কোন দার্শনিককে সর্বেশ্বরবাদী বলা যায়?
A
রেনে ডেকার্ট
B
লাইবনিজ
C
স্পিনোজা
D
ডেভিড হিউম
উত্তরের বিবরণ
বারুচ স্পিনোজা ছিলেন একজন সর্বেশ্বরবাদী দার্শনিক, যার মতে ঈশ্বর ও মহাবিশ্ব এক ও অভিন্ন। অর্থাৎ, ঈশ্বরই সবকিছু এবং সবকিছুই ঈশ্বর। তিনি মনে করতেন, ঈশ্বর ও প্রকৃতির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই—উভয়ই একই সত্তার দুই দিক। তাই স্পিনোজার দর্শনে ঈশ্বর মানেই প্রকৃতি, আর প্রকৃতিই ঈশ্বরের প্রকাশ।

0
Updated: 23 hours ago
কোন দার্শনিক দর্শনকে 'জ্ঞানবিষয়ক বিজ্ঞান ও তার সমালোচনা' হিসেবে অভিহিত করেন?
Created: 1 day ago
A
ইমানুয়েল কান্ট
B
হার্বাট স্পেন্সার
C
প্লেটো
D
হেগেল
দর্শনের প্রামাণ্য সংজ্ঞাসমূহ মানবচিন্তার ইতিহাসে বিভিন্ন দার্শনিক তাঁদের নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে দর্শনের প্রকৃতি, উদ্দেশ্য ও পরিসর ব্যাখ্যা করেছেন। নিচে তাঁদের উক্তিগুলো বিশ্লেষণসহ উপস্থাপন করা হলো—
-
প্লেটো বলেন, “নিত্যের এবং বস্তুর স্বরূপের জ্ঞান লাভ করাই দর্শনের লক্ষ্য।”
অর্থাৎ দর্শনের মাধ্যমে মানুষ চিরন্তন সত্য ও বাস্তবতার মূল রূপ অনুধাবন করতে চায়। -
দার্শনিক পেরী-র মতে, “দর্শন আকস্মিক কিছু নয়, অলৌকিক কিছু নয়, বরং অনিবার্য ও স্বাভাবিক।”
এখানে দর্শনকে মানবজীবনের একটি স্বাভাবিক চিন্তাগত প্রক্রিয়া হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে উদ্ভূত। -
পলসন বলেন, “দর্শন সমস্ত বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের সমষ্টি।”
এই সংজ্ঞা দর্শনের জ্ঞানবিজ্ঞানমূলক দিককে তুলে ধরে, যেখানে দর্শনকে বিজ্ঞানসমূহের সমন্বিত রূপ হিসেবে দেখা হয়েছে। -
হার্বার্ট স্পেনসার বলেন, “দর্শন সাধারণ সত্যের সর্বোচ্চ ধাপের জ্ঞান।”
তাঁর মতে, দর্শন এমন এক জ্ঞান যা সব সাধারণ সত্যকে একত্রিত করে সর্বজনীন সত্যে রূপান্তরিত করে। -
ইমানুয়েল কান্ট বলেন, “দর্শন হলো জ্ঞান সম্পর্কীয় বিজ্ঞান এবং তার সমালোচনা।”
কান্টের মতে, দর্শন মূলত জ্ঞানের প্রকৃতি, সীমা ও বৈধতা সম্পর্কে সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ। -
ফিক্টে বলেন, “দর্শন হলো জ্ঞান-বিজ্ঞান।”
তিনি দর্শনকে এমন এক বিজ্ঞান হিসেবে দেখেছেন, যা জ্ঞানের ভিত্তি ও কাঠামো বিশ্লেষণ করে। -
বার্ট্রান্ড রাসেল বলেন, “দর্শন হলো ধর্ম ও বিজ্ঞানের মধ্যবর্তী একটি অনধিকৃত প্রদেশ (No Man’s Land)।”
তাঁর মতে, দর্শন এমন এক ক্ষেত্র যা ধর্মের বিশ্বাসনির্ভরতা ও বিজ্ঞানের প্রমাণনির্ভরতার মাঝামাঝি অবস্থানে থেকে সত্যের সন্ধান করে।
অতএব, এই সংজ্ঞাগুলোর সারমর্ম হলো— দর্শন জ্ঞানের মূল প্রকৃতি, সত্য ও বাস্তবতার অনুসন্ধান; এটি মানবচেতনার যুক্তিনির্ভর ও সমালোচনামূলক অনুসন্ধানের এক অনিবার্য প্রকাশ।

0
Updated: 1 day ago
মন ও শরীরের সম্পর্কের তত্ত্বটি তুলে ধরেছেন-
Created: 1 day ago
A
জন লক
B
বার্ট্রান্ড রাসেল
C
রেনে ডেকার্ট
D
ডারউইন
রেনে ডেকার্ট মন ও শরীরকে দুটি স্বতন্ত্র ও পৃথক সত্তা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। তাঁর মতে, মন (চেতনা বা আত্মা) হলো চিন্তাশীল, অদৃশ্য ও অবস্তুমূলক সত্তা, আর শরীর হলো ভৌত জগতে অবস্থিত একটি বস্তুমূলক ও প্রসারিত সত্তা। এই দুই সত্তা প্রকৃতিগতভাবে ভিন্ন হলেও, মানুষের অস্তিত্বে এরা একে অপরের সঙ্গে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সম্পন্ন করে।
এই পারস্পরিক প্রভাব সম্পর্কিত ব্যাখ্যাকেই ডেকার্ট ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াবাদ তত্ত্ব (Interactionism) নামে উপস্থাপন করেন। তাঁর মতে, মন শরীরের উপর প্রভাব ফেলে— যেমন চিন্তা বা ইচ্ছা শরীরের ক্রিয়াকে উদ্দীপিত করে; আবার শরীরের পরিবর্তনও মনের অনুভূতি বা চিন্তায় প্রভাব ফেলে। এভাবেই রেনে ডেকার্ট মন-শরীর সম্পর্কের একটি যুক্তিনির্ভর দার্শনিক ব্যাখ্যা প্রদান করেন।

0
Updated: 1 day ago
একত্ববাদী জড়বাদী দার্শনিক হলেন-
Created: 1 day ago
A
এনাক্সিমেনিসি
B
পিথাগোরাস
C
সক্রেটিস
D
প্লেটো
এনাক্সিমেনিস প্রাচীন গ্রিক দার্শনিকদের মধ্যে অন্যতম, যিনি জগতের আদি বা মূল সত্তা সম্পর্কে একটি নির্দিষ্ট মতবাদ প্রদান করেন। তাঁর মতে, সমগ্র জগতের উৎস বা মূল উপাদান হলো “বায়ু”। তিনি বিশ্বাস করতেন, এই বায়ুই বিভিন্ন রূপ ও পরিবর্তনের মাধ্যমে সমস্ত বস্তু ও প্রাণের অস্তিত্ব সৃষ্টি করেছে। বায়ুর ঘনত্ব ও পাতল্যতার পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর নানা উপাদান ও রূপের উদ্ভব ঘটে।
এই ধারণার মাধ্যমে এনাক্সিমেনিস একক মূল উপাদান বা সত্তার অস্তিত্বে বিশ্বাস প্রকাশ করেন, তাই তাঁর দর্শনকে একত্ববাদী (Monistic) বলা হয়। আবার তিনি এই মূল সত্তাকে জড় উপাদান (বায়ু) হিসেবে ব্যাখ্যা করায়, তাঁর দর্শনকে জড়বাদী (Materialistic) বলা হয়। সুতরাং এনাক্সিমেনিস ছিলেন একাধারে একত্ববাদী ও জড়বাদী দার্শনিক।

0
Updated: 1 day ago