ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
A
লন্ডন
B
ব্রাসেলস
C
বন
D
প্যারিস
উত্তরের বিবরণ
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU)
-
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা EU হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক জোট।
-
এটি গঠিত হয়েছে ১ নভেম্বর, ১৯৯৩ সালে।
-
এর প্রধান কার্যালয় বেলজিয়ামের ব্রাসেলস শহরে।
-
শুরুতে এই জোটে ছিল ৬টি দেশ।
-
বর্তমানে EU-ভুক্ত দেশের সংখ্যা ২৭টি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো হলো
অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রীস, হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন এবং সুইডেন।
আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
-
EU-এর একক মুদ্রার নাম ইউরো।
-
ইউরো মুদ্রার ধারণা দিয়েছিলেন অর্থনীতিবিদ রবার্ট মুন্ডেল।
-
ইউরো চালু হয় ১ জানুয়ারি, ১৯৯৯ সালে।
-
EU দেশগুলোর সীমান্ত রক্ষার জন্য একটি বাহিনী রয়েছে, যার নাম FRONTEX।
তথ্যসূত্র: ইউরোপীয় ইউনিয়নের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
0
Updated: 3 months ago
সম্প্রতি (সেপ্টেম্বর ২০২০) কোন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মাঝে সংঘর্ষ হয়?
Created: 1 month ago
A
আর্টসাখ প্রজাতন্ত্র
B
নাগার্নো-কারাবাখ
C
ইয়েরেভান
D
নাকার্চভান ছিটমহল
নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতেও মাঝে মধ্যে সংঘর্ষের রূপ নেয়। এই অঞ্চলের রাজনৈতিক এবং etনিক সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন সময় যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরিত হয়েছে, তবে সম্পূর্ণ স্থায়ী সমাধি এখনও হয়নি।
-
নাগার্নো-কারাবাখ আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যে বিরোধপূর্ণ অঞ্চল।
-
এটি পূর্ব ইউরোপে অবস্থিত এবং সাবেক সোভিয়েত রিপাবলিকের অংশ হিসেবে উভয় দেশের মধ্যে বহু বছর ধরে দ্বন্দ্ব চলেছে।
-
১৯৮৮ থেকে ১৯৯৪ সালের মধ্যে এখানে যুদ্ধ হয়েছে; যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলেও এরপরও থেমে থেমে সংঘর্ষ হয়েছে।
-
অঞ্চলটির নিষ্পত্তি এখনও দুই দেশের মধ্যে হয়নি।
-
আন্তর্জাতিকভাবে এই অঞ্চল আজারবাইজানের অন্তর্ভুক্তি হিসেবে স্বীকৃত, কিন্তু কার্যত এটি জাতিগত আর্মেনিয়ার দ্বারা পরিচালিত।
-
যুদ্ধবিরতি মূলত বন্দী বিনিময় এবং মরদেহ উদ্ধারের সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য গ্রহণ করা হয়েছে।
-
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরিত হয় ৯ নভেম্বর ২০২০-এ।
-
স্বাক্ষর স্থল ছিল মস্কো, রাশিয়া, এবং মধ্যস্থতাকারী রাশিয়া।
-
এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় ১০ নভেম্বর ২০২০ থেকে।
0
Updated: 1 month ago
আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে বৈধ কর্তৃপক্ষ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম রাষ্ট্র কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ইরাক
B
চীন
C
রাশিয়া
D
পাকিস্তান
আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে বৈধ কর্তৃপক্ষ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম রাষ্ট্র হলো রাশিয়া। এই স্বীকৃতি সাম্প্রতিক বৈশ্বিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত।
-
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়া তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
-
৪ জুলাই ২০২৫ তারিখে রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবানকে বৈধ কর্তৃপক্ষ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
-
এর ফলে রাশিয়া হলো প্রথম দেশ, যারা সরাসরি তালেবান সরকারের বৈধতা মেনে নিল।
-
২০২৪ সালের জুলাইয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তালেবানকে “সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের মিত্র” হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।
-
এর আগে এপ্রিল মাসে রাশিয়ার সুপ্রিম কোর্ট তালেবানের ওপর থেকে ‘সন্ত্রাসী’ তকমা তুলে নেয়।
তালেবানের ইতিহাসের প্রেক্ষাপট:
-
তালেবান গোষ্ঠীর উত্থান ঘটে সোভিয়েত দখলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময়।
-
১৯৯৬ সালে তারা কাবুল দখল করে শাসন শুরু করে।
-
১১ সেপ্টেম্বর ২০০১ সালের সন্ত্রাসী হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে হামলা চালায় এবং সেই বছরের শেষ দিকে তালেবান সরকারকে উৎখাত করে।
-
পরবর্তী ২০ বছর যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তানের সামরিক নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে।
-
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে।
-
২০২১ সালে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পর তালেবান পুনরায় কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং আবার ক্ষমতায় আসে।
-
দীর্ঘ চার দশকের যুদ্ধ (১৯৭৯-২০২১) শেষে তালেবান সরকার এখন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও বিদেশি বিনিয়োগের জন্য আগ্রহী।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
২০২১ সালের আগস্টে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর কোনো দেশ তাদের সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে এ সময় থেকে রাশিয়া ধীরে ধীরে তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে।
-
যদিও স্বীকৃতি দেয়নি, তবুও চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উজবেকিস্তান এবং পাকিস্তান ইতোমধ্যে কাবুলে তাদের রাষ্ট্রদূত পাঠিয়েছে, যা স্বীকৃতির দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে ধরা হয়।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশ সদস্য নয় :
Created: 3 weeks ago
A
ILO
B
SAARC
C
NATO
D
BIMSTEC
বাংলাদেশ কূটনৈতিক ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একটি পুরস্কার প্রবর্তন করেছে, যা প্রথমবার দেওয়া হয় মুজিববর্ষ ২০২০ উপলক্ষে। এই পুরস্কার মূলত কূটনৈতিক কর্মকাণ্ডে অসামান্য সাফল্য দেখানো কূটনীতিকদের জন্য।
-
২০২০ সালে প্রবর্তিত এই পুরস্কারের প্রথম নাম ছিল বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমেটিক অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স।
-
পরে নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু মেডেল ফর ডিপ্লোম্যাটিক এক্সিলেন্স (Bangabandhu Medal for Diplomatic Excellence) রাখা হয়।
-
পুরস্কারটি প্রদান করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
-
প্রতি বছর একজন বাংলাদেশি কূটনীতিক এবং বাংলাদেশে কর্মরত একজন বিদেশি কূটনীতিককে এ পদক দেওয়া হবে।
-
২০২২ সালে এই পুরস্কারটি লাভ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।
0
Updated: 3 weeks ago