রাজা রামমোহন রায়কে রাজা উপাধি দিয়েছিলেন কে?
A
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী
B
রাণী ভিক্টোরিয়া
C
এটি তার পৈত্রিক উপাধি
D
মোঘল বাদশাহ দ্বিতীয় আকবর
উত্তরের বিবরণ
রাজা রামমোহন রায় ছিলেন উনিশ শতকের বাংলা নবজাগরণের অগ্রদূত। তিনি পশ্চিম বাংলার রাধানগর গ্রামে এক রক্ষণশীল ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ধর্ম, সমাজ ও শিক্ষাক্ষেত্রে তিনি আধুনিকতার সূচনা ঘটান।
-
তিনি বাংলা ও হিন্দির পাশাপাশি সংস্কৃত, আরবি ও ফারসিতে পারদর্শী ছিলেন।
-
একেশ্বরবাদ প্রচারের উদ্দেশ্যে ‘আত্মীয় সভা’ গঠন করেন।
-
১৮২২ সালে অ্যাংলো হিন্দু কলেজ এবং ১৮২৫ সালে বেদান্ত কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
-
মোঘল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর তাঁকে ‘রাজা’ উপাধি প্রদান করেন।
-
তিনি বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, কৌলীন্য প্রথা, গঙ্গাসাগরে সন্তান বিসর্জন ও শিশুকন্যা হত্যার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন।
-
তাঁর প্রচেষ্টায় ১৮২৯ সালের ৪ ডিসেম্বর সতীদাহ প্রথা বিলুপ্ত হয়।
-
পরবর্তীতে ১৮৪৩ সালে ‘ব্রাহ্ম সমাজ’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘ব্রাহ্মধর্ম’ রাখা হয়।

0
Updated: 21 hours ago
'বেদান্তগ্রন্থ' - গ্রন্থটি রচনা করেন কে?
Created: 2 weeks ago
A
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
B
উইলিয়াম কেরি
C
রামমোহন রায়
D
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
‘বেদান্তগ্রন্থ’ ১৮১৫ সালে রাজা রামমোহন রায় কর্তৃক ব্রহ্মসূত্রের অনুবাদ ও টীকা হিসেবে রচিত হয়। বাংলাগদ্যের ইতিহাসে এর গুরুত্ব অসাধারণ। এই গ্রন্থে তিনি প্রমাণ করার চেষ্টা করেন যে হিন্দুধর্মের মূল ভিত্তি পৌত্তলিকতা নয়, বরং ব্রহ্মই একমাত্র তত্ত্ব ও উপাস্য। এর ফলে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে প্রবল বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
রামমোহন রায় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ হলো—
-
তিনি বাংলার নবজাগরণের আদি পুরুষ। জন্মগ্রহণ করেন ১৭৭২ সালের ২২ মে হুগলী জেলার রাধানগর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ পরিবারে।
-
১৮৩০ সালে মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর তাঁকে ‘রাজা’ উপাধি প্রদান করেন এবং ব্রিটিশ রাজ ও পার্লামেন্টে পক্ষে ওকালতির জন্য ইংল্যান্ডে পাঠান।
-
২০ আগস্ট ১৮২৮ সালে তিনি প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের সহায়তায় কলকাতায় ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন।
-
তিনি শিব প্রসাদ রায় ছদ্মনামে একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করতেন।
-
তাঁর রচিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় ৩০টি।
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago
'বেদান্তগ্রন্থ' - কে লিখেছেন?
Created: 3 weeks ago
A
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
B
রাজা রামমোহন রায়
C
রামরাম বসু
D
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
• বেদান্তগ্রন্থ – ১৮১৫ সালে রামমোহন রায় কর্তৃক ব্রহ্মসূত্রের অনুবাদ ও টীকা।
-
বাংলা গদ্যের ইতিহাসে এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অত্যন্ত।
-
গ্রন্থটির মূল উদ্দেশ্য: হিন্দুধর্মে পৌত্তলিকতা প্রধান নয়, বরং ব্রহ্মই একমাত্র তত্ত্ব ও উপাস্য।
-
এই গ্রন্থের ভিত্তিতে উনবিংশ শতকের প্রথম দিকে প্রবল বাকবিতর্কের সূচনা হয়।
রাজা রামমোহন রায়:
-
জন্ম: ১৭৭২ সালের ২২ মে, হুগলী জেলার রাধানগর গ্রামে সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ পরিবারে।
-
১৮৩০ সালে মুগল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর তাঁকে ‘রাজা’ খেতাব প্রদান করেন।
-
কলকাতায় ২০ আগস্ট ১৮২৮ সালে প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের সহায়তায় ‘ব্রাহ্মসমাজ’ প্রতিষ্ঠা করেন।
-
শিব প্রসাদ রায় ছদ্মনামে একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করতেন।
উল্লেখযোগ্য রচনা:
-
বেদান্তগ্রন্থ
-
বেদান্তসার
-
ভট্টাচার্যের সহিত বিচার
-
গোস্বামীর সহিত বিচার
-
সহমরন বিষয়ক প্রবর্তক ও নিবর্তকের সম্বাদ
-
গৌড়ীয় ব্যাকরণ

0
Updated: 3 weeks ago
রামমোহন রায় রচিত ব্রহ্মসূত্রের অনুবাদ ও টীকা কোনটি?
Created: 1 month ago
A
বেদান্তসার
B
গোস্বামীর সহিত বিচার
C
বেদান্তগ্রন্থ
D
ভট্টাচার্যের সহিত বিচার
বেদান্তগ্রন্থ
-
‘বেদান্তগ্রন্থ’ (১৮১৫) রামমোহন রায় কর্তৃক ব্রহ্মসূত্রের অনুবাদ ও টীকা।
-
বাংলাগদ্যের ইতিহাসে এই গ্রন্থটির ঐতিহাসিক মূল্য অসামান্য।
-
গ্রন্থের উদ্দেশ্য: পৌত্তলিকতা হিন্দু ধর্মের মুখ্য নয়, বরং ব্রহ্মই একমাত্র তত্ত্ব ও উপাস্য।
-
এই গ্রন্থ অবলম্বন করে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে প্রবল বাকবিতর্ক সৃষ্টি হয়।
রাজা রামমোহন রায়
-
বাংলার নবজাগরণের আদি পুরুষ, জন্ম: ১৭৭২ সালের ২২শে মে, হুগলী জেলার রাধানগর।
-
১৮৩০ সালে খেতাবসর্বস্ব মুগল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর তাকে ‘রাজা’ উপাধিতে ভূষিত করেন এবং ব্রিটিশ রাজ ও পার্লামেন্টে ওকালতি করার জন্য ইংল্যান্ডে পাঠান।
-
কলকাতায় ২০ আগস্ট ১৮২৮ সালে প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের সহায়তায় তিনি ব্রাহ্মসমাজ স্থাপন করেন।
-
শিব প্রসাদ রায় ছদ্মনামে মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করতেন।
-
তিনি প্রায় ৩০টি গ্রন্থ রচনা করেছেন।
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ
-
বেদান্তগ্রন্থ
-
বেদান্তসার
-
ভট্টাচার্যের সহিত বিচার
-
গোস্বামীর সহিত বিচার
-
সহমরন বিষয়ক প্রবর্তক ও নিবর্তকের সম্বাদ
-
গৌড়ীয় ব্যাকরণ প্রভৃতি
উৎস:
১) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
২) বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago