দ্বীনবন্ধু মিত্রের 'নীলদর্পন' নাটককে বঙ্কিম চন্দ্র Harriet Beecher Stow এরলেখা Uncle Tom এর সাথে তুলনা করেন কারণ-
A
উভয় নাটকের বিষয় বস্তু নীলচাষ ও নীলকরদের অত্যাচার
B
উভয় নাটকে নারী নির্যাতনের করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে
C
উভয় নাটকে সমাজের একটি বিশেষ সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিবাদ রচিত হয়েছে
D
উভয় নাটোকেড়
উত্তরের বিবরণ
দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ (১৮৬০) এবং হ্যারিয়েট বিচার স্টো-র ‘আঙ্কল টমস কেবিন’ (১৮৫২)— উভয়ই সমাজের গভীর অন্যায় ও মানবিক অবিচারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিবাদমূলক রচনা। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এই দুটি গ্রন্থের তুলনা করেছিলেন কারণ উভয়েই নিজেদের সমাজে প্রচলিত সামাজিক অবিচারের বিরুদ্ধে জাগরণ সৃষ্টি করেছিল।
-
‘নীলদর্পণ’ নাটকে বাংলার নীলকরদের অত্যাচার, কৃষকদের শোষণ ও জোরপূর্বক নীলচাষ আরোপের মতো ঔপনিবেশিক নির্যাতনের কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে। এটি ব্রিটিশ শাসনের অধীনে বাঙালি কৃষকের অবর্ণনীয় দুর্দশা ও প্রতিবাদের প্রতীক।
-
‘আঙ্কল টমস কেবিন’ উপন্যাসটি আমেরিকার ক্রীতদাস প্রথার নিষ্ঠুরতা ও মানবিক অপমানের বিরুদ্ধে এক তীব্র প্রতিবাদ। এটি দাসপ্রথা বিলোপ আন্দোলনে বিশাল প্রভাব ফেলেছিল।
-
বঙ্কিমচন্দ্রের মতে, দুটি রচনাই তাদের নিজ নিজ সমাজে অন্যায়ের বিরুদ্ধে নৈতিক কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করেছে— একটিতে নীলচাষের শোষণ, অন্যটিতে দাসপ্রথার অমানবিকতা।
-
উভয় রচনাই পাঠকের মধ্যে সচেতনতা, সহানুভূতি ও প্রতিবাদী মনোভাব জাগ্রত করেছে।
অতএব, সঠিক উত্তর হলো— গ) উভয় নাটকে সমাজের একটি বিশেষ সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিবাদ রচিত হয়েছে।

0
Updated: 19 hours ago
সমাজের প্রাচীনপন্থীদের ব্যঙ্গ করে দীনবন্ধু মিত্র রচিত প্রহসন কোনটি?
Created: 1 week ago
A
বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ
B
টালা অভিনয়
C
বিয়ে পাগলা বুড়ো
D
এর উপায় কি
‘বিয়ে পাগলা বুড়ো’ প্রহসন
-
এটি দীনবন্ধু মিত্র কর্তৃক রচিত এবং সমাজের প্রাচীনপন্থীদের ব্যঙ্গ করার উদ্দেশ্যে তৈরি।
-
নাটকটি ১৮৬৬ সালে রচিত এবং ১৮৭২ সালে প্রথম মঞ্চস্থ হয়।
-
প্রহসনের বিষয়বস্তু হলো, বিবাহবাতিকগ্রস্ত এক বৃদ্ধের নকল বিয়ের আয়োজন কিভাবে স্কুলের অপরিপক্ক ছেলেরা নাস্তানাবুদ করে দেয়।
দীনবন্ধু মিত্রের উল্লেখযোগ্য প্রহসনসমূহ
-
বিয়ে পাগলা বুড়ো
-
সধবার একাদশী
-
জামাই বরিক
অন্য প্রহসনকারীদের উদাহরণ
-
‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ – মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রহসন
-
‘টালা অভিনয়’ ও ‘এর উপায় কি’ – মীর মশাররফ হোসেনের প্রহসন

0
Updated: 1 week ago
দীনবন্ধু মিত্রের প্রহসন নয় কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
সধবার একাদশী
B
বিয়ে পাগলা বুড়ো
C
বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ
D
কোনোটিই নয়
'বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ' মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচিত একটি প্রহসন।
দীনবন্ধু মিত্র ছিলেন একজন প্রখ্যাত নাট্যকার, যিনি বাংলার নাট্যসাহিত্যে বিশেষ অবদান রেখেছেন। ১৮৩০ সালে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার চৌবেড়িয়া গ্রামে দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কলেজে পড়ার সময় তিনি ঈশ্বর গুপ্তের সংস্পর্শে এসে সংবাদ প্রভাকর, সাধুরঞ্জন প্রভৃতি পত্রিকায় কবিতা লিখতে শুরু করেন। তবে মূলত নাটক ও প্রহসন রচনায় তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর শ্রেষ্ঠ নাটক ও রচনা হলো 'নীলদর্পণ'।
-
উল্লেখযোগ্য প্রহসন:
-
বিয়ে পাগলা বুড়ো
-
সধবার একাদশী
-
জামাই বরিক
-

0
Updated: 2 weeks ago
গোলক বসুকে সাধুচরণ বলে 'কাঙ্গালের কথা বাসি হলে ফলে' কারণ-
Created: 18 hours ago
A
গোলক বসু নীল চাষে রাজি হয়নি
B
সাধুচরণের পরামর্শে দেশত্যাগ করেনি
C
নীলকরদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেনি
D
ছেলে নবীন মাধবকে শহরে পাঠায়নি
উক্ত অংশটি দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটক থেকে গৃহীত, যেখানে সাধু চরিত্রের মুখে বলা এই সংলাপে তৎকালীন নীলচাষীদের দুর্দশা ও অসহায়তার চিত্র ফুটে উঠেছে। এটি মূলত বাংলার কৃষকশ্রেণির উপর ইংরেজ নীলকরদের শোষণ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক ব্যঙ্গাত্মক প্রতিবাদ।
-
“আমি তখনই বলেছিলাম, কর্তা মহাশয় আর এদেশে থাকা নয়” — এই কথায় সাধুর দূরদর্শিতা ও অভিজ্ঞতার বোধ প্রকাশ পেয়েছে; সে আগেই অনুধাবন করেছিল যে, দেশে থাকা বিপদের কারণ হবে।
-
“তা আপনি শুনিলেন না” — এতে কর্তাদের অবিবেচনা ও অহংকারের ইঙ্গিত রয়েছে, যারা সময়মতো সতর্কতা অবলম্বন করেননি।
-
“কাঙ্গালের কথা বাসি হলে খাটে” — এই প্রবাদবাক্যটি এখানে গভীর ব্যঙ্গের রূপ নিয়েছে, যার মাধ্যমে লেখক জনগণের অবজ্ঞা ও শোষণের প্রতিফলন ঘটিয়েছেন।
-
সার্বিকভাবে, এই সংলাপটি নাটকের সামাজিক বাস্তবতা, নিপীড়নের চিত্র ও সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে প্রতীকী অর্থ বহন করে।

0
Updated: 18 hours ago