জীবনান্দ দাশকে 'নির্জনতম কৰি' আখ্যা দিয়েছেন কে?
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
বুদ্ধদেব বসু
C
দীপ্তি ত্রিপাঠী
D
আব্দুল মান্নান সৈয়দ
উত্তরের বিবরণ
জীবনানন্দ দাশকে ‘নির্জনতম কবি’ আখ্যায়িত করেছেন কবি ও সমালোচক বুদ্ধদেব বসু। এই আখ্যায়নের মাধ্যমে তিনি জীবনানন্দের কবিত্বচেতনার বিশেষ বৈশিষ্ট্য— নিঃসঙ্গতা, আত্মমগ্নতা ও গভীর অন্তর্জগৎ—কে তুলে ধরেছেন।
-
জীবনানন্দের কবিতায় সমাজ বা রাজনীতি নয়, বরং মানুষের অন্তর্লোক, স্মৃতি, প্রকৃতি ও অস্তিত্ববোধ প্রধান বিষয় হয়ে ওঠে।
-
তাঁর কবিতায় নীরবতা, নিঃসঙ্গতা ও অতীতচেতনা এক অনন্য সৌন্দর্যে প্রকাশ পায়।
-
বুদ্ধদেব বসু মনে করেন, জীবনানন্দ নিজের চারপাশের জগৎ থেকে আলাদা থেকে নিজস্ব নিস্তব্ধ জগৎ সৃষ্টি করেছেন, যেখানে তিনি চেতনা ও অনুভূতির গভীরে ডুব দিয়েছেন।
-
এই নির্জনতা তাঁকে বাংলা কবিতায় এক অদ্বিতীয় আধুনিক কবির মর্যাদা দিয়েছে।

0
Updated: 19 hours ago
ধূসরতার কবি বলা হয় কাকে?
Created: 3 days ago
A
বিষ্ণু দে
B
নির্মলেন্দু গুণ
C
জীবনানন্দ দাশ
D
সমর সেন
জীবনানন্দ দাশ বাংলা আধুনিক কবিতার এক অনন্য প্রতিভা। তাঁর কবিতায় প্রকৃতি, সময়, একাকিত্ব ও অস্তিত্বের গভীর অনুভূতি মিশে আছে। বাংলা কাব্যের ঐতিহ্যে তিনি এমন এক কবি, যিনি রোমান্টিক সৌন্দর্য ও বাস্তব জীবনের বেদনাকে একসূত্রে গেঁথে এক নতুন কাব্যভাষা সৃষ্টি করেছেন।
জীবনানন্দ দাশ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
জন্ম: ১৮৯৯ সালে, বরিশালে।
-
তাঁকে বলা হয় “ধূসরতার কবি”, কারণ তাঁর কবিতায় জীবনের নিঃসঙ্গতা ও ম্লান বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটে।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কবিতাকে বলেছেন “চিত্ররূপময় কবিতা”।
-
তাঁর প্রসিদ্ধ কাব্যগ্রন্থ ‘বনলতা সেন’ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা।
-
এ গ্রন্থের ‘বনলতা সেন’ কবিতা বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ও সবচেয়ে জনপ্রিয় কবিতাগুলির একটি, যা সময় ও ক্লান্ত মানবমনের শান্তির প্রতীক হিসেবে ধরা হয়।
জীবনানন্দ দাশের প্রধান কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
ঝরাপালক (প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ)
-
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
মহাপৃথিবী
-
সাতটি তারার তিমির
-
বেলা অবেলা কালবেলা

0
Updated: 3 days ago
জীবননান্দ দাশকে 'নির্জনতার কবি' হিসেবে আখ্যায়িত করেন কে?
Created: 2 months ago
A
বুদ্ধদেব বসু
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
বিহারীলাল চক্রবর্তী
D
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
জীবনানন্দ দাশ
-
উপাধি / অভিধা:
-
ধূসরতার কবি
-
তিমির হননের কবি
-
রূপসী বাংলার কবি
-
নির্জনতার কবি (বুদ্ধদেব বসু তাঁকে এভাবে আখ্যায়িত করেছেন)
-
-
ব্যক্তিত্ব:
-
সাদাসিধা মানুষ, জনতার কোলাহল থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করতেন।
-
আজীবন নিজেকে আড়াল করে রাখতে চেয়েছেন এবং সচেতনভাবে নিজের প্রসঙ্গে বিভ্রান্তিকে প্রশ্রয় দিয়েছেন।
-
-
জীবন ও পরিবার:
-
জন্ম: ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি, বরিশাল
-
আদি নিবাস: বিক্রমপুরের গাওপাড়া গ্রাম
-
পিতা: সত্যানন্দ দাশ (স্কুলশিক্ষক ও সমাজসেবক, ব্রহ্মবাদী পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক)
-
মাতা: কুসুমকুমারী দাশ (বিখ্যাত কবি)
-
-
সাহিত্যিক পরিচিতি:
-
রবীন্দ্রবিরোধী তিরিশের কাব্যধারার কবি
-
প্রধান কাব্যগ্রন্থ:
-
ধূসর পাণ্ডুলিপি (‘মৃত্যুর আগে’ – W. B. Yeats-এর The Falling of the Leaves এর সঙ্গে মিল)
-
মহাপৃথিবী (‘হায় চিল’ – Yeats-এর He reproves the Curlew এর সঙ্গে মিল)
-
বনলতা সেন (Edgar Allan Poe-এর To Helen এর প্রভাব) – ১৯৫৩ সালে নিখিলবঙ্গ রবীন্দ্রসাহিত্য সম্মেলনে পুরস্কৃত
-
রূপসী বাংলা – ১৯৬০-এর দশকে জাতিসত্তা আন্দোলন ও ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় বাঙালি জনতাকে অনুপ্রাণিত করেছে
-
-
-
মৃত্যু: ১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর, কলকাতা
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago
”সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে।” পঙ্ক্তিটির রচিতা কে?
Created: 1 month ago
A
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
B
বিষ্ণু দে
C
বুদ্ধদেব বসু
D
জীবনানন্দ দাশ
"সেইদিন এই মাঠ" কবিতা
-
কবিতাটি জীবনানন্দ দাশের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ "রূপসী বাংলা"-এর অন্তর্গত।
-
কবিতার প্রথম অংশটি নয় পঙ্ক্তি বিশিষ্ট এবং দ্বিতীয় অংশটি চার পঙ্ক্তি বিশিষ্ট।
-
“সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে।” — পঙ্ক্তিটি এই কবিতা থেকে নেওয়া।
জীবনানন্দ দাশ
-
তিনি ছিলেন আধুনিক বাংলা কাব্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি ও শিক্ষাবিদ।
-
জন্ম: ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি, বরিশালে।
-
আদি নিবাস: বিক্রমপুরের গাওপাড়া গ্রাম।
-
তাঁর মাতা কুসুমকুমারী দাশ ছিলেন একজন কবি।
-
প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: ঝরা পালক (১৯২৭)।
উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থসমূহ
-
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
বনলতা সেন
-
মহাপৃথিবী
-
সাতটি তারার তিমির
-
রূপসী বাংলা
-
বেলা অবেলা কালবেলা
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা।

0
Updated: 1 month ago