বিশপ বার্কলি কোন ধরণের দার্শনিক?
A
বুদ্ধিবাদী
B
অভিজ্ঞতাবাদী
C
বাস্তববাদী
D
ভাববাদী
উত্তরের বিবরণ
অভিজ্ঞতাবাদী দার্শনিকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—
-
জন লক
-
বিশপ বার্কলি
-
ডেভিড হিউম
তাঁরা সকলেই বিশ্বাস করতেন, জ্ঞান আসে অভিজ্ঞতা থেকে, জন্মগতভাবে মানুষের মনে কোনো ধারণা থাকে না।

0
Updated: 22 hours ago
বাংলাদেশের কোন দার্শনিক সমন্বয়ী ভাববাদী দার্শনিক হিসেবে পরিচিত?
Created: 1 day ago
A
সাইদুর রহমান
B
আরজ আলী মাতুব্বর
C
গোবিন্দ্র চন্দ্র দেব
D
আবুল হাশিম
ড. জিসি দেবের মতে, মানুষের মুক্তি অর্জনের জন্য শুধুমাত্র ভাববাদ বা শুধুমাত্র জড়বাদ যথেষ্ট নয়। এই দুটি দর্শনের মধ্যে বিরোধ নয়, বরং তাদের সমন্বয়ের মাধ্যমেই এক নতুন দার্শনিক পথের সৃষ্টি সম্ভব। তাঁর দৃষ্টিতে ভাববাদ মানবচেতনা ও আত্মিক উন্নতির দিকটি তুলে ধরে, আর জড়বাদ বাস্তব জগতের ভৌত ও প্রায়োগিক সত্যকে গুরুত্ব দেয়। এই দুই দিকের সুষম মিলনই মানুষের সামগ্রিক উন্নতির পথ দেখাতে পারে। তাই তাঁর দর্শনকে সমন্বয়ী ভাববাদ বলা হয়।

0
Updated: 1 day ago
একত্ববাদী জড়বাদী দার্শনিক হলেন-
Created: 1 day ago
A
এনাক্সিমেনিসি
B
পিথাগোরাস
C
সক্রেটিস
D
প্লেটো
এনাক্সিমেনিস প্রাচীন গ্রিক দার্শনিকদের মধ্যে অন্যতম, যিনি জগতের আদি বা মূল সত্তা সম্পর্কে একটি নির্দিষ্ট মতবাদ প্রদান করেন। তাঁর মতে, সমগ্র জগতের উৎস বা মূল উপাদান হলো “বায়ু”। তিনি বিশ্বাস করতেন, এই বায়ুই বিভিন্ন রূপ ও পরিবর্তনের মাধ্যমে সমস্ত বস্তু ও প্রাণের অস্তিত্ব সৃষ্টি করেছে। বায়ুর ঘনত্ব ও পাতল্যতার পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর নানা উপাদান ও রূপের উদ্ভব ঘটে।
এই ধারণার মাধ্যমে এনাক্সিমেনিস একক মূল উপাদান বা সত্তার অস্তিত্বে বিশ্বাস প্রকাশ করেন, তাই তাঁর দর্শনকে একত্ববাদী (Monistic) বলা হয়। আবার তিনি এই মূল সত্তাকে জড় উপাদান (বায়ু) হিসেবে ব্যাখ্যা করায়, তাঁর দর্শনকে জড়বাদী (Materialistic) বলা হয়। সুতরাং এনাক্সিমেনিস ছিলেন একাধারে একত্ববাদী ও জড়বাদী দার্শনিক।

0
Updated: 1 day ago
বৌদ্ধ দর্শনে 'সম্যক কর্মান্ত' বলতে বোঝায়?
Created: 1 day ago
A
সঠিক স্মৃতি
B
সঠিক ঘুম
C
সঠিক আহার
D
সঠিক কর্ম
বৌদ্ধ দর্শনের অষ্টাঙ্গিক মার্গের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো সম্যক্ কর্মান্ত বা সংযত আচরণ (Right Conduct)। এর মাধ্যমে বৌদ্ধ ধর্ম মানুষকে নৈতিক ও শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবনযাপনের নির্দেশ দেয়। সম্যক্ কর্মান্তের মূল উদ্দেশ্য হলো এমন আচরণ ও কর্ম বর্জন করা যা অন্যের ক্ষতি বা সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করে।
এই সংযত আচরণের অন্তর্ভুক্ত হলো পঞ্চশীল বা পাঁচটি নৈতিক আচরণবিধি—
-
অহিংসা: জীবহত্যা থেকে বিরত থাকা।
-
অস্তেয় (অচৌর্য): অন্যের সম্পদ চুরি না করা।
-
ব্রহ্মচর্য: অবৈধ ইন্দ্রিয়-ভোগ থেকে বিরত থাকা।
-
সত্য: মিথ্যা কথা না বলা।
-
মাদকদ্রব্য বর্জন: মদ্য ও নেশাজাত দ্রব্য থেকে বিরত থাকা।
এই পাঁচটি শীল বা আচরণই সম্যক্ কর্মান্তের অন্তর্গত, যা মানুষের নৈতিক পরিশুদ্ধি ও আত্মিক উন্নয়নের পথ নির্দেশ করে।

0
Updated: 1 day ago