A
ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ
B
হোসেন শাহ্
C
শায়েস্তা খাঁ
D
ঈশা খাঁ
উত্তরের বিবরণ
সোনা মসজিদ
সোনা মসজিদ বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ও ঐতিহাসিক মসজিদ। এটি এক সময়ের প্রাচীন বাংলার রাজধানী গৌড় নগরীর কাছাকাছি, পিরোজপুর গ্রামে অবস্থিত।
মসজিদটি সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহ-এর শাসনামলে (১৪৯৪-১৫১৯ খ্রিষ্টাব্দে) ওয়ালি মোহাম্মদ আলি নামে একজন ব্যক্তি তৈরি করেছিলেন।
এটি বাংলার মুসলিম স্থাপত্যশিল্পের একটি উজ্জ্বল নিদর্শন।
ঊনিশ শতকের শুরুতে মেজর ফ্রাঙ্কলিন মসজিদের কাছে একটি শিলালিপি খুঁজে পান, যেটি এই মসজিদের সাথেই সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়।
সুলতানী আমলের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্য নিদর্শন:
-
গৌড়ের দাখিল দরওয়াজা
-
কোতওয়ালী দরওয়াজা
-
আদিনা মসজিদ
-
কদম রসুল
-
ষাটগম্বুজ মসজিদ
এই সব স্থাপনা সুলতানী আমলের গৌরবময় ইতিহাসকে তুলে ধরে।
সুলতানী আমলের শিল্প ও কারিগরি:
এই সময় বাংলার কারিগররা খুবই দক্ষ ছিলেন। তাঁরা চমৎকার মাটির পাত্র, আসবাবপত্র, ছুরি, কাঁচি ইত্যাদি তৈরি করতেন।
এ ছাড়াও গাছের ছাল থেকে কাগজ বানানো এবং সমুদ্রযাত্রার উপযোগী বড় জাহাজ তৈরিতেও বাংলার খ্যাতি ছিল।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 5 days ago
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মধ্যযুগীয় মসজিদ কোনটি?
Created: 1 week ago
A
কুসুম্বা মসজিদ
B
বড় সোনা মসজিদ
C
ষাট গম্বুজ মসজিদ
D
সাত গম্বুজ মসজিদ
ষাটগম্বুজ মসজিদ
বাংলাদেশের প্রাচীন মসজিদগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিশাল এবং মুসলিম স্থাপত্যকলার এক অপূর্ব নিদর্শন হলো ষাটগম্বুজ মসজিদ। এটি কেবল বাংলাদেশেই নয়, বরং সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশে এক অনন্য স্থাপত্যসৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে স্বীকৃত।
এই ঐতিহাসিক মসজিদটি খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলায় অবস্থিত। বর্তমানে বাগেরহাট শহর থেকে প্রায় তিন মাইল পশ্চিমে গড়াদীঘির পূর্বপাড়ে মসজিদটি দাঁড়িয়ে আছে। যদিও এটি “ষাটগম্বুজ” নামে পরিচিত, প্রকৃতপক্ষে এর গম্বুজের সংখ্যা ৮১টি।
মসজিদটি নির্মাণ করেন সুলতানি আমলের বিখ্যাত শাসক ও স্থপতি খান জাহান আলী (উলুঘ খান)। ধারণা করা হয়, এটি নির্মিত হয়েছিল পঞ্চদশ শতাব্দীতে, অর্থাৎ ১৫০০ সালের আশেপাশে।
ষাটগম্বুজ মসজিদ শুধু ধর্মীয় উপাসনালয় হিসেবেই নয়, সেই সময় এটি খান জাহান আলীর দরবার হিসেবে ব্যবহৃত হতো। পরবর্তীতে সেটিই পরিণত হয় বৃহৎ মসজিদে। ইতিহাস থেকে জানা যায়, সুলতান নাসিরউদ্দীন মাহমুদ শাহের (১৪৩৫–৫৯) শাসনামলে খান আল-আজম উলুঘ খান জাহান সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকায় খলিফাবাদ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। সেই রাজ্যের অন্যতম কেন্দ্র ছিল এই মসজিদ।
বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো ষাটগম্বুজ মসজিদকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়। এটি এখন বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ব ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন।
উৎস: বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (parjatan.gov.bd)

0
Updated: 1 week ago