেদারা, বসতের নিমিত্ত বাড়ি= বসতবাড়ি, বিয়ের জন্য পাগলা= বিয়েপাগলা ইত্যাদি।

0
Updated: 3 weeks ago
'অষ্টধাতু' — কোন ধরনের সমাস?
Created: 2 weeks ago
A
তৎপুরুষ সমাস
B
দ্বিগু সমাস
C
বহুব্রীহি সমাস
D
কর্মধারয় সমাস
দ্বিগু সমাস হলো সমাহার বা মিলনের অর্থ প্রকাশকারী এমন সমাস যেখানে সংখ্যাবাচক শব্দ এবং বিশেষ্য পদ মিলিত হয়ে একটি নতুন বিশেষ্য গঠন করে। দ্বিগু সমাসে সমাসনিষ্পন্ন পদটি সর্বদা বিশেষ্য পদ হিসেবে কাজ করে।
দ্বিগু সমাস নির্ণয়ের সহজ উপায় হলো:
-
প্রথম পদটি সংখ্যাবাচক শব্দ হয়।
-
পরবর্তী পদটি বিশেষ্য পদ হয়।
-
সমাসনিষ্পন্ন সমস্ত পদ সমষ্টি বা সমাহার বোঝায়।
-
সমাসিত শব্দটি একটি বিশেষ্য পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ:
-
সাত সমুদ্রের সমাহার = সাতসমুদ্র (এখানে "সাত" সংখ্যাবাচক এবং "সমুদ্র" বিশেষ্য; মিলিত হয়ে সাতটি সমুদ্রের সমষ্টি বোঝাচ্ছে)
অন্যান্য উদাহরণ:
-
আটটি ধাতুর সমাহার = অষ্টধাতু
-
তিন কালের সমাহার = ত্রিকাল
-
পাঁচ সেরের সমাহার = পঁসুরি
-
শত বর্ষের সমাহার = শতবর্ষ
-
শত অব্দের সমাহার = শতাব্দী
-
সপ্ত ঋষির সমাহার = সপ্তর্ষি
-
ত্রি (তিন) পদের সমাহার = ত্রিপদী
এছাড়া আরও কিছু দ্বিগু সমাসের উদাহরণ: অষ্টধাতু, চতুর্ভুজ, চতুরঙ্গ, ত্রিমোহিনী, তেরনদী, পঞ্চভূত, সাতসমুদ্র।

0
Updated: 2 weeks ago
'আলোছায়া' কোন ধরনের সমাস?
Created: 1 week ago
A
বহুব্রীহি সমাস
B
তৎপুরুষ সমাস
C
কর্মধারয় সমাস
D
দ্বন্দ্ব সমাস
'আলোছায়া' শব্দটি 'আলো ও ছায়া' থেকে গঠিত এবং এটি একটি দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ। দ্বন্দ্ব সমাস সেই ধরনের সমাস যেখানে প্রত্যেকটি সমস্যমান পদের অর্থের সমান গুরুত্ব বজায় থাকে।
বিস্তারিত:
-
যে সমাসে প্রত্যেকটি পদের অর্থ সমানভাবে প্রাধান্য পায়, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলা হয়।
-
যেমন: তাল ও তমাল = তাল-তমাল, দোয়াত ও কলম = দোয়াত-কলম। এখানে প্রতিটি পদই সমান গুরুত্ব পায়।
-
দ্বন্দ্ব সমাসে পূর্বপদ ও পরপদের সম্পর্ক বোঝাতে সাধারণত ব্যাসবাক্যে এবং, ও, আর ইত্যাদি অব্যয় পদ ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: মাতা ও পিতা = মাতাপিতা।

0
Updated: 1 week ago