নিম্নের কোন মুসলিম দার্শনিক মরমি দার্শনিক হিসেবে পরিচিত?
A
আল কিন্দি
B
আল ফারাবী
C
ইবনে রশদ
D
আল্লামা ইকবাল
উত্তরের বিবরণ
ইকবালের দার্শনিক চিন্তাধারার বৈশিষ্ট্য দুটি প্রধান উৎস থেকে বিকশিত হয়েছে—
১. ইসলামী উৎস: কোরআন, হাদীস ও রুমীর দর্শন ইকবালের চিন্তার মূল প্রেরণা। এসব উৎস থেকে তিনি মানবাত্মার জাগরণ, আত্মচেতনা ও সৃষ্টিশীল কর্মের শিক্ষা গ্রহণ করেন।
২. পাশ্চাত্য দর্শনের প্রভাব: ইকবাল প্রভাবিত হয়েছিলেন উইলিয়াম জেমস, নীটশে, বার্গসোঁ ও ম্যাকটেগার্ট-এর চিন্তাধারা থেকে। এসব দার্শনিকের প্রভাবে তাঁর দর্শনে যুক্তি, গতি, শক্তি ও সৃজনশীলতার ধারণা স্থান পায়।
তাঁর দর্শনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো মরমী চেতনা ও আত্মসচেতনতার বিকাশ। ইকবালের মতে, স্বজ্ঞা (Self-awareness) বা ‘খুদি’-চেতনাই জ্ঞানের একমাত্র প্রকৃত উৎস। এই আত্মসচেতনতার মাধ্যমে মানুষ নিজের মর্যাদা উপলব্ধি করে এবং সৃষ্টিশীল শক্তি অর্জন করে।
অতএব, ইকবালের দর্শন হলো ইসলামী আধ্যাত্মবাদ ও আধুনিক পাশ্চাত্য চিন্তার এক সমন্বিত রূপ, যেখানে জ্ঞানের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে স্বজ্ঞা ও আত্মোন্নয়নের ওপর।

0
Updated: 23 hours ago
আল্লামা ইকবালের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ 'আসরার-ই-খুদী' কোন ভাষায় রচিত?
Created: 1 day ago
A
ফারসি
B
আরবি
C
বাংলা
D
ইংরেজী
‘আসরার-ই-খুদি’ আল্লামা ইকবালের রচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ দার্শনিক গ্রন্থ, যা ফারসি ভাষায় রচিত। এটি ১৯১৫ সালে প্রকাশিত হয় এবং ইকবালের প্রথম দার্শনিক কবিতার বই হিসেবে পরিচিত।
গ্রন্থটিতে ইকবাল তাঁর অন্যতম মূল ভাবনা ‘খুদি’ বা ‘আত্মচেতনা’-র ধারণা তুলে ধরেছেন। তাঁর মতে, মানুষের আত্মসচেতনতা বা খুদি-চেতনার বিকাশই প্রকৃত স্বাধীনতা ও মর্যাদার পথ। এই গ্রন্থে তিনি ব্যক্তি আত্মার জাগরণ, আত্মবিশ্বাস, কর্মপ্রবণতা এবং ঈশ্বরের সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক নিয়ে গভীর দার্শনিক বিশ্লেষণ করেছেন।
অতএব, ‘আসরার-ই-খুদি’ শুধু একটি কাব্যগ্রন্থ নয়, বরং এটি আল্লামা ইকবালের আত্মদর্শন ও মানবতাবোধের এক গভীর দার্শনিক প্রকাশ।

0
Updated: 1 day ago