নাট্যরীতিতে মেলোড্রামার নেতিবাচকতা কী?
A
অতিরঞ্জন
B
অতিকথন
C
চরিত্রের আধিক্য
D
কম চরিত্রের উপস্থিতি
উত্তরের বিবরণ
মেলোড্রামা নাট্যরীতির এমন এক ধরন, যেখানে আবেগ, নৈতিক দ্বন্দ্ব ও ঘটনাবলিকে অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপন করা হয়। এই অতিরঞ্জনই মেলোড্রামার মূল বৈশিষ্ট্য ও দুর্বলতা উভয়ই।
-
মেলোড্রামায় চরিত্রগুলো সাধারণত অত্যন্ত আবেগপ্রবণ ও স্পষ্টভাবে ভালো-মন্দে বিভক্ত থাকে।
-
ঘটনাগুলোকে এমনভাবে সাজানো হয় যে, তা দর্শকের মধ্যে তীব্র আবেগ বা করুণা সৃষ্টি করে।
-
সংলাপগুলো অতিরিক্ত নাটকীয় এবং প্রায়ই বাস্তবতার সীমা অতিক্রম করে কৃত্রিমতার আবেশ তৈরি করে।
-
এই রীতিতে নৈতিকতার বার্তা খুব স্পষ্ট হলেও, অতিরঞ্জনের কারণে বাস্তবতা ও শিল্পরুচির ভারসাম্য নষ্ট হয়।
অতএব, সঠিক উত্তর হলো — ক) অতিরঞ্জন।

0
Updated: 19 hours ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর রচিত কোন নাটকটি কাজী নজরুল ইসলামকে উৎসর্গ করেছিলেন?
Created: 4 months ago
A
বিসর্জন
B
ডাকঘর
C
বসন্ত
D
অচলায়তন
‘বসন্ত’ গীতিনাট্য
প্রকাশকাল: ১৯২৩ সাল।
ধরন: গীতিনাট্য।
মূল বিষয়: ঋতুরাজ বসন্তের মাধ্যমে যৌবনের জয়গান।
উৎসর্গ: কবি কাজী নজরুল ইসলামকে।
উৎসর্গের কারণ: নজরুল বাংলার সাহিত্য ও জীবনে বসন্ত তথা নবজীবনের নবতর তরঙ্গ এনেছিলেন, যা রবীন্দ্রনাথকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন বহুমুখী প্রতিভা—কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক হিসেবে তাঁর অবদান অনন্য।
জন্ম: ৭ মে ১৮৬১ (২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ), কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে।
পিতা: মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
পিতামহ: প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর
উল্লেখযোগ্য অর্জন:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এশিয়ার মধ্যে প্রথম ব্যক্তি যিনি ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।
মৃত্যু: ৭ আগস্ট ১৯৪১ (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ), জোড়াসাঁকোর নিজ বাড়িতে।
তাঁর উল্লেখযোগ্য নাটকসমূহ:
-
বিসর্জন
-
রাজা
-
ডাকঘর
-
অচলায়তন
-
চিরকুমার সভা
-
রক্তকরবী
-
তাসের দেশ
উৎস:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 4 months ago
কুলীন কুলসর্বস্ব নাটকটি কার লেখা?
Created: 1 month ago
A
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
B
দীনবন্ধু মিত্র
C
রামনারায়ণ তর্করত্ন
D
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কুলীন কুলসর্বস্ব ও রামনারায়ণ তর্করত্ন
বাংলা নাট্যসাহিত্যের ইতিহাসে রামনারায়ণ তর্করত্নের নাম বিশেষভাবে স্মরণীয়। তিনি ১৮৫৪ সালে ‘কুলীন কুলসর্বস্ব’ নাটক রচনা করেন। এটি মঞ্চস্থ হওয়ার পর প্রচুর সাড়া ফেলে এবং নাট্যকার হিসেবে তাঁকে খ্যাতির শিখরে পৌঁছে দেয়।
-
কুলীন কুলসর্বস্বের গুরুত্ব:
এই নাটকের মাধ্যমে তিনি সমকালীন সমাজের নানা কুসংস্কার ও অমানবিক দিক তুলে ধরেছিলেন। যদিও শিল্পরীতির দিক থেকে তিনি পুরোপুরি সফল হতে পারেননি, তবু সামাজিক বাস্তবতাকে নাটকে আনার কারণে এটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। নাটকটি দর্শকসমাজকে প্রবলভাবে আকর্ষণ করেছিল বলেই তিনি “নাটুকে নারায়ণ” নামে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। -
পুরস্কার:
নাটকটি রচনার জন্য রামনারায়ণ রংপুরের জমিদার কালীচন্দ্র রায়চৌধুরী কর্তৃক ঘোষিত ৫০ টাকা পুরস্কার লাভ করেন। -
রসধর্ম:
নাটকে কোথাও কৌতুকরস, কোথাও করুণরস, আবার কোথাও প্রহসনধর্মী দিক ফুটে উঠেছে। ফলে নাটকটি দর্শকদের বিনোদন দেওয়ার পাশাপাশি সমাজচিত্রও স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছে।
রামনারায়ণ তর্করত্নের অনুবাদ নাটকসমূহ
-
অভিজ্ঞান শকুন্তলা
-
রত্নাবলী
-
মালতীমাধব
-
বেণীসংহার
মৌলিক নাটক
-
রুক্ষ্মিণীহরণ
-
কংসবধ
-
ধর্মবিজয়
প্রহসন
-
যেমন কর্ম তেমন ফল
-
উভয় সংকট
-
চক্ষুদান
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস — মাহবুবুল আলম

0
Updated: 1 month ago
'কমলে কামিনী' নাটকটি কে রচনা করেছেন?
Created: 4 months ago
A
জসীম উদ্দীন
B
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
C
দীনবন্ধু মিত্র
D
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
• 'কমলে কামিনী' নাটক:
- 'কমলে কামিনী' (১৮৭৩) দীনবন্ধু মিত্রের সর্বশেষ নাটক।
- এই নাটকের পটভূমি কাছাড় অঞ্চল। চরিত্রগুলি সবই অভিজাত বংশীয় তবে দুর্বল।
- উল্লেখযোগ্য চরিত্র: রাজা, সমরকেতু শশাঙ্কশেখর, গান্ধারী, সুশীলা, সুরবালা।
• দীনবন্ধু মিত্র:
- দীনবন্ধু মিত্র ১৮৩০ খ্রিষ্টাব্দে নদীয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
- তাঁর সাহিত্য জীবনের শুরু কবিতা দিয়ে। তিনি ঈশ্বর গুপ্তের অনুপ্রেরণায় কবিতা লিখেন।
- দীনবন্ধু মিত্র কবিতা দিয়ে সাহিত্যজীবনের শুরু করলেও নাট্যকার রুপে সমাধিক খ্যাত।
• দীনবন্ধু মিত্রের উল্লেখযোগ্য নাটক:
- নীল দর্পণ
- নবীন তপস্বিনী,
- লীলাব্তী,
- জামাই বারিক,
- কমলে কামিনী ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 4 months ago