Demographic Dividend বলতে কী বুঝায়?
A
শিশু মৃত্যুহার হ্রাস
B
জন্মহার শূনের কোটায় আনা
C
জনসংখ্যার অধিকাংশ বেকার
D
কর্মক্ষম বয়স গোষ্ঠীর অনুপাত বৃদ্ধি
উত্তরের বিবরণ
ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড হলো এমন একটি অবস্থা, যখন কোনো দেশের কর্মক্ষম জনসংখ্যা (১৫-৬৪ বছর বয়সী) মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি হয়। এ সময় নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম থাকে, ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুযোগ বৃদ্ধি পায়।
-
অর্থ: যখন ১৫-৬৪ বছর বয়সী জনগোষ্ঠী দেশের মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশের বেশি হয়, তখন সেটিকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বলা হয়।
-
অবস্থা: এই পর্যায়ে নির্ভরশীল জনগোষ্ঠী (১৫ বছরের নিচে ও ৬৪ বছরের ওপরে) কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর তুলনায় কম থাকে।
-
বাংলাদেশের অবস্থা: বর্তমানে বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা জনমিতিক লভ্যাংশ সময় অতিক্রম করছে।
-
তথ্যসূত্র: বিবিএসের ২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২২ হাজার ৯১১ জন, যার মধ্যে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী ১১ কোটি ৭ লাখ (৬৫.২৩%)।
-
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা: জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের মতে, বাংলাদেশ ২০৫০ সাল পর্যন্ত এই লভ্যাংশের সুবিধা ভোগ করবে।
-
গুরুত্ব: এই সুযোগকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো গেলে একটি দেশ দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জন করতে পারে।

0
Updated: 18 hours ago
কোন সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশে সংসদীয় সরকার পদ্ধতির পুনঃপ্রবর্তন ঘটে?
Created: 6 days ago
A
৪র্থ সংশোধনী
B
দ্বাদশ সংশোধনী
C
ত্রয়োদশ সংশোধনী
D
ষোড়শ সংশোধনী
দ্বাদশ সংশোধনী বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৯১ সালের ৬ই আগস্ট জাতীয় সংসদে এই সংশোধনী পাস হয় এবং এর মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার কাঠামোতে মৌলিক পরিবর্তন আসে।
-
দ্বাদশ সংশোধনীর মূল বিষয়বস্তু:
১. রাষ্ট্রপতি হন রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রধান, অর্থাৎ তিনি রাষ্ট্রের প্রতীকী প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২. প্রধানমন্ত্রী হন রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী বা সরকার প্রধান, যিনি সরকারের কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
৩. মন্ত্রিপরিষদ, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে, জাতীয় সংসদের কাছে দায়বদ্ধ থাকে; অর্থাৎ সরকারের জবাবদিহিতা সংসদের প্রতি প্রতিষ্ঠিত হয়। -
অতিরিক্ত প্রাসঙ্গিক তথ্য:
১. চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৫ সালে সংসদীয় গণতন্ত্রের পরিবর্তে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল।
২. ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়।
৩. ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের ৭২ এর ৯৬ অনুচ্ছেদ পুনঃস্থাপন করে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

0
Updated: 6 days ago
কোন এলাকাকে 'Marine Protected Area (MPA)' ঘোষণা করা হয়েছে?
Created: 1 week ago
A
সেন্টমার্টিন
B
সেন্টমার্টিন এবং এর আশেপাশের এলাকা
C
পটুয়াখালী ও বরগুনা
D
হিরন পয়েন্ট
Marine Protected Area (MPA) সংক্রান্ত বিষয়টি হলো সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও এর আশেপাশের সমুদ্রসীমাকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করার উদ্যোগ। এই পদক্ষেপ মূলত পরিবেশ রক্ষা ও সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।
-
সেন্টমার্টিন দ্বীপ এবং এর আশেপাশের ১,৭৪৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া (MPA) হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
-
এর আগে, ১৯৯৯ সালে ৫৯০ হেক্টর এলাকা সংরক্ষিত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল, যেটি তখন ‘সেন্টমার্টিন মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া’ নামে পরিচিত ছিল।
-
নতুন ঘোষণার মধ্যে বঙ্গোপসাগরের ৭০ মিটার গভীর সমুদ্রও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
-
এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো অনিয়ন্ত্রিত জাহাজ ও ইঞ্জিনচালিত নৌকার চলাচল নিয়ন্ত্রণ, মাছ আহরণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, সমুদ্রে বর্জ্য ও ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ নিক্ষেপ রোধ, প্রবাল উপনিবেশের সংরক্ষণ, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা।

0
Updated: 1 week ago
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্যের অন্যতম প্রস্তাব কি?
Created: 18 hours ago
A
দ্বি-স্তর বিশিষ্ট সংসদ
B
সংসদের আসন বৃদ্ধি
C
সংরক্ষিত নারী আসন বাতিল
D
পি আর (PR) চালু করা
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সংস্কার নিয়ে ঐকমত্যের অন্যতম প্রস্তাব ছিল দ্বি-স্তর বিশিষ্ট সংসদ গঠন। এ প্রস্তাবের উদ্দেশ্য ছিল সংসদীয় ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর, ভারসাম্যপূর্ণ ও জনকেন্দ্রিক করা।
সংস্কার প্রস্তাবের মূল দিকগুলো হলো:
-
বর্তমান এককক্ষের পরিবর্তে নিম্নকক্ষ (জাতীয় সংসদ) ও উচ্চকক্ষ (সিনেট) গঠন করা হবে।
-
এই ব্যবস্থায় আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া হবে আরও সুষ্ঠু ও চেক-অ্যান্ড-ব্যালেন্স ভিত্তিক।
-
নিম্নকক্ষে ৪০০ সদস্য থাকবে (এর মধ্যে ৩০০ জন সরাসরি নির্বাচিত ও ১০০ জন নারী সংরক্ষিত আসনে সরাসরি নির্বাচিত)।
-
উচ্চকক্ষে ১০৫ সদস্য থাকবে (এর মধ্যে ১০০ জন সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে নির্বাচিত, ৫ জন রাষ্ট্রপতির মনোনীত, এবং ৩০% নারী সংরক্ষিত আসন)।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
২০২৪ সালের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে সরকার ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে—সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
-
সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
-
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই কমিশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

0
Updated: 18 hours ago