নিচের কে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের পণ্ডিত ছিলেন না?
A
তারিণীচরণ মিত্র
B
চন্ডীচরণ মুনশি
C
রাজিব লোচন শর্মা
D
হরপ্রসাদ রায়
উত্তরের বিবরণ
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের সঙ্গে যুক্ত পণ্ডিতদের মধ্যে রাজিব লোচন শর্মা ছিলেন না। এই কলেজে যেসব পণ্ডিত কাজ করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—
-
মুনশী তারিণীচরণ মিত্র
-
চন্ডীচরণ মুনশী
-
রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়
-
হরপ্রসাদ রায়

0
Updated: 21 hours ago
'ইতিহাসমালা ও কথোপকথন' - নামে দুটি মৌলিক গ্রন্থ রচনা করেন কে?
Created: 2 weeks ago
A
রামমোহন রায়
B
উইলিয়াম কেরি
C
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
D
চণ্ডীচরণ মুন্শী
উইলিয়াম কেরি একজন ইংরেজ মিশনারি, যিনি বাংলা গদ্যের বিকাশে বিশেষ অবদান রেখেছেন।
উল্লেখযোগ্য তথ্যসমূহ—
-
তিনি ইতিহাসমালা এবং কথোপকথন নামে দুটি মৌলিক গ্রন্থ রচনা করেন।
-
ইতিহাসমালা বাংলা ভাষার প্রথম গল্পসংগ্রহ হিসেবে পরিচিত।
-
১৮১০ সালে দরিদ্র কৃষকদের জন্য কলকাতায় বোর্ডিং স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের অধ্যক্ষ কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
উইলিয়াম কেরি
B
লর্ড ওয়েলেসলি
C
মৃত্যুঞ্জল বিদ্যালঙ্কার
D
রামরাম বসু
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ
বাংলা গদ্যের বিকাশে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
১৮০০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তাদের ইংরেজ কর্মচারীদের দেশীয় ভাষা শেখানোর জন্য এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করে।
-
১৮০১ সালে এখানে বাংলা বিভাগ চালু হয়। এ বিভাগের দায়িত্ব পান শ্রীরামপুর মিশনের পাদরি ও বাইবেল অনুবাদক উইলিয়াম কেরি।
-
তিনি দুই জন পণ্ডিত ও ছয় জন সহকারী পণ্ডিতের সহযোগিতায় পাঠ্যপুস্তক তৈরির কাজ শুরু করেন।
-
এই প্রচেষ্টার ফলেই বাংলা গদ্যরচনায় নতুন যুগের সূচনা ঘটে, যা বাংলাসাহিত্যের ইতিহাসে “ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ পর্ব” নামে পরিচিত।
১৮০১ থেকে ১৮১৫ সালের মধ্যে রচিত বাংলা গদ্যপুস্তক
এই সময়ে মোট ৮ জন লেখক মিলে ১৩টি গদ্যগ্রন্থ রচনা করেন। সেগুলো হলো—
-
উইলিয়াম কেরি → কথোপকথন (১৮০১), ইতিহাসমালা (১৮১২)।
-
রামরাম বসু → রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র (১৮০১), লিপিমালা (১৮০২)।
-
গোলোকনাথ শর্মা → হিতোপদেশ (১৮০২)।
-
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার → বত্রিশ সিংহাসন (১৮০২), হিতোপদেশ (১৮০৮), রাজাবলি (১৮০৮), প্রবোধচন্দ্রিকা (১৮৩৩)।
-
তারিণীচরণ মিত্র → ওরিয়েন্টাল ফেবুলিস্ট (১৮০৩)।
-
রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায় → মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং (১৮০৫)।
-
চণ্ডীচরণ মুন্শী → তোতা ইতিহাস (১৮০৫)।
-
হরপ্রসাদ রায় → পুরুষ পরীক্ষা (১৮১৫)।
এভাবেই ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ বাংলা গদ্যের চর্চা ও বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা রাখে।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস — মাহবুবুল আলম।

0
Updated: 1 month ago
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ পর্বে রচিত বাংলা বইগুলো-
Created: 3 weeks ago
A
সংস্কৃত বইয়ের অনুবাদ
B
ফারসি বইয়ের অনুবাদ
C
ইংরেজি বইয়ের অনুবাদ
D
পণ্ডিতদের রচিত মৌলিক গ্রন্থ
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ পর্বে বাংলা গদ্যের ভিত্তি মূলত সংস্কৃত গ্রন্থের অনুবাদ বা সংস্কৃত সাহিত্যের প্রভাবে স্থাপিত হয়েছে। এই সময়ের বাংলা বইগুলো কলেজের ইংরেজ কর্মচারীদের শিক্ষার জন্য রচিত হয়েছিল,
যাতে সংস্কৃতের গাম্ভীর্য এবং সাধু ভাষার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। উইলিয়াম কেরির নেতৃত্বে দেশীয় পণ্ডিতরা (যেমন, রামরাম বসু, মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার, গোলকনাথ শর্মা) এই কাজ সম্পন্ন করেন।
• ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ ১৮০০ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয়, ২৪শে নভেম্বর থেকে কার্যক্রম শুরু।
• ১৮০১ সালে বাংলা বিভাগ প্রবর্তিত হয়, অধ্যক্ষ ছিলেন উইলিয়াম কেরি, যিনি পণ্ডিত ও সহকারী পণ্ডিতদের সহযোগিতায় পাঠ্যপুস্তক রচনা করান।
• এই সময়কালে বাংলা গদ্যপুস্তকগুলো মূলত সংস্কৃত গ্রন্থের অনুবাদ বা সংস্কৃত প্রভাবিত।
• উদাহরণস্বরূপ:
-
হিতোপদেশ (গোলকনাথ শর্মা, ১৮০২; মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার, ১৮০৮) – সংস্কৃত গ্রন্থের অনুবাদ।
-
বত্রিশ সিংহাসন (মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার, ১৮০২) – সংস্কৃত কথাসাহিত্যের অনুবাদ।
-
রাজাবলি (মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার, ১৮০৮) – সংস্কৃত ইতিহাসের অনুবাদ।
-
রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র (রামরাম বসু, ১৮০১) – প্রথম মুদ্রিত বাংলা জীবনচরিত্র, সংস্কৃত শৈলীতে রচিত।
• কিছু গ্রন্থে পণ্ডিতদের নিজস্ব শৈলী প্রকাশ পেয়েছে (যেমন, কথোপকথন বা লিপিমালা), তবে অধিকাংশই অনুবাদভিত্তিক।
• অন্যান্য বিকল্প: -
ফারসি বা ইংরেজি গ্রন্থের অনুবাদ এই পর্বে প্রধান ছিল না।
-
সম্পূর্ণ মৌলিক গ্রন্থের উদাহরণ কম; সংস্কৃত প্রভাব প্রাধান্য পায়।
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের ১৮০১–১৮১৫ সালের মধ্যে ৮ জন লেখক ১৩টি বাংলা গদ্যপুস্তক রচনা করেছেন:
• কেরি – কথোপকথন (১৮০১)
• রামরাম বসু – ইতিহাসমালা (১৮১২), রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র (১৮০১), লিপিমালা (১৮০২)
• গোলোকনাথ শর্মা – হিতোপদেশ (১৮০২)
• মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার – বত্রিশ সিংহাসন (১৮০২), হিতোপদেশ (১৮০৮), রাজাবলি (১৮০৮), প্রবোধচন্দ্রিকা (১৮৩৩)
• তারিণীচরণ মিত্র – ওরিয়েন্টাল ফেবুলিস্ট (১৮০৩)
• রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায় – মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং (১৮০৫)
• চণ্ডীচরণ মুর্শী – তোতা ইতিহাস (১৮০৫)
• হরপ্রসাদ রায় – পুরুষ পরীক্ষা (১৮১৫)
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের লেখকগোষ্ঠীর প্রচেষ্টায় বাংলা গদ্য সংস্কৃতীভূত হয়েছে, দৈনন্দিন কথ্য ভাষা সংস্কৃত প্রভাবিত শব্দসম্ভারে সমৃদ্ধ হয়ে এবং কৃত্রিম গাম্ভীর্যযুক্ত রূপ নেয়।

0
Updated: 3 weeks ago