মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোন প্রেসিডেন্ট জাপানে পারমানবিক বোমা নিক্ষেপের অনুমোদন করেছিলেন?
A
হাঁরি এস. ট্রুম্যান
B
ফ্রাঙ্কলিন ডি, বুজভেল্ট
C
রিচার্ড নিক্সন
D
জর্জ ডারিও বুশ
উত্তরের বিবরণ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩তম প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস. ট্রুম্যান ছিলেন সেই ব্যক্তি যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপের অনুমোদন দেন। এই সিদ্ধান্ত মানব ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ও বিতর্কিত অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়।
হ্যারি এস. ট্রুম্যান ১৯৪৫ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
-
তিনি ফ্র্যাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্টের মৃত্যুর পর উপরাষ্ট্রপতি থেকে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
-
তার নেতৃত্বেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্বে যুক্তরাষ্ট্র জাপানের বিরুদ্ধে পরমাণু বোমা ব্যবহার করে।
-
তিনি হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে বোমা বর্ষণের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য ‘ম্যানহাটান প্রজেক্ট’ নামে একটি গোপন প্রকল্প হাতে নেয়।
-
এই প্রকল্পের প্রধান ছিলেন বিজ্ঞানী রবার্ট ওপেনহেইমার, যিনি “পারমাণবিক বোমার জনক” নামে পরিচিত।
-
৬ আগস্ট ১৯৪৫ সালে হিরোশিমায় ‘লিটলবয়’ নামের বোমাটি নিক্ষেপ করা হয়।
-
৯ আগস্ট ১৯৪৫ সালে নাগাসাকিতে ‘ফ্যাটম্যান’ নামের দ্বিতীয় বোমাটি ফেলা হয়।
-
এই দুই বিস্ফোরণে লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারায় এবং শহর দুটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়।

0
Updated: 17 hours ago
মার্কিন গৃহযুদ্ধের সময় কে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
ইউলিসিস এস. গ্রান্ট
B
জন টাইলার
C
আব্রাহাম লিংকন
D
টমাস জেফারসন
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সংস্থা
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস
আব্রাহাম লিংকন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
সাম্রাজ্যের পতন
মার্কিন গৃহযুদ্ধ (American Civil War)
-
সংজ্ঞা: যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণের ১১টি রাজ্য ও বাকি যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যগুলোর মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধ ইতিহাসে "আমেরিকার গৃহযুদ্ধ" নামে পরিচিত।
-
সময়কাল: ১২ এপ্রিল, ১৮৬১ – ২৬ মে, ১৮৬৫ (মোট প্রায় ৪ বছর)।
-
রাষ্ট্রপতি: আব্রাহাম লিংকন (১৬তম রাষ্ট্রপতি, দায়িত্বকাল: ১৮৬১ – ১৮৬৫, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত)।
যুদ্ধের মূল কারণ
-
দাসপ্রথা নিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার মধ্যে তীব্র মতবিরোধ।
-
উত্তরাঞ্চল: দাসপ্রথা বিলোপের পক্ষে।
-
দক্ষিণাঞ্চল: অর্থনীতির জন্য দাসপ্রথার উপর নির্ভরশীল।
-
১৮৬০ সালে দাসপ্রথাবিরোধী রিপাবলিকান নেতা আব্রাহাম লিংকনের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর দক্ষিণের ১১টি রাজ্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়।
-
প্রশ্ন ছিল—দক্ষিণাঞ্চল কি স্বাধীনভাবে দাসপ্রথা চালিয়ে যেতে পারবে, নাকি কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি মানতে বাধ্য হবে।
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা
-
১৮৬১: সাউথ ক্যারোলিনার ফোর্ট সামটার (Fort Sumter) আক্রমণের মাধ্যমে গৃহযুদ্ধের সূচনা।
-
১৮৬৩: আব্রাহাম লিংকনের Emancipation Proclamation—কনফেডারেট রাজ্যগুলোতে দাসদের মুক্ত ঘোষণা করা হয়। এর ফলে যুদ্ধের লক্ষ্য দাসপ্রথা বিলোপের দিকে মোড় নেয়।
-
১৮৬৫ (এপ্রিল): ভার্জিনিয়ার Appomattox Court House-এ কনফেডারেট জেনারেল রবার্ট ই. লি ইউনিয়ন জেনারেল ইউলিসিস এস. গ্রান্টের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এর মাধ্যমে যুদ্ধ কার্যত সমাপ্ত হয়।
উৎস:
i) Encyclopaedia Britannica
ii) BBC

0
Updated: 1 month ago
বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদন ২০২৫ অনুযায়ী, বিনিয়োগে শীর্ষ দেশ কোনটি? [সেপ্টেম্বর, ২০২৫]
Created: 2 weeks ago
A
চীন
B
যুক্তরাষ্ট্র
C
জাপান
D
লুক্সেমবার্গ
World Investment Report 2025 জুন ২০২৫ সালে প্রকাশ করেছে UN Trade and Development (UNCTAD)। প্রতিবেদনে বৈশ্বিক বিনিয়োগ প্রবাহ ও দেশভিত্তিক অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে।
-
বিনিয়োগে শীর্ষ ৫ দেশ হলো:
১. যুক্তরাষ্ট্র – ২,৬৬,৩৬৭ মিলিয়ন ডলার
২. জাপান – ২,০৪,৩৮০ মিলিয়ন ডলার
৩. চীন – ১,৬২,৭৮০ মিলিয়ন ডলার
৪. লুক্সেমবার্গ – ১,০৮,৫৯৮ মিলিয়ন ডলার
৫. হংকং – ৮৭,২৪৭ মিলিয়ন ডলার -
বৈশ্বিক বিনিয়োগে যুক্তরাষ্ট্র ধারাবাহিকভাবে শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে।
-
জাপানের বিনিয়োগ বৃদ্ধির পেছনে প্রধানত প্রযুক্তি খাত ও বৈদেশিক সম্পদে বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।
-
চীন এখনো এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ হলেও সাম্প্রতিক সময়ে অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ তার প্রবৃদ্ধিকে কিছুটা প্রভাবিত করেছে।
-
লুক্সেমবার্গ একটি বৈশ্বিক আর্থিক কেন্দ্র হিসেবে কর-সুবিধা ও বহুজাতিক কোম্পানির সদরদপ্তর থাকার কারণে বিনিয়োগে শীর্ষ তালিকায় রয়েছে।
-
হংকংয়ের অবস্থান এশিয়ার বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সংযোগস্থল হিসেবে তার গুরুত্বকে প্রতিফলিত করছে।
-
সামগ্রিকভাবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক বিনিয়োগে ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, মুদ্রাস্ফীতি ও সুদের হার বৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে, তবে প্রযুক্তি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের প্রবণতা ইতিবাচক।

0
Updated: 2 weeks ago
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার উচ্চকক্ষ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
সিনেট
B
অ্যাসেম্বলি
C
হাউস অব লর্ডস
D
হাউস অব কাউন্সিলর
কংগ্রেস (Congress) – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের আইনসভা।
-
দেশের আইন প্রণয়নের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান।
-
দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা।
কংগ্রেসের দুটি কক্ষ:
-
নিম্নকক্ষ – প্রতিনিধি সভা (The House of Representatives)
-
আসন সংখ্যা: ৪৩৫
-
মেয়াদ: ২ বছর
-
-
উচ্চকক্ষ – সিনেট (The Senate)
-
আসন সংখ্যা: ১০০
-
তথ্যসূত্র: যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 month ago