ODS (Ozone Depleting Substances) এর ব্যবহার কমানোর জন্য কোন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়?
A
কিয়োটো প্রটোকল
B
মন্ট্রিল প্রটোকল
C
প্যারিস চুক্তি
D
রামসার কনভেনশন
উত্তরের বিবরণ
ওজোন স্তর ক্ষয়কারী পদার্থ (ODS) ব্যবহারের পরিমাণ কমানোর লক্ষ্যে ১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর কানাডার মন্ট্রিলে স্বাক্ষরিত হয় মন্ট্রিল প্রোটোকল, যা ১৯৮৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। এটি ওজোন স্তর রক্ষায় বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক চুক্তি।
-
ODS (Ozone Depleting Substances) হলো এমন পদার্থ যা সাধারণত রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র এবং অ্যারোসলের মতো পণ্যে ব্যবহৃত হয়।
-
চুক্তির পূর্ণ নাম: The Montreal Protocol on Substances that Deplete the Ozone Layer।
-
উদ্দেশ্য: ওজোন স্তর ক্ষয়কারী পদার্থের উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধ করা।
-
মূল বিষয়: ওজোন স্তরের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
-
চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশ: ২০০টি
-
চুক্তি অনুমোদনকারী দেশ: ১৯৮টি
ওজোন ক্ষয়ের প্রধান কারণ ও প্রভাব:
-
প্রধান ক্ষয়কারী গ্যাসগুলো হলো CFCs (ক্লোরোফ্লোরোকার্বন), হ্যালন, কার্বন টেট্রাক্লোরাইড, মিথাইল ক্লোরোফর্ম, মিথাইল ব্রোমাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড ও হাইড্রোব্রোমোফ্লোরোকার্বন।
-
এসব গ্যাস ওজোন স্তরে ওজোন হোল (গর্ত) সৃষ্টি করে এবং একই সঙ্গে শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাস হিসেবে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি করে।
-
এ গ্যাসগুলো ব্যবহৃত হয় রেফ্রিজারেশন ও এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেম, অ্যাজমা ইনহেলার, ফোম তৈরি, এবং মাইক্রোইলেকট্রনিক সার্কিট পরিষ্কারে।
-
সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি (UV rays) থেকে জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য ওজোনস্তর সংরক্ষণ অপরিহার্য।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
ওজোনস্তর রক্ষার প্রথম আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ ছিল ১৯৮৫ সালের ভিয়েনা কনভেনশন, যা জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (UNEP)-এর উদ্যোগে গৃহীত হয়।
-
এরই ধারাবাহিকতায় মন্ট্রিল প্রোটোকল বিশ্বব্যাপী ওজোনস্তর রক্ষার কার্যকর চুক্তি হিসেবে স্বীকৃত।

0
Updated: 17 hours ago
'NPT' চুক্তি কত সালে স্বাক্ষরিত হয় কত সালে?
Created: 1 month ago
A
১৯৬৬ সালে
B
১৯৬৭ সালে
C
১৯৬৮ সালে
D
১৯৬৯ সালে
NPT চুক্তি (সংক্ষিপ্ত নোট আকারে)
পূর্ণরূপ: Nuclear Non-Proliferation Treaty (NPT)
অর্থ: পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি
স্বাক্ষরিত হয়: ১ জুলাই, ১৯৬৮
কার্যকর হয়: ৫ মার্চ, ১৯৭০
স্বাক্ষরিত দেশ: ১৯১টি (আগস্ট, ২০২৫ পর্যন্ত)
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্র: ৯টি
চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান, ইসরায়েল ও উত্তর কোরিয়া।
বাংলাদেশ NPT-তে স্বাক্ষর করে: ২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৯
তথ্যসূত্র: Arms Control Association ওয়েবসাইট & UNODA ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 month ago
তাসখন্দ চুক্তি কখন স্বাক্ষরিত হয়?
Created: 4 months ago
A
১৯৬৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর
B
১৯৬৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর
C
১৯৬৬ সালের ১০ জানুয়ারি
D
১৯৬৭ সালের ৩০ জানুয়ারি
তাসখন্দ চুক্তি (১৯৬৬)
-
১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধ সমাপ্তির পথ তৈরি করে তাসখন্দ চুক্তি।
-
চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয় ১০ জানুয়ারি ১৯৬৬ সালে।
-
এই চুক্তির পক্ষ ছিল ভারত ও পাকিস্তান।
-
ভারতের হয়ে স্বাক্ষর করেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী, এবং পাকিস্তানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান।
-
মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ছিলেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধানমন্ত্রী নিকলাই কোসিগিন।
-
চুক্তির মূল উদ্দেশ্য ছিল কাশ্মীর সমস্যার কারণে উদ্ভূত যুদ্ধ বন্ধ করে দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
উৎস: Britannica

0
Updated: 4 months ago
"কনভেনশন অন ওয়েটল্যান্ডস" চুক্তি কোন দেশে স্বাক্ষরিত হয়েছে?
Created: 1 week ago
A
ইরাক
B
ইরান
C
ইতালি
D
ফ্রান্স
রামসার কনভেনশন হলো একটি বিশ্বব্যাপী উদ্যোগ, যা জৈববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং জলাভূমি রক্ষার লক্ষ্যে গৃহীত। এটি ১৯৭১ সালে ইরানের রামসার শহরে “Convention on Wetlands” নামে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি হিসেবে স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি ২১ ডিসেম্বর, ১৯৭৫ সালে কার্যকর হয় এবং বর্তমানে এর স্বাক্ষরকারী দেশ সংখ্যা ১৭২টি। বাংলাদেশ ১৯৯২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রামসার সনদ কার্যকর করে এবং বর্তমানে দেশের সুন্দরবন ও টাঙ্গুয়ার হাওর রামসার সাইট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত।
• রামসার কনভেনশন জলাভূমি সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র রক্ষা এবং প্রজাতির জীববৈচিত্র্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
• এটি জলাভূমি ব্যবস্থাপনা, দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করে।
• সদস্য দেশগুলো জলাভূমি সংরক্ষণের জন্য নীতি প্রণয়ন, গবেষণা ও সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করে।
• রামসার সাইটগুলো পর্যটন, শিক্ষা এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের জীবিকা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
• চুক্তিটি বিশ্বব্যাপী জলাভূমি সংরক্ষণে একটি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক কাঠামো হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 1 week ago