পূর্ববঙ্গের পল্লীপ্রকৃতি ও জীবনচিত্র রবীন্দ্রনাথের কোন কাব্যের পরিপ্রেক্ষিত তৈরী করেছিল?
A
শৈশব-সংগীত
B
সোনার তরী
C
বলাকা
D
চিত্রা
উত্তরের বিবরণ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৯২ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা থেকে কুষ্টিয়ার শিলাইদহে আসেন, যেখানে তিনি কিছু সময় জমিদারি কাজের পাশাপাশি সাহিত্যসাধনায় মনোনিবেশ করেন। শিলাইদহের প্রকৃতি, পদ্মার তীরের সৌন্দর্য ও গ্রামীণ জীবনের নানান দৃশ্য তাঁর কাব্যচেতনায় গভীর প্রভাব ফেলে।
-
শিলাইদহে অবস্থানকালে তিনি একাধারে জীবন, প্রকৃতি ও মানুষের অন্তর্লীন সম্পর্ক নিয়ে ভাবনা প্রকাশ করেন।
-
এই সময়েই তিনি রচনা করেন তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘সোনার তরী’, যা ১৮৯৪ সালে প্রকাশিত হয়।
-
কাব্যটির কবিতাগুলোতে মানুষের আত্মসমর্পণ, ভালোবাসা, বিচ্ছেদ ও জীবনের অস্থায়িত্ব গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
-
শিলাইদহ পর্ব রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিশীল জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 19 hours ago
'বিসর্জন' নাটোকের জয়সিংহের' সংস্কারাচ্ছন্ন মনের মুক্তি ঘটে কার আহ্বানে?
Created: 22 hours ago
A
রাজা গোবিন্দ মাণিক্য
B
ব্রাক্ষ্মণ রঘুপতি
C
রাণী গুনবতি
D
বালিকা অপর্ণা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বিসর্জন’ নাটকে ধর্মীয় কুসংস্কার ও গোঁড়ামির বিরুদ্ধে মানবপ্রেম এবং উদারতার জয়গান গাওয়া হয়েছে। নাটকের অন্যতম চরিত্র জয়সিংহ, যিনি প্রথমে ধর্মীয় বিশ্বাস ও কুসংস্কারের অন্ধ অনুসারী ছিলেন, শেষে অপর্ণার ভালোবাসা ও মানবিক আহ্বানে নিজের ভেতরের অন্ধকার থেকে মুক্তি লাভ করেন। অপর্ণার প্রভাবেই তার হৃদয়ে মানবতার আলো জ্বলে ওঠে এবং ধর্মীয় গোঁড়ামির শৃঙ্খল ভেঙে তিনি আলোর পথে এগিয়ে যান।
বিসর্জন নাটক সম্পর্কিত তথ্য:
-
নাটকটি ১৮৯০ সালে প্রকাশিত হয়।
-
এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সবচেয়ে মঞ্চসফল ও জনপ্রিয় নাটকগুলির মধ্যে একটি।
-
নাটকের দুটি সময়ে রবীন্দ্রনাথ নিজেই অভিনয় করেন— ১৮৯০ সালে রঘুপতির ভূমিকায় এবং ১৯২৩ সালে জয়সিংহের ভূমিকায়।
-
নাটকটি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত।
-
এর মূল ভাবনা হলো: ধর্মীয় কুসংস্কার ও গোঁড়ামির বিপরীতে মানবপ্রেমই মুক্তি ও শান্তির পথ।
-
নাটকের বিষয়বস্তুতে দেখা যায়, উদার ধর্মবোধ ও সংকীর্ণ বিশ্বাসের মধ্যে দ্বন্দ্ব, যা মানবিক মূল্যবোধ ও সম্পর্কের গভীরতার সঙ্গে যুক্ত।
-
নাটকের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এক আধ্যাত্মিক সংঘাত— যেখানে বিশ্বাসের উগ্রতা একদিকে ধ্বংস ডেকে আনে, আর মানবপ্রেম ও সহমর্মিতা অন্যদিকে জীবনের মুক্তির পথ দেখায়।
উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ:
-
রঘুপতি
-
গোবিন্দমাণিক্য
-
গুণবতী
-
অপর্ণা
-
জয়সিংহ

0
Updated: 22 hours ago
‘রক্তকরবী' কোন নাটকের বিষয়বস্তু?
Created: 1 day ago
A
বিশুর খামখেয়ালী
B
নন্দিনীর সৌন্দর্য
C
ধর্মীয় অচলায়তন
D
পুঁজিবাদ ও কৃষিসভ্যতার দ্বন্দ
‘রক্তকরবী’ নাটকটি মূলত যান্ত্রিক শ্রমব্যবস্থা এবং কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে সংঘাতের প্রতিফলন। এতে পুঁজিবাদী ধনতান্ত্রিক সমাজের অত্যাচার, প্রেম ও মানবিকতার বিজয়, এবং আকর্ষণশীল ও কর্ষণশীল শক্তির মধ্যে দ্বন্দ্ব ফুটে ওঠে। নাটকটি প্রেম ও জীবনের জয়কে মানুষের মুক্তি ও সাম্যের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরে।
• সংক্ষিপ্ত কাহিনী:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রক্তকরবী’-এ যক্ষপুরীর রাজা অর্থলোভী এবং প্রজাশোষক। তিনি সোনার খনির শ্রমিকদের কেবল উৎপাদনের যন্ত্র হিসেবে দেখেন, মানুষের প্রেম, সৌন্দর্য ও মানবিকতা তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। নন্দিনী প্রেম ও জীবনের প্রতীক হিসেবে এই নিপীড়নের বিরুদ্ধে আবির্ভূত হন এবং সকলকে মুক্ত জীবন যাপনের আহ্বান জানান। রাজা নন্দিনীকে জোরপূর্বক নিজের করতে চায়, কিন্তু প্রেম ও সৌন্দর্যকে জয় করা যায় না। রঞ্জন, নন্দিনীর প্রেমাস্পদ, যান্ত্রিকতার শিকার হয়ে মারা যায়। নাটকটি শেষ পর্যন্ত জীবনের প্রাণশক্তি ও মানবিকতার জয়কে প্রমাণ করে।
• গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
নাটকটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাংকেতিক নাটক।
-
রচিত হয়েছে বাংলা ১৩৩০ সনের শিলং-এর শৈলবাসে।
-
প্রাথমিকভাবে এর নাম ছিল ‘যক্ষপুরী’।
-
১৩৩০ সনের আশ্বিন মাসে প্রবাসীতে প্রকাশের সময় নামকরণ হয় ‘রক্তকরবী’।
-
নাটকে ধনের ওপর ধান্যের, শক্তির ওপর প্রেমের ও মৃত্যুর ওপর জীবনের জয়গান গাওয়া হয়েছে।
• উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
নন্দিনী – নিপীড়িত মানুষের মাঝে আনন্দের দূত।
-
রঞ্জন – বিদ্রোহ ও প্রেমের প্রতীক; মানুষের প্রাণশক্তি বহনকারী চরিত্র।

0
Updated: 1 day ago
রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাচিন্তার জোরালো প্রতিফলন ঘটে কোন নাটকে?
Created: 2 days ago
A
অচলায়তন
B
লক্ষ্মীর পরীক্ষা
C
গোড়ায় গলদ
D
রক্তকরবী
রবীন্দ্রনাথের নাটক 'অচলায়তন' মূলত একটি প্রাচীরঘেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণভাবে বাহিরের আলো-বাতাস থেকে বিচ্ছিন্ন। এই প্রতিষ্ঠানে আচার্য এবং উপাচার্যসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সবাই নিয়মিতভাবে উপস্থিত থাকে এবং পাঠদান প্রক্রিয়া প্রাচীনকালের পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়। নিয়ম-কানুন অত্যন্ত কঠোর, এবং অচলায়তনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে শিক্ষার্থীরা কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হয়। নাটকটির প্রেক্ষাপট এবং চরিত্র বিন্যাস মূলত এই পরিবেশ ও শৃঙ্খলার উপর ভিত্তি করে রচিত হয়েছে।
-
অচলায়তন: প্রাচীরঘেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
-
বাহিরের আলো-বাতাস প্রবেশ করে না।
-
শিক্ষকেরা আচার্য ও উপাচার্য পদাধিকার সহ পাঠদান পরিচালনা করেন।
-
পাঠদান পদ্ধতি প্রাচীনকালের অনুসৃত।
-
নিয়ম-কানুন কঠোরভাবে পালন করা হয়।
-
শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হয়।
-
নাটকের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণরূপে এই পরিবেশের উপর ভিত্তি করে গঠিত।

0
Updated: 2 days ago