'ইউসুফ-জুলেখা' কাব্যের উৎস হচ্ছে-
A
ইরানের রুপকথা
B
আরবদেশের রুপকথা
C
আল কোরআনের সুরা ইউসুফ
D
কবির কাল্পনিক আখ্যান
উত্তরের বিবরণ
ইউসুফ-জোলেখা কাহিনি ইসলামি ও খ্রিষ্টান ধর্মীয় সাহিত্যের একটি বহুল প্রচলিত গল্প, যা উভয় ধর্মগ্রন্থেই বিভিন্নভাবে বর্ণিত হয়েছে। এই কাহিনিতে ইউসুফের পবিত্রতা ও জোলেখার প্রেম-আবেগের দ্বন্দ্বের মাধ্যমে নৈতিকতা, আত্মসংযম ও মানবিক গুণের প্রকাশ ঘটে।
-
এই গল্পটি বাইবেল ও কোরান— উভয় ধর্মগ্রন্থেই উল্লেখ আছে।
-
ইরানের কবি ফেরদৌসি তাঁর কাব্যে ‘ইউসুফ ও জোলেখা’-র কাহিনি কাব্যিক আঙ্গিকে রূপায়িত করেছেন।
-
বাংলা কবি সগীর বাইবেল না পড়ে কোরান ও ফেরদৌসির কাব্য থেকে কাহিনিসূত্র গ্রহণ করেন।
-
তিনি ইউসুফ ও জোলেখার প্রেমকাহিনিকে বাংলা আখ্যানকবিতার রূপে উপস্থাপন করেন, যেখানে ধর্মীয় ভাব, মানবপ্রেম ও নৈতিক শিক্ষা একত্রে প্রতিফলিত হয়েছে।
-
তাঁর রচনায় ইসলামী সাহিত্যধারার প্রভাব স্পষ্ট, তবে ভাষা ও প্রকাশভঙ্গিতে রয়েছে বাংলা কাব্যের নিজস্ব সুর।

0
Updated: 18 hours ago
'আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে' লাইনটি নিম্নোক্ত কোন কাব্যে পাওয়া যায়?
Created: 2 weeks ago
A
অন্নদামঙ্গল
B
মনসামঙ্গল
C
চণ্ডীমঙ্গল
D
ধর্মমঙ্গল
‘প্রণমিয়া পাটুনী কহিছে জোড় হাতে আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’ পঙক্তিটি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর রচিত অন্নদামঙ্গল কাব্যের ‘আমার সন্তান’ কবিতার অন্তর্গত। এখানে লেখক ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’ কথাটি ঈশ্বরী পাটনীর মুখ দিয়ে উপস্থাপন করেছেন।
অন্নদামঙ্গল কাব্য সংক্রান্ত তথ্য:
-
রচয়িতা: ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।
-
তাঁকে মধ্যযুগের প্রথম নাগরিক কবি বলা হয়।
-
প্রধান চরিত্রসমূহ: মানসিংহ, ভবানন্দ, বিদ্যাসুন্দর, মালিনী, ঈশ্বরী পাটনী ইত্যাদি।
-
কাব্যটি তিন খণ্ডে বিভক্ত: শিবনারায়ণ, কালিকামঙ্গল, মানসিংহ-ভবানন্দ খণ্ড।
কাব্যের কিছু বিখ্যাত পঙক্তি হলো:
-
‘মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন’
-
‘নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়?’
-
‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’

0
Updated: 2 weeks ago
জীবনীকাব্য রচনার জন্য বিখ্যাত :
Created: 1 month ago
A
ফকির গরীবুল্লাহ
B
নরহরি চক্রবর্তী
C
বিপ্রদাস পিপিলাই
D
বৃন্দাবন দাস
বৃন্দাবন দাস ও জীবনীকাব্য
বাংলা সাহিত্যে জীবনীকাব্যের জনক হিসেবে খ্যাত বৃন্দাবন দাস। তিনি শ্রীচৈতন্যদেবের জীবনকাহিনী নিয়ে প্রথম জীবনীকাব্য রচনা করেন। এ কাব্যের নাম শুরুতে ছিল “চৈতন্যামঙ্গল”। পরে কাব্যের ভেতরে ভাগবতের প্রভাব ও লীলা বিষয়ক বর্ণনা থাকায় এর নামকরণ হয় “চৈতন্যভাগবত”।
ধারণা করা হয়, গ্রন্থটি রচিত হয় প্রায় ১৫৪৮ খ্রিষ্টাব্দে।
উৎস:বাংলা ভাষার ইতিহাস – মাহবুবুল আলম

0
Updated: 1 month ago
৯) মনসামঙ্গল কাব্যের প্রধান চরিত্র কোনটি?
Created: 2 months ago
A
চাঁদ সওদাগর
B
ভাঁড়দত্ত
C
ধনপতি
D
মানসিংহ
মনসামঙ্গল কাব্য
সংজ্ঞা ও বিষয়বস্তু
-
সাপের দেবী মনসা-র স্তব, স্তুতি ও কাহিনি নিয়ে রচিত কাব্যকে মনসামঙ্গল বলা হয়।
-
একে পদ্মাপুরাণ নামেও অভিহিত করা হয়।
-
রামায়ণ বা রাধাকৃষ্ণ-কাহিনি মূলত সংস্কৃত প্রভাবিত হলেও, মনসামঙ্গল উদ্ভূত হয়েছে বাংলার প্রাকৃত জীবন ও লৌকিক জীবনাচার থেকে।
প্রধান আখ্যান
-
চাঁদ সওদাগরের প্রথমে মনসা দেবীর প্রতি বিরূপ মনোভাব এবং পরে তাঁর অলৌকিক শক্তির প্রভাব স্বীকার করে বশ্যতা মেনে নেওয়াই মনসামঙ্গল কাব্যের মূল কাহিনি।
-
এই কাহিনি চৈতন্য-পূর্ব যুগ থেকেই নদী-নালা পরিবেষ্টিত গ্রাম বাংলার সর্পভীত মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
রূপ ও প্রচলন
-
মনসামঙ্গল মূলত পাঁচালি পালা।
-
এর কবির সংখ্যা শতাধিক, আর মুদ্রিত ও অমুদ্রিত পুথির সংখ্যাও বিপুল।
প্রধান কবি
-
আদি কবি: কানা হরিদত্ত
-
অন্যান্য কবি: বিজয়গুপ্ত, বিপ্রদাস পিপলাই, দ্বিজ বংশীদাস, কেতকা দাস, ক্ষেমানন্দ প্রমুখ।
মনসামঙ্গলের প্রধান চরিত্র
-
মনসা
-
চাঁদ সওদাগর
-
বেহুলা
-
লখিন্দর
-
সনকা
তুলনামূলক তথ্য
-
চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের চরিত্র: ভাঁড়দত্ত, ধনপতি
-
অন্নদামঙ্গল কাব্যের চরিত্র: মানসিংহ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 2 months ago