ভাষা-পরিবার অনুযায়ী সাঁওতাল জনগোষ্ঠী প্রধানত কোন পরিবার ভুক্ত?
A
ইন্দো-আর্য
B
দ্রাবিড়
C
অস্ট্রিক-অস্ট্রো এসিয়াটিক (মুন্ডা)
D
তিব্বত-বর্মী
উত্তরের বিবরণ
সাঁওতাল বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ আদিবাসী জনগোষ্ঠী, যাদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও উৎসবধর্মী জীবনধারা এখনো স্বতন্ত্রভাবে টিকে আছে।
বাসস্থান: রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর ও বগুড়া অঞ্চলে প্রধানত বসবাস করে।
-
মূল নিবাস: রাঢ়বঙ্গ, বিহার, উড়িষ্যা এবং ছোটনাগপুরের অরণ্য এলাকা; পরে সরকার নির্ধারিত সাঁওতাল পরগনায় স্থায়ী হয়।
-
জাতিগত পরিচয়: অস্ট্রিক ভাষাভাষী আদি-অস্ট্রেলীয় বা প্রোটো-অস্ট্রালয়েড বংশোদ্ভূত।
-
ঐতিহাসিক গুরুত্ব: ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম আদি জনগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত; কৃষি ও কৃষিসংস্কৃতির প্রবর্তক ও ধারক হিসেবে স্বীকৃত।
-
সংস্কৃতি ও উৎসব: সাঁওতালরা অত্যন্ত উৎসবপ্রিয়; বাঙালিদের মতো এদেরও বারো মাসে তেরো পার্বণ। তাদের বছর শুরু হয় ফাল্গুন মাসে। প্রতিটি মাস বা ঋতুতে পরব বা উৎসব নৃত্য, গান ও বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে মহাসমারোহে উদযাপিত হয়।
প্রধান উৎসবসমূহ:
-
ফাল্গুন: স্যালসেই উৎসব (নববর্ষ উৎসব)
-
চৈত্র: বোঙ্গাবোঙ্গি
-
বৈশাখ: হোম
-
আশ্বিন: দিবি
-
পৌষের শেষ: সোহরাই উৎসব

0
Updated: 18 hours ago
'রাস নৃত্য' কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংস্কৃতির সবচেয়ে উৎকৃষ্ট নিদর্শন?
Created: 1 month ago
A
মারমা
B
মণিপুরী
C
ত্রিপুরা
D
গারো
মণিপুরী নৃত্য ও সংস্কৃতি
-
অবস্থান: বাংলাদেশের বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে, বিশেষ করে সিলেট শহর ও শহরতলি, মৌলভীবাজার (কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া, বড়লেখা), হবিগঞ্জের চুনারঘাট এবং সুনামগঞ্জের ছাতকে।
-
সংস্কৃতি: মণিপুরী সংস্কৃতি সমৃদ্ধ এবং ঐতিহ্যবাহী।
-
নৃত্য ও সঙ্গীত: মণিপুরীদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
প্রধান নৃত্যশৈলী:
-
জাগই (Jagoi): মণিপুরী ভাষায় নৃত্যের প্রতিশব্দ।
-
শারীরিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ চালনার মাধ্যমে বৃত্ত বা উপবৃত্ত সৃষ্টি করা হয়।
-
রাস (Rasa) নৃত্য: মণিপুরী নৃত্যের উৎকৃষ্ট নিদর্শন, ভারতীয় সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
-
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
বর্তমানে দেশে স্বীকৃত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কয়টি? [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
৪৮টি
B
৪৯টি
C
৫০টি
D
৫১টি
বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
-
সংখ্যা ও স্বীকৃতি:
-
দেশে বর্তমানে ৫০টি স্বীকৃত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রয়েছে (জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী)।
-
-
ভৌগোলিক বিস্তৃতি:
-
সবচেয়ে বেশি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রাঙামাটিতে বসবাস করে।
-
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
-
মোট মানুষের মধ্যে পুরুষ ৪৯.৯৮%, নারী ৫০.০২%।
-
৬০.০৪% চট্টগ্রাম বিভাগে, ১৪.৮২% রাজশাহী, ৮.২৮% সিলেট, ৫.৫২% রংপুর, ৪.৯৯% ঢাকা বিভাগে বসবাস করে।
-
-
প্রধান জনগোষ্ঠী ও বৈচিত্র্য:
-
পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৩টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করে।
-
উল্লেখযোগ্য গোষ্ঠী: চাকমা, ত্রিপুরা, ম্রো, খুমি, লুসাই, মারমা, রাখাইন, চাক, বম, খেয়াং, পাঙ্খোয়া।
-
-
সর্ববৃহৎ গোষ্ঠী:
১. চাকমা
২. মারমা
৩. ত্রিপুরা
উৎস:
i) জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২
ii) প্রথম আলো

0
Updated: 1 month ago
গারোদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব কোনটি?
Created: 1 month ago
A
বিজু
B
ওয়ানগালা
C
সাংগ্রাই
D
রাস পূর্ণিমা
ওয়ানগালা উৎসব
-
এই উৎসবে সালজং দেবতাকে ফসল উৎসর্গ করা হয়। এটি গারোদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব।
-
• গারো নৃগোষ্ঠী:
-
গারো ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় ও বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় বসবাসকারী আদিবাসী সম্প্রদায়।
-
ভারতে মেঘালয় ছাড়াও আসামের কামরূপ, গোয়ালপাড়া ও কারবি আংলং জেলায় এবং বাংলাদেশের ময়মনসিংহ ছাড়াও টাঙ্গাইল, সিলেট, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ঢাকাও গাজীপুর জেলায় গারোরা বসবাস করে।
-
গারোরা ভাষা অনুযায়ী বোডো-মঙ্গোলীয় ভাষাগোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত।
-
জাতিগত পরিচয়ের ক্ষেত্রে অনেক গারো নিজেদেরকে মান্দি বলে পরিচয় দেন।
-
গারোদের ভাষায় ‘মান্দি’ শব্দের অর্থ ‘মানুষ’।
-
গারো সমাজে মাতৃতান্ত্রিক পরিবার প্রথা প্রচলিত।
-
তাদের প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব ওয়ানগালা; যেখানে দেবতা মিসি ও সালজং এর উদ্দেশ্যে উৎপাদিত ফসল উৎসর্গ করা হয়।
অন্যদিকে:
-
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যারা যে উৎসব করে তাকে বিজু বলে।
-
মার্মাদের সবচেয়ে বড় উৎসব হলো সাংগ্রাই।
সূত্র: ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সনদ

0
Updated: 1 month ago