দুঃখবাদের রাজপুত্র বলা হয়-
A
কান্ট
B
রাসেল
C
প্লেটো
D
শোপেন হাওয়ার
উত্তরের বিবরণ
হেগেলের ভাববাদী দর্শনের বিরোধিতা করেন জোহান ফ্রিডরিখ হার্বাট ও আর্থার শোপেনহাওয়ার।
হার্বাট দর্শনে অভিজ্ঞতা ও মনোবিজ্ঞানের প্রয়োগের ওপর জোর দেন।
শোপেনহাওয়ার হেগেলের আশাবাদের বিপরীতে নৈরাশ্যবাদী দর্শন তুলে ধরেন, যেখানে জগতের মূল সত্তা হলো অন্ধ ইচ্ছাশক্তি (Will)।
তাই হেগেলকে বলা হয় “জার্মান ভাববাদের রাজকুমার”, আর শোপেনহাওয়ারকে “দুঃখবাদীদের রাজকুমার”।

0
Updated: 23 hours ago
কোন দার্শনিক দর্শনকে 'জ্ঞানবিষয়ক বিজ্ঞান ও তার সমালোচনা' হিসেবে অভিহিত করেন?
Created: 1 day ago
A
ইমানুয়েল কান্ট
B
হার্বাট স্পেন্সার
C
প্লেটো
D
হেগেল
দর্শনের প্রামাণ্য সংজ্ঞাসমূহ মানবচিন্তার ইতিহাসে বিভিন্ন দার্শনিক তাঁদের নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে দর্শনের প্রকৃতি, উদ্দেশ্য ও পরিসর ব্যাখ্যা করেছেন। নিচে তাঁদের উক্তিগুলো বিশ্লেষণসহ উপস্থাপন করা হলো—
-
প্লেটো বলেন, “নিত্যের এবং বস্তুর স্বরূপের জ্ঞান লাভ করাই দর্শনের লক্ষ্য।”
অর্থাৎ দর্শনের মাধ্যমে মানুষ চিরন্তন সত্য ও বাস্তবতার মূল রূপ অনুধাবন করতে চায়। -
দার্শনিক পেরী-র মতে, “দর্শন আকস্মিক কিছু নয়, অলৌকিক কিছু নয়, বরং অনিবার্য ও স্বাভাবিক।”
এখানে দর্শনকে মানবজীবনের একটি স্বাভাবিক চিন্তাগত প্রক্রিয়া হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে উদ্ভূত। -
পলসন বলেন, “দর্শন সমস্ত বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের সমষ্টি।”
এই সংজ্ঞা দর্শনের জ্ঞানবিজ্ঞানমূলক দিককে তুলে ধরে, যেখানে দর্শনকে বিজ্ঞানসমূহের সমন্বিত রূপ হিসেবে দেখা হয়েছে। -
হার্বার্ট স্পেনসার বলেন, “দর্শন সাধারণ সত্যের সর্বোচ্চ ধাপের জ্ঞান।”
তাঁর মতে, দর্শন এমন এক জ্ঞান যা সব সাধারণ সত্যকে একত্রিত করে সর্বজনীন সত্যে রূপান্তরিত করে। -
ইমানুয়েল কান্ট বলেন, “দর্শন হলো জ্ঞান সম্পর্কীয় বিজ্ঞান এবং তার সমালোচনা।”
কান্টের মতে, দর্শন মূলত জ্ঞানের প্রকৃতি, সীমা ও বৈধতা সম্পর্কে সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ। -
ফিক্টে বলেন, “দর্শন হলো জ্ঞান-বিজ্ঞান।”
তিনি দর্শনকে এমন এক বিজ্ঞান হিসেবে দেখেছেন, যা জ্ঞানের ভিত্তি ও কাঠামো বিশ্লেষণ করে। -
বার্ট্রান্ড রাসেল বলেন, “দর্শন হলো ধর্ম ও বিজ্ঞানের মধ্যবর্তী একটি অনধিকৃত প্রদেশ (No Man’s Land)।”
তাঁর মতে, দর্শন এমন এক ক্ষেত্র যা ধর্মের বিশ্বাসনির্ভরতা ও বিজ্ঞানের প্রমাণনির্ভরতার মাঝামাঝি অবস্থানে থেকে সত্যের সন্ধান করে।
অতএব, এই সংজ্ঞাগুলোর সারমর্ম হলো— দর্শন জ্ঞানের মূল প্রকৃতি, সত্য ও বাস্তবতার অনুসন্ধান; এটি মানবচেতনার যুক্তিনির্ভর ও সমালোচনামূলক অনুসন্ধানের এক অনিবার্য প্রকাশ।

0
Updated: 1 day ago
দর্শনকে কোন অর্থে বিজ্ঞান বলা যায়?
Created: 1 day ago
A
বিচারমূলক এবং তথ্যনুসন্ধানের জন্য
B
বিচারমূলক ও বিশ্লেষণমূলক পদ্ধতির জন্য
C
বিচারমূলক এবং পদ্ধতিগত অনুসন্ধানের জন্য
D
বিশ্লেষণমূলক ও সংশ্লেষণাত্মক পদ্ধতির জন্য
মূলত দর্শন ও বিজ্ঞান উভয়ই সত্যের অনুসন্ধানে নিয়োজিত দুটি জ্ঞানশাখা। এদের লক্ষ্য হলো যুক্তি, পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে বাস্তবতার প্রকৃত রূপ অনুধাবন করা। উভয় ক্ষেত্রেই সত্যে উপনীত হতে বিচারমূলক চিন্তা, পদ্ধতিগত অনুসন্ধান এবং প্রমাণনির্ভর বিশ্লেষণ ব্যবহৃত হয়। দর্শন যেখানে চিন্তার যুক্তি ও ধারণার ভিত্তি পরীক্ষা করে, সেখানে বিজ্ঞান পরীক্ষণ ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বাস্তব সত্য যাচাই করে। তাই বলা যায়, উভয়ের উদ্দেশ্য এক — যুক্তিনিষ্ঠ অনুসন্ধানের মাধ্যমে সত্যে পৌঁছানো।

0
Updated: 1 day ago
কর্মক্ষেত্রে নৈতিক দ্বিধায় পড়লে দর্শনের কোন শাখাটি সবচেয়ে বেশি সহায়ক হতে পারে?
Created: 13 hours ago
A
অধিবিদ্যা
B
নীতিবিদ্যা
C
যুক্তিবিদ্যা
D
জ্ঞানবিদ্যা
নীতিবিদ্যা দর্শনের একটি শাখা, যা মানুষের আচরণ, চরিত্র ও ইচ্ছাধীন কাজের নৈতিকতা নিয়ে আলোচনা করে। এটি ভালো-মন্দ, সঠিক-ভুল ও ন্যায়-অন্যায় পার্থক্য নির্ধারণে সহায়তা করে।
তাই কেউ যদি কর্মক্ষেত্রে নৈতিক দ্বিধায় পড়ে, তাহলে নীতিবিদ্যার জ্ঞান তাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে পারে।

0
Updated: 13 hours ago