'তিনি কথা বললেন না।'- বাক্যটির অস্তিবাচক রূপ কী হবে?
A
তিনি কথা বলতে চাইলেন না।
B
তিনি কথা না বলে থাকতে পারলেন না।
C
তিনি নীরব থাকতে চেষ্টা করলেন।
D
তিনি চুপ করে থাকলেন।
উত্তরের বিবরণ
মূল বাক্য: তিনি কথা বললেন না।
প্রশ্ন: এর অস্তিবাচক রূপ কী হবে?
এই বাক্যটি একটি নেতিবাচক বাক্য, যেখানে বোঝানো হয়েছে – তিনি কিছু বলেননি।
অস্তিবাচক রূপ মানে এমন একটি বাক্য তৈরি করা, যা ইতিবাচক শব্দে বলা হলেও মূল অর্থ একই থাকে—মানে, কথার অনুপস্থিতি বোঝাতে হবে।
এখন বিভিন্ন বিকল্প দেখা যাক:
ক) তিনি কথা বলতে চাইলেন না:
এখানে এখনও “চাইলেন না” – এটি একটি নেতিবাচক শব্দ, তাই এটি সম্পূর্ণ অস্তিবাচক রূপ নয়।
খ) তিনি কথা না বলে থাকতে পারলেন না:
এই বাক্যেও “পারলেন না” আছে, যেটা আবার নেতিবাচক, তাই এটিও সঠিক নয়।
গ) তিনি নীরব থাকতে চেষ্টা করলেন:
এখানে বোঝানো হয়েছে, তিনি চেষ্টা করেছেন নীরব থাকার, কিন্তু এটি মূল বাক্যের সরল অর্থ (কথা না বলা) ঠিকভাবে প্রকাশ করে না।
✅ ঘ) তিনি চুপ করে থাকলেন:
এই বাক্যে কোনো নেতিবাচক শব্দ নেই, কিন্তু অর্থ ঠিকই বোঝায় – তিনি কিছু বলেননি।
এটাই হচ্ছে আসল অর্থের ইতিবাচকভাবে প্রকাশ – মানে সঠিক অস্তিবাচক রূপ।
ফলাফল:
✔ সঠিক উত্তর: "তিনি চুপ করে থাকলেন।"
কারণ এটি ইতিবাচক রূপে বলা হলেও মূল নেতিবাচক অর্থটি বজায় রেখেছে।
উৎস: ড. হায়াৎ মামুদ, ভাষা-শিক্ষা
0
Updated: 3 months ago
'মা ছিল না বলে কেউ তার চুল বেঁধে দেয়নি।' এটি একটি-
Created: 2 months ago
A
জটিল বাক্য
B
যৌগিক বাক্য
C
সরল বাক্য
D
মিশ্র বাক্য
১. সরল বাক্য
যে বাক্যে শুধুমাত্র একটি সমাপিকা ক্রিয়া থাকে, তাকে সরল বাক্য বলা হয়।
উদাহরণ:
-
পাখিগুলো নীল আকাশে উড়ছে।
-
তিনি ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন।
মুল বিষয়: একটিমাত্র ক্রিয়া থাকলে বাক্যটি সরল।
২. জটিল বাক্য
জটিল বাক্যে একটি বাক্য অন্য বাক্যের সঙ্গে নির্ভরশীল বা সাপেক্ষ থাকে।
এক্ষেত্রে কখনো কখনো ‘বলে’ বা অন্যান্য ক্রিয়াজাত অনুসর্গ যেমন: করে, থেকে, দিয়ে, ধরে, হতে ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়।
মুল নিয়ম: ‘বলে’ যদি ক্রিয়া বোঝায় না, তবে এটি ক্রিয়াজাত অনুসর্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে এবং বাক্যটি জটিল।
উদাহরণ:
-
মা ছিল না বলে কেউ তার চুল বেঁধে দেয়নি।
-
তুমি আসবে বলে আমি অপেক্ষা করছি।
-
তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা, সাকিনা বিবির কপাল ভাঙল।
মন্তব্য: অনেকেই জটিল ও মিশ্র বাক্যকে একেরূপ ধরে নেন। ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় মিশ্র বাক্যকে জটিলের সমার্থক বলেছেন, কিন্তু এটি পরীক্ষায় গ্রহণযোগ্য নয়।
ক্রিয়াজাত অনুসর্গের উদাহরণ:
-
ভালো করে পড়াশোনা করো।
-
মন দিয়ে কাজ করো।
৩. যৌগিক বাক্য
যখন দুই বা ততোধিক নিরপেক্ষ বাক্য (সরল বা মিশ্র) একত্রিত হয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বাক্য গঠন করে, তখন তাকে যৌগিক বাক্য বলা হয়।
সাধারণত এই বাক্যগুলোকে সংযুক্ত করতে ব্যবহৃত হয় সংযোজক অব্যয় যেমন: এবং, ও, কিন্তু, অথবা, অথচ, কিংবা, বরং, তথাপি ইত্যাদি।
উদাহরণ:
-
ত্যাগ এবং জ্ঞান মানুষকে মুক্তির পথে পরিচালিত করে।
-
এখানে দুটি স্বতন্ত্র বাক্য আছে:
১. ত্যাগ মানুষকে মুক্তির পথে পরিচালিত করে।
২. জ্ঞান মানুষকে মুক্তির পথে পরিচালিত করে। -
সংযোজক: ‘এবং’
-
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
0
Updated: 2 months ago
'যেহেতু তুমি বেশি নম্বর পেয়েছ, সুতরাং তুমি প্রথম হবে' কোন ধরনের বাক্য?
Created: 3 months ago
A
সরল
B
জটিল
C
যৌগিক
D
অনুজ্ঞামূলক
যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্যের সাথে এক বা একাধিক অপ্রধান খণ্ডবাক্য যুক্ত থাকে, বা একাধিক বাক্য পরস্পরের সঙ্গে নির্ভরশীল ও সম্পর্কিত হয়ে ব্যবহৃত হয়, তাকে জটিল বাক্য বলা হয়।
সহজ কথায়, যেখানে একটি মূল বাক্যের সঙ্গে সাব-বাক্যগুলো সংযুক্ত থাকে এবং তারা একে অপরের ওপর নির্ভরশীল, সেসব বাক্যই জটিল বাক্য।
জটিল বাক্যে ব্যবহৃত সাপেক্ষ সর্বনাম ও সাপেক্ষ যোজক
জটিল বাক্যে প্রায়শই ‘যে-সে’, ‘যারা-তারা’, ‘যিনি-তিনি’, ‘যাঁরা-তাঁরা’, ‘যা-তা’ এর মতো সাপেক্ষ সর্বনাম এবং ‘যদি-তবে’, ‘যদিও-তবু’, ‘যেহেতু-সেহতু’, ‘যত-তত’, ‘যেটুকু-সেটুকু’, ‘যেমন-তেমন’, ‘যখন-তখন’ ইত্যাদি সাপেক্ষ যোজক ব্যবহৃত হয়।
এই ধরনের শব্দ ও যুক্তি অপ্রধান ও প্রধান খণ্ডবাক্যগুলোকে যুক্ত করে এবং বাক্যের অর্থকে পরস্পরের সঙ্গে সাপেক্ষ করে।
উদাহরণসমূহ
-
যেহেতু তুমি ভালো ফলাফল করেছ, তাই তুমি প্রথম স্থান অধিকার করবে।
(এখানে ‘যেহেতু তুমি ভালো ফলাফল করেছ’ অংশটি অপ্রধান খণ্ডবাক্য এবং ‘তুমি প্রথম স্থান অধিকার করবে’ প্রধান খণ্ডবাক্য।) -
যে ছাত্রটি সময়মতো এসেছে, সে আমার বন্ধু।
-
যখন বৃষ্টি শুরু হলো, তখন আমরা ছাতা নিয়ে বের হলাম।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯), ড. হায়াৎ মামুদ, ভাষা-শিক্ষা
0
Updated: 3 months ago
"আমাকে একটি কলম দাও।" — এটি কোন ধরনের বাক্য?
Created: 2 months ago
A
প্রশ্নবাচক
B
অনুজ্ঞাবাচক
C
আবেগবাচক
D
আবেগবাচক
অনুজ্ঞাবাচক বাক্য
-
সংজ্ঞা: আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ, প্রার্থনা ইত্যাদি বোঝাতে যে বাক্য ব্যবহৃত হয়, তাকে অনুজ্ঞাবাচক বাক্য বলা হয়।
-
উদাহরণ:
-
আমাকে একটি কলম দাও।
-
তার মঙ্গল হোক।
-
আমাকে একটু জল দাও।
-
বিপদে ধৈর্য ধর।
-
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২৩ সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago