বাক্যের অন্তর্গত শব্দের পারস্পরিক সম্পর্ক ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়?
A
সন্ধি
B
পদ
C
কাল
D
কারক
উত্তরের বিবরণ
উত্তর: ঘ) কারক
সহজ ব্যাখ্যা:
বাংলা ব্যাকরণে বাক্যের শব্দগুলোর মধ্যে সম্পর্ক বোঝাতে যে নিয়ম ব্যবহৃত হয়, সেটি কারক নামে পরিচিত।
কারকের মাধ্যমে বোঝা যায়, কে কাজটি করছে, কার উপর কাজটি হচ্ছে, কোথায় কাজটি ঘটছে ইত্যাদি।
উদাহরণ:
রানা বই পড়ে।
→ রানা = কর্তৃকারক (যে পড়ছে)
→ বই = কর্মকারক (যাকে পড়া হচ্ছে)
এই শব্দদুটো ক্রিয়ার (পড়ে) সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছে কারকের মাধ্যমে।
বাংলা ভাষায় মোট ৬টি কারক রয়েছে:
-
কর্তৃকারক (যে কাজ করে)
-
কর্মকারক (যার উপর কাজ হয়)
-
করণকারক (যার মাধ্যমে কাজ হয়)
-
সম্প্রদান কারক (যার জন্য কিছু দেওয়া হয়)
-
অপাদান কারক (যেখান থেকে কিছু দূরে যায়)
-
অধিকরণ কারক (যেখানে কাজ ঘটে)
তাই বাক্যে শব্দের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বোঝাতে ‘কারক’ সবচেয়ে উপযুক্ত উত্তর।
অন্য অপশনগুলোর ব্যাখ্যা:
ক) সন্ধি:
দুইটি শব্দ জোড়া লাগলে যে ধ্বনিগত পরিবর্তন হয়, তাকে সন্ধি বলে। যেমন: বিদ্যা + আলয় = বিদ্যালয়।
→ এটি শব্দগঠন নিয়ে কাজ করে, বাক্যের শব্দের সম্পর্ক নয়।
খ) পদ:
যখন কোনও শব্দে বিভক্তি যুক্ত হয়, তখন তাকে পদ বলে। যেমন: 'মানুষটি', 'বইয়ে'।
→ এটি শব্দের শ্রেণি নির্ধারণ করে, কিন্তু পারস্পরিক সম্পর্ক নয়।
গ) কাল:
কাল হলো কাজটি কখন হয়েছে—বর্তমানে, অতীতে না ভবিষ্যতে।
→ এটি ক্রিয়ার সময় বোঝায়, শব্দের সম্পর্ক নয়।
শব্দগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা করার জন্য সঠিক উত্তর হলো ঘ) কারক।
1
Updated: 3 months ago
শিকারী বিড়াল গোঁফে চেনা যায়। - নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারক?
Created: 2 months ago
A
করণ
B
কর্তা
C
কর্ম
D
অধিকরণ
করণ কারক
-
সংজ্ঞা: যার দ্বারা বা যে উপায়ে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে করণ কারক বলে।
-
এ কারকে সাধারণত ‘দ্বারা’, ‘দিয়ে’, ‘কর্তৃক’ ইত্যাদি অনুসর্গ যুক্ত হয়।
উদাহরণ:
-
ভেড়া দিয়ে চাষ করা সম্ভব নয়।
-
লোকটা জাতিতে বৈষ্ণব।
-
শিকারী বিড়াল গোঁফে চেনা যায়।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ ও ২০২২ সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago
বাক্যের ক্রিয়ার সাথে অন্যান্য পদের যে সম্পর্ক তাকে কী বলে?
Created: 1 month ago
A
বিভক্তি
B
কারক
C
প্রত্যয়
D
অনুসর্গ
কারক, বিভক্তি, প্রত্যয় ও অনুসর্গ
কারক:
কারক হলো বাক্যে ক্রিয়াপদের সঙ্গে নামপদের সম্পর্ক। সহজভাবে বলতে গেলে, কোনো বাক্যে ক্রিয়া (যেমন: খাওয়া, যাওয়া) ও নামপদ (বিশেষ্য বা সর্বনাম) যেভাবে একে অপরের সাথে যুক্ত থাকে, সেই সম্পর্ককে কারক বলা হয়।
-
কারক বোঝাতে সাধারণত বিশেষ্য বা সর্বনামের সঙ্গে বিভক্তি বা অনুসর্গ যুক্ত হয়।
-
মাধ্যমিক বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি (২০২১ সংস্করণ) অনুযায়ী, কারকের ছয়টি ধরন রয়েছে:
-
কর্তা কারক
-
কর্ম কারক
-
করণ কারক
-
অপাদান কারক
-
অধিকরণ কারক
-
সম্বন্ধ কারক
-
২. বিভক্তি:
বিভক্তি হলো সেই বর্ণ, বর্ণসমষ্টি বা চিহ্ন যা বাক্যের এক পদের সঙ্গে অন্য পদের সম্পর্ক নির্ধারণ করে। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি নামপদকে বাক্যে ক্রিয়ার সাথে যুক্ত করতে সাহায্য করে।
৩. প্রত্যয়:
প্রত্যয় হলো ধাতু বা শব্দের পরে যুক্ত অর্থহীন অংশ, যা দিয়ে নতুন শব্দ তৈরি হয়। উদাহরণ: “খেলা + ওয়া = খেলাওয়া”।
৪. অনুসর্গ:
অনুসর্গ হলো এমন অব্যয় শব্দ, যা কখনো স্বাধীনভাবে, আবার কখনো নামপদ বা ক্রিয়ার সাথে যুক্ত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে। অন্য কথায়, এটি বাক্যের অর্থ নিখুঁত করতে ব্যবহৃত হয়।
উৎস:মাধ্যমিক বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি (২০১৯ ও ২০২১ সংস্করণ)
0
Updated: 1 month ago
‘সবাই মিলে বিদ্যালয় পরিষ্কার করল।' - ‘সবাই' কোন কারকের উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
কর্তৃকারক
B
কর্মকারক
C
করণ কারক
D
অপাদান কারক
• কর্তৃকারক:
বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তা ক্রিয়ার কর্তা বা কর্তৃকারক।
ক্রিয়াকে ‘কে/কারা’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটিই কর্তৃকারক।
যেমন:
-
সবাই মিলে বিদ্যালয় পরিষ্কার করল।
-
এখানে ‘সবাই’ হলো কর্তৃকারকের উদাহরণ।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম ও দশম শ্রেণি (২০১৯)।
0
Updated: 1 month ago