[এটি তৎকালীন সাম্প্রতিক প্রশ্ন যা পরিবর্তনশীল। অপশনে সঠিক উত্তর না থাকায় প্রশ্নটি বাতিল করা হলো] ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নাম কী?
A
সোনিয়া গান্ধী
B
ড. মনমোহন সিং (পূর্বে ছিলেন)
C
মমতা ব্যানার্জী
D
রাহুল গান্ধী
উত্তরের বিবরণ
এটি তৎকালীন সাম্প্রতিক প্রশ্ন যা পরিবর্তনশীল। অনুগ্রহ করে সাম্প্রতিক তথ্য দেখে নিন। সাম্প্রতিক আপডেট তথ্য জানার জন্য Live MCQ ডাইনামিক ইনফো প্যানেল, সাম্প্রতিক সমাচার বা অথেনটিক সংবাদপত্র দেখুন। অপশনে সঠিক উত্তর না থাকায় প্রশ্নটি বাতিল করা হলো।
ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হলেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি ২০১৪ সালে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন এবং পরবর্তীতে ২০১৯ ও ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ২০২৪ সালের ৯ জুন তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ।
নরেন্দ্র মোদি ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) দলের সদস্য এবং গুজরাট রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নেতৃত্বে ভারত সরকার বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যার মধ্যে জিএসটি চালু, মেক ইন ইন্ডিয়া, এবং সুয়াচ্ছ ভারত অভিযান উল্লেখযোগ্য।
0
Updated: 3 months ago
'ব্লাক ক্যাট' কোন দেশের কমান্ডো বাহিনী?
Created: 3 months ago
A
নেপাল
B
ভারত
C
মিয়ানমার
D
ইরান
ব্ল্যাক ক্যাট – ভারতের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবিরোধী কমান্ডো ইউনিট
‘ব্ল্যাক ক্যাট’ নামটি আসলে ভারতের ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (NSG)-এর জন্য ব্যবহৃত একটি জনপ্রিয় উপাধি। এটি একটি বিশেষায়িত অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনী,
যা মূলত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের জন্য গঠিত। NSG হচ্ছে একটি অভিজাত কমান্ডো ফোর্স, যেখানে দেশের বিভিন্ন সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনী থেকে দক্ষ সদস্য বাছাই করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এই ইউনিটটি শুধুমাত্র ভারতের অভ্যন্তরে কাজ করে এবং দেশের ভেতরে যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম মোকাবিলায় দ্রুত ও কার্যকর ভূমিকা রাখে। ব্ল্যাক ক্যাট বাহিনী ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়।
এই বিশেষ বাহিনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ১৬ই অক্টোবর, ১৯৮৪ সালে। বর্তমানে এর প্রধান কার্যালয় অবস্থিত ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে।
তথ্যসূত্র: National Security Guard (NSG) – Government of India Official Website.
0
Updated: 3 months ago
'র্যাডক্লিফ লাইন' কোন দুটি দেশের চিহ্নিত সীমারেখা?
Created: 1 day ago
A
জার্মানি - ফ্রান্স
B
ভারত - পাকিস্তান
C
ভারত - চীন
D
উত্তর কোরিয়া - দক্ষিণ কোরিয়া
‘র্যাডক্লিফ লাইন’ হলো ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার আন্তর্জাতিক সীমারেখা, যা ১৯৪৭ সালের ব্রিটিশ ভারত বিভাজনের সময় নির্ধারিত হয়। এই সীমারেখা আঁকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল স্যার সিরিল র্যাডক্লিফ নামে এক ব্রিটিশ আইনজীবীকে, যার নাম অনুসারেই এই রেখার নাম রাখা হয় ‘র্যাডক্লিফ লাইন’। এটি ভারত ও পাকিস্তান — পরবর্তীতে বাংলাদেশ (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) — এই দুই রাষ্ট্রের ভৌগোলিক সীমানা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটার সময় ভারতবর্ষে মুসলমান ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভক্তির রাজনীতি তীব্র হয়ে ওঠে। ভারতীয় উপমহাদেশকে ধর্মভিত্তিকভাবে ভাগ করে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র — ভারত ও পাকিস্তান — গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯৪৭ সালের ৩ জুন ব্রিটিশ সরকার এই বিভাজনের ঘোষণা দেয়, এবং মাত্র ৪০ দিনের মধ্যে র্যাডক্লিফকে পুরো সীমারেখা নির্ধারণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি আগে কখনো ভারতবর্ষে আসেননি এবং স্থানীয় সমাজ, সংস্কৃতি বা ভৌগোলিক বাস্তবতা সম্পর্কেও খুব বেশি জানতেন না।
র্যাডক্লিফের নেতৃত্বে দুটি পৃথক কমিশন গঠন করা হয় — একটি পাঞ্জাব সীমান্ত কমিশন ও অন্যটি বাংলা সীমান্ত কমিশন। এই দুটি কমিশনের কাজ ছিল কোন এলাকা পাকিস্তানে যাবে আর কোনটি ভারতে থাকবে তা নির্ধারণ করা। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে জনসংখ্যার ধর্মীয় অনুপাত, প্রশাসনিক সুবিধা, রেলপথ ও নদীপথের অবস্থান প্রভৃতি বিষয় বিবেচনা করা হয়, যদিও বাস্তবে অনেক জায়গায় রাজনৈতিক চাপ ও তাড়াহুড়ার কারণে সিদ্ধান্তগুলো বিতর্কিত হয়।
১৯৪৭ সালের ১৭ আগস্ট ‘র্যাডক্লিফ লাইন’-এর চূড়ান্ত মানচিত্র প্রকাশিত হয়। কিন্তু এর মধ্যেই ভারত ও পাকিস্তান স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা পায় ১৪ ও ১৫ আগস্টে। ফলস্বরূপ, বিভাজনের খবর জানার আগেই সীমান্তে ব্যাপক দাঙ্গা, রক্তপাত ও গণহত্যা সংঘটিত হয়। লক্ষ লক্ষ মানুষ ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে নিজেদের জন্মভূমি ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়, এবং প্রায় দুই কোটিরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।
র্যাডক্লিফ লাইন আজও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমারেখা হিসেবে বহাল রয়েছে। পশ্চিম দিকে এটি ভারতের পাঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাট প্রভৃতি অঞ্চলকে পাকিস্তানের সঙ্গে পৃথক করেছে; আর পূর্ব দিকে এটি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা ইত্যাদি রাজ্যের মধ্যে সীমা তৈরি করে।
এই সীমারেখা ইতিহাসে কেবল ভৌগোলিক বিভাজনের প্রতীক নয়, বরং একটি বেদনাময় অধ্যায়—যা কোটি মানুষের জীবন, সংস্কৃতি ও সামাজিক বন্ধনকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছিল। বিভাজনের পর থেকে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্তসংক্রান্ত বিরোধ ও রাজনৈতিক উত্তেজনা বহুবার সংঘাতের জন্ম দিয়েছে, বিশেষত কাশ্মীর ইস্যুতে।
সবশেষে বলা যায়, ‘র্যাডক্লিফ লাইন’ হলো ভারত ও পাকিস্তানের সীমারেখা, যা ১৯৪৭ সালের বিভাজনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়। এটি ইতিহাসে একদিকে স্বাধীনতার প্রতীক হলেও, অন্যদিকে মানবিক ট্র্যাজেডির এক নির্মম স্মারক হিসেবে আজও দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি ও সমাজে গভীর প্রভাব ফেলে রেখেছে।
0
Updated: 1 day ago
Research and Analysis Wing কোন দেশের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা?
Created: 1 month ago
A
ভারত
B
আমেরিকা
C
রাশিয়া
D
চায়না
ভারতের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা RAW জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৮ সালে এবং এর মাধ্যমে ভারতের বহিরাগত গোয়েন্দা কার্যক্রম আলাদাভাবে পরিচালিত হতে থাকে।
-
পূর্ণরূপ: Research and Analysis Wing (RAW)।
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯৬৮ সালে।
-
RAW প্রতিষ্ঠার আগে ভারতের Intelligence Bureau (IB) দেশের অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত উভয় ধরনের গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করত।
-
প্রথম পরিচালক: রামেশ্বর নাথ কাও।
0
Updated: 1 month ago