বাংলা সাহিত্যের 'উদাসীন পথিক' কে?
A
কাজী নজরুল ইসলাম
B
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
C
দীনবন্ধু মিত্র
D
মীর মোশাররফ হোসেন
উত্তরের বিবরণ
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচনায় কাহিনির তুলনায় চরিত্রচিত্রণের গভীরতা ও প্রাণবন্ততা বিশেষভাবে লক্ষণীয়। তাঁর উপন্যাসে মানুষের মানসিক জটিলতা, আবেগ এবং সমাজবাস্তবতার চিত্র এমনভাবে ফুটে ওঠে যে প্লট অপেক্ষা চরিত্রই বেশি প্রাধান্য পায়।
-
আত্মজীবনী হলো লেখকের নিজের লেখা নিজের জীবনের বিবরণ, যা হতে পারে চিঠি, ডায়েরি, স্মৃতিকথা বা পূর্ণাঙ্গ বই আকারে।
-
আত্মজৈবনিক শব্দটি বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে “জীবন-সম্পর্কিত”, অর্থাৎ লেখক নিজের জীবনের অভিজ্ঞতাকে সাহিত্যরূপে প্রকাশ করেন।
-
শরৎচন্দ্রের ‘শ্রীকান্ত’ উপন্যাসটি আত্মজৈবনিক ধাঁচে রচিত, যার চারটি খণ্ডে লেখকের জীবনদর্শন ও অভিজ্ঞতার ছায়া দেখা যায়।
-
উপন্যাসটির উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলো হলো শ্রীকান্ত, অভয়া, ইন্দ্রনাথ, অন্নদাদিদি এবং রাজলক্ষ্মী (পিয়ারী)।
-
শরৎচন্দ্রের অন্যান্য উপন্যাস যেমন ‘চরিত্রহীন’, ‘পথের দাবী’, ‘পল্লিসমাজ’— এগুলোর ক্ষেত্রেও দেখা যায়, তিনি বহু চরিত্রের জীবনের মাধ্যমে সমাজ ও মানবজীবনের গভীর দিকগুলো ফুটিয়ে তুলেছেন, ফলে কাহিনি বা প্লট তুলনামূলকভাবে গৌণ হয়ে গেছে।
অতএব, সঠিক উত্তর হলো— ঘ) তাঁর উপন্যাসে প্লটের তুলনায় চরিত্রের প্রাধান্য দেখতে পাওয়া যায়।

0
Updated: 19 hours ago
'বসন্তকুমারী' মীর মশাররফ হোসেন রচিত-
Created: 2 weeks ago
A
উপন্যাস
B
প্রহসন
C
নাটক
D
আত্মজীবনী
‘বসন্তকুমারী’ মীর মশাররফ হোসেনের অন্যতম উল্লেখযোগ্য নাটক, যা ১৮৭৩ সালে রচিত এবং মুসলমান নাট্যকার দ্বারা রচিত প্রথম নাটক হিসেবে বিবেচিত। নাটকের কাহিনি ইন্দ্রপুরের বিপত্নীক রাজার বৃদ্ধ বয়সে যুবতী স্ত্রী গ্রহণ, রাজার যুবক পুত্রের প্রতি বিমাতার আকর্ষণ ও প্রেম নিবেদন, পুত্রের প্রত্যাখ্যান এবং বিমাতার ষড়যন্ত্রের পর রাজপরিবারের সকলের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রচিত। নাটকটির অপর নাম হলো ‘বৃদ্ধস্য তরূণী ভার্যা’।
-
নাটকসমূহ:
-
বসন্তকুমারী
-
জমীদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
-
-
উপন্যাসসমূহ:
-
বিষাদ-সিন্ধু
-
-
গ্রন্থসমূহ:
-
উদাসীন পথিকের মনের কথা
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
-
-
আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ:
-
আমার জীবনী
-
কুলসুম জীবনী
-

0
Updated: 2 weeks ago
নিচের কোনটি মীর মশাররফ হোসেনের জন্ম-মৃত্যু সাল?
Created: 2 months ago
A
১৮৪৭-১৯১১
B
১৮৫২-১৯১২
C
১৮৫৭-১৯১১
D
১৮৪৭-১৯১২
মীর মশাররফ হোসেন (১৮৪৭–১৯১১)
মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন একজন বিখ্যাত ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক। তিনি ১৮৪৭ সালের ১৩ই নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
ছাত্রজীবনেই তিনি লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত হন। সে সময় তিনি ‘সংবাদ প্রভাকর’ এবং ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’ নামক পত্রিকায় মফঃস্বল সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করতেন। এখান থেকেই তার সাহিত্যিক জীবনের সূচনা হয়। ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’র সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ ছিলেন তার সাহিত্যজীবনের প্রথম অনুপ্রেরণা ও গুরু।
তিনি নিজেও ‘আজিজননেহার’ ও ‘হিতকরী’ নামে দুটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন।
মীর মশাররফ হোসেন বঙ্কিমচন্দ্র যুগের একজন গুরুত্বপূর্ণ গদ্যশিল্পী হিসেবে পরিচিত। তিনি উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথপ্রদর্শক বলেও গণ্য হন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম
✅ নাটক:
-
বসন্তকুমারী
-
জমিদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
✅ প্রহসন (হাস্যরসাত্মক নাট্যরচনা)
-
টালা অভিনয়
-
এর উপায় কী
-
ফাঁস কাগজ
-
ভাই ভাই, এই তো চাই
✅ উপন্যাস
-
বিষাদ-সিন্ধু (তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাস)
✅ আত্মজীবনীমূলক রচনা
-
উদাসীন পথিকের মনের কথা
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
-
আমার জীবনী
-
কুলসুম জীবনী
নোট: তার মৃত্যুর সাল অনেক বইয়ে ১৯১১ উল্লেখ করা হলেও বাংলাপিডিয়াতে এটি ১৯১২ সাল বলা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাহিত্য

0
Updated: 2 months ago
মীর মশাররফ হোসেনের জন্মস্থান-
Created: 2 weeks ago
A
ঢাকা
B
বিক্রমপুর
C
কুষ্টিয়া
D
যশোর
মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার এবং প্রাবন্ধিক, যিনি উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি বঙ্কিমচন্দ্রের যুগে গদ্যশিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত।
-
জন্ম: ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
-
সাহিত্যজীবনের সূচনা: ছাত্রাবস্থায় সংবাদ প্রভাকর এবং কুমারখালির গ্রামবার্তা প্রকাশিকার মফঃস্বল সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেই তাঁর সাহিত্যজীবন শুরু।
-
সাহিত্যগুরু: গ্রামবার্তা প্রকাশিকার সম্পাদক ‘কাঙাল হরিনাথ’ ছিলেন তাঁর সাহিত্যগুরু।
-
সম্পাদনা কার্যক্রম: তিনি আজিজননেহার এবং হিতকরী নামে দুটি পত্রিকাও সম্পাদনা করেছেন।
-
সাহিত্যিক পরিচয়: মীর মশাররফ ছিলেন বঙ্কিমযুগের অন্যতম প্রধান গদ্যশিল্পী এবং উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ।

0
Updated: 2 weeks ago