"মুসলমানিবাঙ্গালার চিহ্নমাত্র ইহাতেনেই। বরং অনেক হিন্দুর প্রণীত বাংলার অপেক্ষা এই মুসলমানি লেখকের বাংলা পরিশুদ্ধ - মীর মশাররফ হোসেনের গদ্যভাষা সম্পর্কিত উক্তিটি কার?
A
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
B
সুকুমার সেন
C
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
D
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
উত্তরের বিবরণ
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘জমিদার দর্পণ’ নাটক সম্পর্কে উচ্চ প্রশংসা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় লিখেছিলেন যে, “অনেক হিন্দুর প্রণীত বাঙ্গালার অপেক্ষা এই মুসলমান লেখকের বাঙ্গালা পরিশুদ্ধ।” এর মাধ্যমে তিনি লেখকের ভাষাশৈলী ও সাহিত্যিক দক্ষতার স্বীকৃতি দিয়েছেন।
-
বঙ্কিমচন্দ্রের মন্তব্যে বোঝা যায়, ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে তিনি লেখকের শুদ্ধ ভাষা ও সাহিত্যমানকে মূল্যায়ন করেছেন।
-
এটি প্রমাণ করে যে, উনিশ শতকের বাংলা সাহিত্যজগতে মুসলমান লেখকদেরও ভাষা ও সাহিত্যচর্চায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল।
-
বঙ্কিমচন্দ্রের এই মন্তব্য বাংলা ভাষার সমন্বয়ধর্মী চরিত্র ও সাহিত্যিক উদারতার পরিচায়ক।

0
Updated: 19 hours ago
বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম ঔপন্যাসিক কে?
Created: 1 week ago
A
মীর মশাররফ হোসেন
B
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
C
ইসমাইল হোসেন সিরাজী
D
সেলিনা হোসেন
বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম ঔপন্যাসিক ছিলেন মীর মশাররফ হোসেন, যিনি ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক হিসেবে খ্যাত। তিনি ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাকে বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম ঔপন্যাসিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গ্রামবার্তার সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ ছিলেন তার সাহিত্যগুরু। তার রচিত প্রথম গ্রন্থ হলো রত্নাবতী। ছাত্রাবস্থায় তিনি সংবাদ প্রভাকর ও কুমারখালির গ্রামবার্তা প্রকাশিকার মফঃস্বল সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেছিলেন, যা তাঁর সাহিত্যজীবনের সূচনা হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়াও তিনি আজিজননেহার ও হিতকরী নামে দুটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। মীর মশাররফ ছিলেন বঙ্কিমযুগের একজন প্রধান গদ্যশিল্পী ও উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ।
-
নাটক
-
বসন্তকুমারী
-
জমীদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
-
-
প্রহসন
-
টালা অভিনয়
-
এর উপায় কি
-
ফাঁস কাগজ
-
ভাই ভাই এইতো চাই
-
-
উপন্যাস
-
বিষাদ-সিন্ধু
-
-
আত্মজীবনীমূলক রচনা
-
উদাসীন পথিকের মনের কথা
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
-
আমার জীবনী
-
কুলসুম জীবনী
-
অন্য উল্লেখযোগ্য মুসলিম ঔপন্যাসিক:
-
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ: আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রধান ঔপন্যাসিক, বিখ্যাত উপন্যাস লালসালু (১৯৪৮) রচয়িতা।
-
ইসমাইল হোসেন সিরাজী: মুসলিম জাগরণের সাহিত্য রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
-
সেলিনা হোসেন: বাংলাদেশের সমসাময়িক জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক, যিনি মুক্তিযুদ্ধ, নারীজীবন ও সামাজিক বাস্তবতা বিষয়ক উপন্যাস লিখেছেন।

0
Updated: 1 week ago
মীর মশাররফ হোসেন কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন?
Created: 3 weeks ago
A
নদীয়া
B
বরিশাল
C
কুষ্টিয়া
D
পাবনা
• মীর মশাররফ হোসেন (১৮৪৭–১৯১১)
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তিনি ছিলেন এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের মধ্যে তিনি পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত। বঙ্কিমচন্দ্রের যুগে তিনি গদ্যশিল্পে অসাধারণ প্রতিভার পরিচয় দেন।
জীবনপরিচয়:
-
জন্ম: ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর, কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়া গ্রামে
-
কর্মজীবন: ছাত্রাবস্থায় সংবাদ প্রভাকর ও কুমারখালির গ্রামবার্তা প্রকাশিকায় মফঃস্বল সংবাদদাতা
-
সাহিত্যগুরু: গ্রামবার্তা প্রকাশিকার সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ
-
সম্পাদকতা: আজিজননেহার ও হিতকরী পত্রিকা
সাহিত্যকর্ম:
-
নাটক: বসন্তকুমারী, জমীদার দর্পণ, বেহুলা গীতাভিনয়
-
প্রহসন: টালা অভিনয়, এর উপায় কি, ফাঁস কাগজ, ভাই ভাই এইতো চাই
-
উপন্যাস: বিষাদ-সিন্ধু
-
আত্মজীবনীমূলক রচনা: উদাসীন পথিকের মনের কথা, গাজী মিয়াঁর বস্তানী, আমার জীবনী, কুলসুম জীবনী

0
Updated: 3 weeks ago
মীর মশাররফ হোসেন রচিত গ্রন্থ হচ্ছে-
Created: 1 month ago
A
গাজী মিঁয়ার বস্তানী
B
আলালের ঘরের দুলাল
C
হুতোম প্যাঁচার নকশা
D
কলিকাতা কমলালয়
‘গাজী মিয়াঁর বস্তানী’
-
লেখক ও ধরন: ‘গাজী মিয়াঁর বস্তানী’ গ্রন্থটি মীর মশাররফ হোসেনের রচিত একটি আত্মজীবনীমূলক কাহিনি।
-
বিষয়বস্তু: এই গ্রন্থে লেখক ব্যঙ্গাত্মক ভাষায় সমাজের অন্যায়, দুর্নীতি, এবং মানুষের নৈতিক ও মানবিক অবক্ষয় তুলে ধরেছেন।
-
লেখকের ছদ্মনাম: তিনি নিজেকে ‘ভেড়াকান্ত’ নামে উল্লেখ করেছেন।
-
ব্যঙ্গের প্রকাশ: গ্রন্থে ব্যবহৃত চরিত্র ও স্থাননাম যেমন—আলকাতরা সান্যাল, কটা পেস্কার, জয়ঢাক, ছিড়িয়া খাতুন, অরাজকপুর, নচ্ছারপুর, জমদ্বারগ্রাম—এগুলো লেখকের তীব্র ব্যঙ্গের প্রতিফলন।
তুলনায় অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ
-
প্যারীচাঁদ মিত্রের প্রথম গ্রন্থ: আলালের ঘরের দুলাল
-
কালীপ্রসন্ন সিংহের গ্রন্থ: হুতোম প্যাঁচার নকশা
-
ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রন্থ: কলিকাতা কমলালয়
মীর মশাররফ হোসেন
-
জীবনী: মীর মশাররফ হোসেন (১৩ নভেম্বর ১৮৪৭, লাহিনীপাড়া, কুষ্টিয়া) ছিলেন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক।
-
সাংবাদিকতা: ছাত্রাবস্থায় তিনি সংবাদ প্রভাকর ও কুমারখালির গ্রামবার্তা পত্রিকার মফঃস্বল সংবাদদাতা ছিলেন। এছাড়াও আজিজননেহার ও হিতকরী নামে দুটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন।
-
সাহিত্যিক স্থান: তিনি বঙ্কিমচর্চা যুগের একজন প্রধান গদ্যশিল্পী এবং উনিশ শতকের গুরুত্বপূর্ণ বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিক।
রচিত সাহিত্যকর্ম
-
নাটক: বসন্তকুমারী, জমীদার দর্পণ, বেহুলা গীতাভিনয়, টালা অভিনয়
-
উপন্যাস: বিষাদ-সিন্ধু
-
আত্মজীবনীমূলক রচনা: উদাসীন পথিকের মনের কথা, গাজী মিয়াঁর বস্তানী, আমার জীবনী, কুলসুম জীবনী
উৎস:বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago