গোলক বসুকে সাধুচরণ বলে 'কাঙ্গালের কথা বাসি হলে ফলে' কারণ-
A
গোলক বসু নীল চাষে রাজি হয়নি
B
সাধুচরণের পরামর্শে দেশত্যাগ করেনি
C
নীলকরদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেনি
D
ছেলে নবীন মাধবকে শহরে পাঠায়নি
উত্তরের বিবরণ
উক্ত অংশটি দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটক থেকে গৃহীত, যেখানে সাধু চরিত্রের মুখে বলা এই সংলাপে তৎকালীন নীলচাষীদের দুর্দশা ও অসহায়তার চিত্র ফুটে উঠেছে। এটি মূলত বাংলার কৃষকশ্রেণির উপর ইংরেজ নীলকরদের শোষণ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক ব্যঙ্গাত্মক প্রতিবাদ।
-
“আমি তখনই বলেছিলাম, কর্তা মহাশয় আর এদেশে থাকা নয়” — এই কথায় সাধুর দূরদর্শিতা ও অভিজ্ঞতার বোধ প্রকাশ পেয়েছে; সে আগেই অনুধাবন করেছিল যে, দেশে থাকা বিপদের কারণ হবে।
-
“তা আপনি শুনিলেন না” — এতে কর্তাদের অবিবেচনা ও অহংকারের ইঙ্গিত রয়েছে, যারা সময়মতো সতর্কতা অবলম্বন করেননি।
-
“কাঙ্গালের কথা বাসি হলে খাটে” — এই প্রবাদবাক্যটি এখানে গভীর ব্যঙ্গের রূপ নিয়েছে, যার মাধ্যমে লেখক জনগণের অবজ্ঞা ও শোষণের প্রতিফলন ঘটিয়েছেন।
-
সার্বিকভাবে, এই সংলাপটি নাটকের সামাজিক বাস্তবতা, নিপীড়নের চিত্র ও সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে প্রতীকী অর্থ বহন করে।

0
Updated: 18 hours ago
সমাজের প্রাচীনপন্থীদের ব্যঙ্গ করে দীনবন্ধু মিত্র রচিত প্রহসন কোনটি?
Created: 1 week ago
A
বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ
B
টালা অভিনয়
C
বিয়ে পাগলা বুড়ো
D
এর উপায় কি
‘বিয়ে পাগলা বুড়ো’ প্রহসন
-
এটি দীনবন্ধু মিত্র কর্তৃক রচিত এবং সমাজের প্রাচীনপন্থীদের ব্যঙ্গ করার উদ্দেশ্যে তৈরি।
-
নাটকটি ১৮৬৬ সালে রচিত এবং ১৮৭২ সালে প্রথম মঞ্চস্থ হয়।
-
প্রহসনের বিষয়বস্তু হলো, বিবাহবাতিকগ্রস্ত এক বৃদ্ধের নকল বিয়ের আয়োজন কিভাবে স্কুলের অপরিপক্ক ছেলেরা নাস্তানাবুদ করে দেয়।
দীনবন্ধু মিত্রের উল্লেখযোগ্য প্রহসনসমূহ
-
বিয়ে পাগলা বুড়ো
-
সধবার একাদশী
-
জামাই বরিক
অন্য প্রহসনকারীদের উদাহরণ
-
‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ – মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রহসন
-
‘টালা অভিনয়’ ও ‘এর উপায় কি’ – মীর মশাররফ হোসেনের প্রহসন

0
Updated: 1 week ago
দ্বীনবন্ধু মিত্রের 'নীলদর্পন' নাটককে বঙ্কিম চন্দ্র Harriet Beecher Stow এরলেখা Uncle Tom এর সাথে তুলনা করেন কারণ-
Created: 19 hours ago
A
উভয় নাটকের বিষয় বস্তু নীলচাষ ও নীলকরদের অত্যাচার
B
উভয় নাটকে নারী নির্যাতনের করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে
C
উভয় নাটকে সমাজের একটি বিশেষ সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিবাদ রচিত হয়েছে
D
উভয় নাটোকেড়
দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ (১৮৬০) এবং হ্যারিয়েট বিচার স্টো-র ‘আঙ্কল টমস কেবিন’ (১৮৫২)— উভয়ই সমাজের গভীর অন্যায় ও মানবিক অবিচারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিবাদমূলক রচনা। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এই দুটি গ্রন্থের তুলনা করেছিলেন কারণ উভয়েই নিজেদের সমাজে প্রচলিত সামাজিক অবিচারের বিরুদ্ধে জাগরণ সৃষ্টি করেছিল।
-
‘নীলদর্পণ’ নাটকে বাংলার নীলকরদের অত্যাচার, কৃষকদের শোষণ ও জোরপূর্বক নীলচাষ আরোপের মতো ঔপনিবেশিক নির্যাতনের কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে। এটি ব্রিটিশ শাসনের অধীনে বাঙালি কৃষকের অবর্ণনীয় দুর্দশা ও প্রতিবাদের প্রতীক।
-
‘আঙ্কল টমস কেবিন’ উপন্যাসটি আমেরিকার ক্রীতদাস প্রথার নিষ্ঠুরতা ও মানবিক অপমানের বিরুদ্ধে এক তীব্র প্রতিবাদ। এটি দাসপ্রথা বিলোপ আন্দোলনে বিশাল প্রভাব ফেলেছিল।
-
বঙ্কিমচন্দ্রের মতে, দুটি রচনাই তাদের নিজ নিজ সমাজে অন্যায়ের বিরুদ্ধে নৈতিক কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করেছে— একটিতে নীলচাষের শোষণ, অন্যটিতে দাসপ্রথার অমানবিকতা।
-
উভয় রচনাই পাঠকের মধ্যে সচেতনতা, সহানুভূতি ও প্রতিবাদী মনোভাব জাগ্রত করেছে।
অতএব, সঠিক উত্তর হলো— গ) উভয় নাটকে সমাজের একটি বিশেষ সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিবাদ রচিত হয়েছে।

0
Updated: 19 hours ago
'নিমচাঁদ, কেনারাম' - কোন সাহিত্যকর্মের চরিত্র?
Created: 6 days ago
A
নবীন তপস্বিন
B
কমলে কামিনী
C
নীল দর্পন
D
সধবার একাদশী
‘সধবার একাদশী’ নাটক:
রচয়িতা: দীনবন্ধু মিত্র
-
প্রকাশিত: ১৮৬৬ খ্রিষ্টাব্দ
-
এটি উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগের সামাজিক নাটক, যেখানে যুবকদের জীবনে সুরাপান ও বেশ্যাবৃত্তির ফলে সৃষ্ট বিপর্যয়ের কাহিনী উপস্থাপন করা হয়েছে।
-
নাটকের উল্লেখযোগ্য চরিত্র: নিমচাঁদ, কেনারাম, সৌদামিনী, গিন্নী, কাঞ্চন ইত্যাদি।
দীনবন্ধু মিত্র:
-
জন্ম: ১৮৩০ খ্রিষ্টাব্দ
-
সাহিত্যজীবনের শুরু কবিতা দিয়ে হলেও নাট্যকার হিসেবে তিনি বেশি খ্যাত।
-
তিনি ইংরেজি শিক্ষিত নব্য যুবকদের মদ্যপান ও বারবণিতা ব্যঙ্গ করেছেন, বিশেষ করে ‘সধবার একাদশী’ নাটকে।
-
মৃত্যু: ১লা নভেম্বর, ১৮৭৩
উল্লেখযোগ্য নাটকসমূহ: নীল দর্পন, নবীন তপস্বিন, কমলে কামিনী

0
Updated: 6 days ago