কোন দুজন আরাকান রাজসভার কবি?
A
আলাওল ও দৌলতকাজী
B
সৈয়দ সুলতান ও মুহাম্মদ কবির
C
কাশীরাম দাস ও আলাওল
D
আলাওল ও সৈয়দ সুলতান
উত্তরের বিবরণ
আরাকান রাজসভা মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যের এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল, যেখানে বহু বিশিষ্ট কবি তাঁদের সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে বাংলা কাব্যধারাকে সমৃদ্ধ করেছেন। এই রাজসভার উল্লেখযোগ্য কবিরা হলেন — দৌলত কাজী, মরদন, কোরেশী মাগন ঠাকুর, আলাওল, আব্দুল করীম খোন্দকার এবং শমসের আলী।
-
দৌলত কাজী আরাকান রাজসভার প্রথমদিকের কবি, যিনি “সতী ময়না ও লোরচন্দ্রনী” কাব্য রচনা করেন।
-
আলাওল ছিলেন এই সভার সর্বাধিক খ্যাতনামা কবি; তাঁর অনুবাদ ও মৌলিক রচনায় পারস্য ও আরবী সাহিত্যের প্রভাব গভীরভাবে প্রতিফলিত।
-
অন্যান্য কবি যেমন মরদন, কোরেশী মাগন ঠাকুর, আব্দুল করীম খোন্দকার ও শমসের আলী আরাকান দরবারে সাহিত্যচর্চার ধারাকে বহমান রাখেন।
-
তাঁদের রচনায় ধর্ম, প্রেম, নীতি, কাব্যিক কল্পনা ও মানবিকতার সুষমা প্রতিফলিত হয়েছে।

0
Updated: 19 hours ago
সেক শুভোদয়া গ্রন্থের গল্প প্রথম কোন রাজার রাজসভায় উপস্থাপন করা হয়?
Created: 1 month ago
A
সামন্ত সেনের
B
বিজয় সেনের
C
লক্ষ্মণ সেনের
D
বল্লাল সেনের
‘সেক শুভোদয়া’
-
রচয়িতা: হলায়ুধ মিশ্র
-
এটি একটি পীর মাহাত্ম্য-ব্যঞ্জক চম্পুকাব্য, যা সংস্কৃত গদ্যপদ্যে লেখা।
-
বাংলা ভাষা ও সংস্কৃত শব্দের অশুদ্ধ ব্যবহার থাকায় সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় এটিকে ‘dog Sanskrit’ বলেছেন।
-
ড. মুহাম্মদ এনামুল হক এর মতে, এটি খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে রচিত।
গ্রন্থের বিষয়বস্তু ও প্রকাশনা
-
গল্প পরিবেশন করেছেন শেখ জালালুদ্দীন তাবরেজি, যিনি লক্ষ্মণ সেনের সভায় এটি উপস্থাপন করেন।
-
গ্রন্থে বাংলা ছড়া ও বাগধারা ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
-
গদ্যপদ্য মিলিয়ে গ্রন্থে ২৫টি অধ্যায় আছে।
-
১৩২০-২১ বঙ্গাব্দে মণীন্দ্রমোহন বসু ১৩টি পরিচ্ছেদ বঙ্গানুবাদসহ ‘কায়স্থ’ পত্রিকায় প্রকাশ করেন।
-
১৩৩৪ বঙ্গাব্দে সুকুমার সেনের সম্পাদনায় গ্রন্থটি প্রথম মুদ্রিত হয়।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 1 month ago
'কাব্যের মূখ্য উদ্দেশ্য নীতি জ্ঞান নহে, কিন্তু নীতিজ্ঞানের যে উদ্দেশ্য কাব্যের ও সেই উদ্দেশ্য- অর্থাৎ চিত্তশুদ্ধি" উদ্ধৃতিটি বঙ্কিম চট্টোপাধ্যায়ের কোন প্রবন্ধ থেকে সংগৃহীত?
Created: 19 hours ago
A
বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন
B
গীতিকাব্য
C
ধর্ম ও সাহিত্য
D
প্রাকৃত ও অতিপ্রাকৃত
আলোচ্য অংশটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘বিবিধ সমালোচনা’ গ্রন্থের ‘উত্তরচরিত’ প্রবন্ধ থেকে সংগৃহীত, যেখানে তিনি কাব্যের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তাঁর দার্শনিক ও নান্দনিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, কাব্যের মূল লক্ষ্য নীতিবোধ জাগানো নয়, বরং সৌন্দর্যের চরমোৎকর্ষ সাধন ও মানবচিত্তের উৎকর্ষ।
-
বঙ্কিমচন্দ্র মনে করেন, কাব্যের উদ্দেশ্য নৈতিক শিক্ষা প্রদান নয়, যদিও কাব্যের মাধ্যমে সেই নীতিজ্ঞান স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিকশিত হয়।
-
কবি নীতিনির্দেশের মাধ্যমে নয়, সৌন্দর্যসৃষ্টি ও রসসঞ্চারের মাধ্যমে মানুষকে শিক্ষা দেন।
-
কাব্যের গৌণ উদ্দেশ্য হলো মানুষের চিত্তশুদ্ধি ও মননের উন্নতি সাধন, আর
-
মুখ্য উদ্দেশ্য হলো সৌন্দর্যের চরমোৎকর্ষ সৃষ্টি, যা মানুষের অন্তর্জগৎকে পরিশুদ্ধ ও সমৃদ্ধ করে।
-
তাঁর এই মতবাদ কাব্যের নীতিশিক্ষামূলক ধারণা থেকে রসতত্ত্বভিত্তিক নান্দনিক দৃষ্টিভঙ্গির দিকে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রসরতা নির্দেশ করে।

0
Updated: 19 hours ago