ভারত পাকিস্তানের মধ্যে ইন্দাস ওয়াটার ট্রিটি (IWT) কোন সালে স্বাক্ষরিত হয়?
A
১৯৪৮
B
১৯৭৪
C
১৯৬৫ (১৯৬০ সঠিক)
D
১৯৮০
উত্তরের বিবরণ
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি (Indus Waters Treaty) হলো দুই দেশের মধ্যে জলবণ্টন সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা, যা ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত হয়। তবে প্রশ্নে সঠিক অপশন না থাকায় এটি বাতিল করা হয়েছে।
-
চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়: ১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৬০
-
স্থান: করাচি, পাকিস্তান
-
মধ্যস্থতাকারী: বিশ্বব্যাংক
-
স্বাক্ষরকারী: ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আইয়ুব খান
-
উদ্দেশ্য: ভারতের উজান থেকে পাকিস্তানের সিন্ধু অববাহিকায় প্রবাহিত নদীগুলোর পানিবণ্টন নির্ধারণ
-
বণ্টন ব্যবস্থা:
-
ভারতকে দেওয়া হয় পূর্বাঞ্চলীয় তিন নদীর নিয়ন্ত্রণ—ইরাবতী, বিপাশা ও শতদ্রু
-
পাকিস্তানকে দেওয়া হয় পশ্চিমাঞ্চলীয় তিন নদীর নিয়ন্ত্রণ—সিন্ধু, ঝিলম ও চেনাব
-
পাকিস্তান পায় প্রায় ৭০% পানি, ভারত পায় ৩০% পানি
-
-
চুক্তির বৈশিষ্ট্য: কোনো পক্ষ একতরফাভাবে স্থগিত বা বাতিল করতে পারে না; এতে স্পষ্ট বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া নির্ধারিত আছে।
অতিরিক্তভাবে, ১৯৪৮ সালের Inter-Dominion Agreement on Punjab Canal Waters ছিল দুই দেশের মধ্যে প্রথম জল-ব্যবস্থাপনা চুক্তি, যেখানে ভারত পাকিস্তানকে পানি সরবরাহ করবে এবং পাকিস্তান অর্থপ্রদান করবে। এটি ছিল একটি অন্তর্বর্তী সমাধান, যা পরবর্তীতে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ১৯৬০ সালের Indus Waters Treaty-তে পৌঁছাতে সহায়তা করে।
অতএব, যদি প্রশ্নটি “ইন্দাস ব্যবস্থায় প্রথম আনুষ্ঠানিক জলচুক্তি” বোঝায়, তবে ১৯৪৮ সাল সঠিক উত্তর হিসেবে ধরা যায়। কিন্তু যদি “Indus Waters Treaty” বা “সিন্ধু পানি চুক্তি” বোঝানো হয়, তবে ১৯৬০ সালই সঠিক উত্তর।

0
Updated: 16 hours ago
সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া পাকিস্তানের উপ প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী, ইসহাক দার পাকিস্তানের কোন্ রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত?
Created: 16 hours ago
A
পাকিস্তান পিপলস পাটি (PPP)
B
পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (PTI)
C
পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ)
D
জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছেন। তিনি পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা এবং দলের প্রধান নওয়াজ শরীফের বেয়াই।
ইসহাক দার একজন অভিজ্ঞ পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ, বর্তমানে তিনি পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন (২০২৪ সাল থেকে)।
-
তিনি পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) দলের কেন্দ্রীয় নেতা।
-
২৩ আগস্ট ২০২৫ তারিখে তিনি দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন।
-
১৩ বছর পর কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর এটি। এর আগে ২০১৩ সালে হিনা রব্বানি খার ঢাকায় এসেছিলেন।
-
এই সফরটি মূলত রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উভয় উদ্দেশ্যেই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
-
সফরকালে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন।
-
আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন এবং সার্ক পুনরুজ্জীবনের বিষয় গুরুত্ব পায়।
-
সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি ও চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

0
Updated: 16 hours ago
ভারত কর্তৃক সিকিম সংযুক্ত হয়—
Created: 1 week ago
A
১৯৭০
B
১৯৭২
C
১৯৭৫
D
১৯৭৭
সিকিম ভারতের একটি ছোট ও সুন্দর রাজ্য, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি হিসেবে পরিচিত। পৃথিবীর তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার পাদদেশে অবস্থিত এই রাজ্য সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬,০০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত।
ছোট আয়তনের (৭,০৯৬ বর্গ কিলোমিটার) সিকিম ভারতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম রাজ্য এবং এর রাজধানী হলো গ্যাংটক। সিকিম প্রথমে স্বাধীন অঞ্চল হলেও বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনার পর ১৯৭৫ সালে এটি ভারতের প্রজাতন্ত্রের অংশে পরিণত হয়।
-
রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট: ১৯৭৩ সালে সিকিমে নির্বাচনের ফলাফলে অসন্তুষ্ট হয়ে ভোট কারচুপির অভিযোগ আনে লেন্ডুপ দর্জি নেতৃত্বাধীন সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেস। এর ফলে দেশব্যাপী তীব্র আন্দোলন শুরু হয়, যা একসময় রাজতন্ত্রের পতনের দিকে মোড় নেয়।
-
১৯৭৪ সালে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং নির্বাচনে লেন্দুপ দর্জি অস্বাভাবিক ব্যবধানে বিজয় লাভ করেন। ৩২টি আসনের মধ্যে ৩১টি আসনেই তার দল জয়ী হয়। এর পর লেন্দুপ দর্জি হন সিকিমের প্রধানমন্ত্রী, আর চোগিয়াল সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে থাকেন।
-
১৯৭৫ সালের ২৭ মার্চ লেন্দুপ দর্জি কেবিনেট মিটিংয়ে রাজতন্ত্র বিলোপের বিষয়ে সাজানো গণভোটের আয়োজন করেন। এই গণভোটের ফলাফলে চোগিয়াল পদের অবসান ঘটে।
-
এর পর, ২৬ এপ্রিল ১৯৭৫ সিকিমকে ভারতের ২২তম রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

0
Updated: 1 week ago
গ্লোবাল লিভেবিলিটি ইনডেক্স- ২০২৫ অনুযায়ী, বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় শীর্ষ দেশ?
Created: 5 days ago
A
জেনেভা
B
মেলবোর্ন
C
জুরিখ
D
কোপেনহেগেন
গ্লোবাল লিভেবিলিটি ইনডেক্স ২০২৫ প্রতি বছর ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (EIU) দ্বারা প্রকাশিত হয়, যা বিশ্বের বসবাসযোগ্য শহরগুলোর অবস্থান মূল্যায়ন করে। এই তালিকায় মোট ১৭৩টি শহরের পাঁচটি মূল মানদণ্ডের ভিত্তিতে বিচার করা হয়, যা হলো স্থিতিশীলতা (Stability), স্বাস্থ্যসেবা (Healthcare), সংস্কৃতি ও পরিবেশ (Culture & Environment), শিক্ষা (Education) এবং অবকাঠামো (Infrastructure)। ১৬ জুন, ২০২৫ তারিখে ইআইইউ ২০২৫ সালের তালিকা প্রকাশ করেছে।
• শীর্ষ শহরগুলো হলো: কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক (Copenhagen, Denmark), ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া (Vienna, Austria), জুরিখ, সুইজারল্যান্ড (Zurich, Switzerland), মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া (Melbourne, Australia) এবং জেনেভা, সুইজারল্যান্ড (Geneva, Switzerland)।
• বাংলাদেশের অবস্থান ১৭১ তম।

0
Updated: 5 days ago