A
ব্যাংকক
B
সিঙ্গাপুর
C
দিল্লী
D
কলম্বো
উত্তরের বিবরণ
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (ECOSOC)
ECOSOC-এর অধীনে পাঁচটি আঞ্চলিক কমিশন রয়েছে। এই কমিশনগুলো বিভিন্ন অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে।
এই পাঁচটি কমিশন হলো:
১. ইউরোপের জন্য অর্থনৈতিক কমিশন (ECE)
– সদর দপ্তর: জেনেভা, সুইজারল্যান্ড।
২. আফ্রিকার জন্য অর্থনৈতিক কমিশন (ECA)
– সদর দপ্তর: আদ্দিস আবাবা, ইথিওপিয়া।
৩. ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের জন্য অর্থনৈতিক কমিশন (ECLAC)
– সদর দপ্তর: সান্টিয়াগো, চিলি।
৪. এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (ESCAP)
– সদর দপ্তর: ব্যাংকক, থাইল্যান্ড।
৫. পশ্চিম এশিয়ার জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (ESCWA)
– সদর দপ্তর: বৈরুত, লেবানন।
ESCAP সম্পর্কে বিস্তারিত:
-
পূর্ণরূপ: UN Economic and Social Commission for Asia and the Pacific
(বাংলায়: এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন) -
গঠনের তারিখ: ২৮ মার্চ, ১৯৪৭
-
প্রতিষ্ঠানের স্থান: সাংহাই, চীন
-
বর্তমান সদর দপ্তর: ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
-
সদস্য দেশের সংখ্যা: ৫৩টি
তথ্যসূত্র: ESCAP-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

0
Updated: 5 days ago
কিউবায় ক্ষেপণাস্ত্র সঙ্কটের সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কে ছিলেন?
Created: 1 week ago
A
রিচার্ড এম নিক্সন
B
জন এফ কেনেডি
C
লিন্ডন বেইনস জনসন
D
হ্যারি এস ট্রুম্যান
কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকট
কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকতিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে ঘটে যাওয়া একটি গম্ভীর ৩৫ দিনের সংঘর্ষ, যা বিশ্বব্যাপী একটি বড় রাজনৈতিক সংকটের রূপ নেয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা ও সামরিক শক্তি বিস্তারের দৌড়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
সেই সময়ের অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে কিউবায় সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শের প্রভাব ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়।
১৯৬২ সালের অক্টোবর মাসে এই সংকট বিশেষ মাত্রা লাভ করে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ইতালি ও তুরস্কে স্থাপনের জবাবে, সোভিয়েত ইউনিয়ন কিউবায় ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে।
ফ্লোরিডার উপকূল থেকে মাত্র ৯০ মাইল দূরে এই রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় ধরনের হুমকি হিসেবে দেখা দেয়।
এই পরিস্থিতিতে, ১৯৬২ সালের ২২ অক্টোবর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি কিউবার প্রতি নৌ অবরোধ ঘোষণা করেন, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে। এই সংকটের ফলে ল্যাটিন আমেরিকার সমগ্র অঞ্চল যুদ্ধের উত্তেজনায় ধরা দেয় এবং বিশ্ব রাজনীতিতে একটি গুরুতর সংকট তৈরি হয়।
কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকট হিসেবে পরিচিত এই ঘটনা শীতল যুদ্ধের উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে এবং পারমাণবিক সংঘাতের সম্ভাবনাকে প্রায় বাস্তব আকার দেয়।
উৎস: Britannica.

0
Updated: 1 week ago
Amnesty International কত সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিল?
Created: 1 week ago
A
১৯৭৭
B
১৯৭৮
C
১৯৭৯
D
১৯৮১
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
-
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল হলো একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা যা যুক্তরাজ্য থেকে পরিচালিত হয়।
-
এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৬১ সালে।
-
এর সদর দপ্তর অবস্থিত লন্ডনে, যুক্তরাজ্যে।
-
বর্তমানে সংস্থাটির মহাসচিবের পদে আছেন অ্যাগনেস ক্যালামার্ড।
-
১৯৭৭ সালে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল শান্তির জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: অ্যাগনেস ক্যালামার্ড, ফ্রান্সের নাগরিক, ২০২১ সালে এই সংস্থার মহাসচিব হিসেবে নিযুক্ত হন।
তথ্যের উৎস: Amnesty International-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 week ago
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোন প্রেসিডেন্ট ১২ বছর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন?
Created: 1 week ago
A
হ্যারি এস ট্রুম্যান
B
ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট
C
জেমস মনরো
D
তথ্যটি সঠিক নয়
ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩২তম প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট ছিলেন এক অনন্য নেতা, যিনি ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত মোট ১২ বছর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি ইতিহাসের একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি চারবার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন। রুজভেল্টের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র দুটি বিশাল সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল—গ্রেট ডিপ্রেশন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ—যে সময়ে তিনি দেশকে নেতৃত্ব দেন।
তার প্রশাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ ছিল ‘নিউ ডিল’ নীতি, যা ১৯৩৩ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়। এই কর্মসূচির মাধ্যমে তিনি আমেরিকার অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এছাড়াও, ৭ ডিসেম্বর ১৯৪১ সালে জাপানের পার্ল হারবারে হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ শুরু করে।
রুজভেল্ট ছিলেন ‘সৎ প্রতিবেশি নীতি’র প্রবক্তা, যা ১৯৩০-৪০ এর দশকে লাতিন আমেরিকার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ক্ষেত্রে পূর্বের হস্তক্ষেপমূলক নীতির পরিবর্তে গ্রহণ করা হয়। তার এই নীতি অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের ওপর গুরুত্ব দেয়।
১৯৪২ সালের ১ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে রুজভেল্ট প্রথমবারের মতো ‘জাতিসংঘ (United Nations)’ শব্দটি ব্যবহারের মাধ্যমে একটি নতুন বিশ্ব সংস্থার ধারণা উপস্থাপন করেন।
উৎস: Britannica

0
Updated: 1 week ago