নৈতিক প্রগতি বলতে কি বুঝায়?
A
অর্থনৈতিক উন্নয়ন
B
ধর্মীয় নিয়মের প্রবতন
C
নৈতিক মানদণ্ডের অবনতি
D
সমাজকে আরও ন্যায়সঙ্গত ও মানবিক করার প্রচেষ্টা
উত্তরের বিবরণ
প্রগতি হলো কোনো ভালো বা মূল্যবান লক্ষ্যকে সামনে রেখে তার দিকে অগ্রসর হওয়ার প্রবণতা। অভিজ্ঞতা ও বিচারশক্তির বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের স্বাধীনতা ও নৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। ফলে মানুষ ভালো-মন্দ ও ন্যায়-অন্যায় বিচার করে নিজের ও সমাজের মঙ্গলের পথ খুঁজে নিতে চেষ্টা করে। এই প্রচেষ্টার মাধ্যমেই ঘটে নৈতিক প্রগতি, যা সমাজকে আরও ন্যায়সংগত ও মানবিক করে তোলে।

0
Updated: 22 hours ago
আত্মগত মূল্যতত্ত্বের প্রবক্তা কে?
Created: 22 hours ago
A
উইলিয়াম জেমস
B
এফ. সি. এইচ শিলার
C
সি. এস পার্স
D
জন ডিউই
F.C.S. Schiller's subjective value theory: also known as pragmatic value theory, argues that value is not inherent in an object but is determined by an individual's needs and circumstances at a specific time.This means an object's worth is based on its utility to a person, which can change based on their preferences and the specific context.
Key tenets of Schiller's theory:
1. Value is contextual
2. Value is human-centric:
3. Value is practical

0
Updated: 22 hours ago
মন ও শরীরের সম্পর্কের তত্ত্বটি তুলে ধরেছেন-
Created: 1 day ago
A
জন লক
B
বার্ট্রান্ড রাসেল
C
রেনে ডেকার্ট
D
ডারউইন
রেনে ডেকার্ট মন ও শরীরকে দুটি স্বতন্ত্র ও পৃথক সত্তা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। তাঁর মতে, মন (চেতনা বা আত্মা) হলো চিন্তাশীল, অদৃশ্য ও অবস্তুমূলক সত্তা, আর শরীর হলো ভৌত জগতে অবস্থিত একটি বস্তুমূলক ও প্রসারিত সত্তা। এই দুই সত্তা প্রকৃতিগতভাবে ভিন্ন হলেও, মানুষের অস্তিত্বে এরা একে অপরের সঙ্গে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সম্পন্ন করে।
এই পারস্পরিক প্রভাব সম্পর্কিত ব্যাখ্যাকেই ডেকার্ট ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াবাদ তত্ত্ব (Interactionism) নামে উপস্থাপন করেন। তাঁর মতে, মন শরীরের উপর প্রভাব ফেলে— যেমন চিন্তা বা ইচ্ছা শরীরের ক্রিয়াকে উদ্দীপিত করে; আবার শরীরের পরিবর্তনও মনের অনুভূতি বা চিন্তায় প্রভাব ফেলে। এভাবেই রেনে ডেকার্ট মন-শরীর সম্পর্কের একটি যুক্তিনির্ভর দার্শনিক ব্যাখ্যা প্রদান করেন।

0
Updated: 1 day ago
'দর্শন' হিসেবে সর্ব প্রথম দর্শনের কোন শাখাটি বিবেচিত হয়?
Created: 1 day ago
A
জ্ঞানবিদ্যা
B
অধিবিদ্যা
C
মূল্যবিদ্যা
D
বিশ্বতত্ত্ব
থেলিস প্রাচীন গ্রীসের এক প্রখ্যাত দার্শনিক, যিনি দর্শনের জনক হিসেবে পরিচিত। তিনি প্রথম প্রশ্ন তোলেন— “এই জগতের আদি বা মূল সত্তা কী?” তাঁর মতে, সমগ্র জগতের মূল উপাদান বা আদিমতম সত্তা হলো “পানি”। তিনি বিশ্বাস করতেন, পৃথিবীর সবকিছুই পানির থেকেই সৃষ্টি হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত পানিতেই বিলীন হবে। এইভাবে জগতের মূল সত্তা নিয়ে অনুসন্ধানের মধ্য দিয়েই দর্শনের সূচনা হয়।
এই অনুসন্ধানই মূলত তত্ত্ববিদ্যার (Ontology) অন্তর্ভুক্ত।
তত্ত্ববিদ্যা (Ontology):
তত্ত্ববিদ্যাকে বলা হয় দর্শনের প্রাণস্পন্দন, কারণ এটি জগতের সর্বমৌলিক প্রশ্ন—“অস্তিত্ব কী?” বা “সত্তা কী?”—এর উত্তর অনুসন্ধান করে।
-
‘Ontology’ শব্দের অর্থ হলো সত্তাসম্পর্কীয় বিজ্ঞান (Science of Being)।
-
এটি মূলত অধিবিদ্যার (Metaphysics) একটি শাখা, যা জগতের প্রকৃত অস্তিত্ব, বাস্তবতার প্রকৃতি এবং সত্তার গঠন নিয়ে আলোচনা করে।
-
অ্যারিস্টটল একে বলেছেন “First Philosophy”, কারণ এটি সমস্ত জ্ঞানের ভিত্তি হিসেবে বাস্তবতার মূল রূপ নিয়ে আলোচনা করে।
তত্ত্ববিদ্যায় আলোচনা করা হয়—
-
জগতের আদি বা মৌলিক সত্তা কী,
-
বস্তু ও আত্মার সম্পর্ক কেমন,
-
বাস্তবতা এক না বহু,
-
জগতের উৎপত্তি ও পরিবর্তনের প্রকৃতি কী।
অতএব, থেলিসের পানিকে জগতের মূল সত্তা ঘোষণা করা তত্ত্ববিদ্যারই সূচনা, যেখানে দর্শন প্রথমবারের মতো অস্তিত্ব ও বাস্তবতার মৌলিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শুরু করে।

0
Updated: 1 day ago