নিশ্চল জড়বাদের প্রবর্তক কে?
A
জন ডাল্টন
B
থেলিস
C
নিউটন
D
লর্ড কেলভিন
উত্তরের বিবরণ
নিশ্চল জড়বাদ (Static Theory of Matter) উনিশ শতকের প্রথম ভাগে প্রখ্যাত রসায়নবিদ জন ডাল্টন (১৭৬৬–১৮৪৪) প্রবর্তন করেন। তিনি প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক ডেমোক্রিটাসের পরমাণুবাদ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁর এই তত্ত্ব উপস্থাপন করেন।
ডাল্টনের মতে, যেকোনো বস্তুকে ক্রমাগত বিভক্ত করলে তা একসময় কিছু সূক্ষ্ম কণিকায় পরিণত হয়, যেগুলোকে বলা হয় পরমাণু (Atom)। এই পরমাণুগুলো—
-
খালি চোখে দেখা যায় না,
-
অভেদ্য ও অবিনশ্বর,
-
এবং স্বভাবে নিশ্চল বা গতিহীন।
তবে ডাল্টন মনে করেন, বাইরের শক্তি প্রয়োগ করলে এই স্থির পরমাণুগুলো সক্রিয় ও সচল হয়ে ওঠে এবং বিভিন্ন বস্তুর গঠন ও রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশ নেয়।
অতএব, ডাল্টনের এই তত্ত্বে বস্তুজগতের ভিত্তি হিসেবে পরমাণুকে স্থির কিন্তু শক্তিপ্রভাবনীয় সত্তা হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যা পরবর্তীতে আধুনিক পরমাণুবাদের ভিত্তি স্থাপন করে।

0
Updated: 23 hours ago
দ্বান্ধিক পদ্ধতির প্রবক্তা কে?
Created: 12 hours ago
A
কাল মার্কস
B
ডারউইন
C
হেগেল
D
ম্যুর
হেগেলের মতে, জগত ও চিন্তার বিকাশ ঘটে একটি দ্বান্দ্বিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, যার তিনটি ধাপ হলো—
-
বাদ (Thesis)
-
প্রতিবাদ (Antithesis)
-
সমন্বয় (Synthesis)
এই তিন ধাপ মিলে গঠন করে দ্বান্দ্বিক প্রক্রিয়ার ত্রয়ী (Triad)।
হেগেল মনে করেন, এ পদ্ধতি শুধু চিন্তার নয়, বরং সমগ্র জগতের পরিবর্তন ও বিকাশের নিয়ম। জড় জগৎ, ইতিহাস, নীতি, ধর্ম—সব ক্ষেত্রেই এই প্রক্রিয়ায় ক্রমোন্নয়ন ও অগ্রগতি ঘটে।
এই পদ্ধতি ইতিহাসে পরিচিত “হেগেলীয়ান দ্বান্দ্বিক” (Hegelian Dialectic) নামে।

0
Updated: 12 hours ago
কোন দার্শনিক দর্শনকে 'জ্ঞানবিষয়ক বিজ্ঞান ও তার সমালোচনা' হিসেবে অভিহিত করেন?
Created: 1 day ago
A
ইমানুয়েল কান্ট
B
হার্বাট স্পেন্সার
C
প্লেটো
D
হেগেল
দর্শনের প্রামাণ্য সংজ্ঞাসমূহ মানবচিন্তার ইতিহাসে বিভিন্ন দার্শনিক তাঁদের নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে দর্শনের প্রকৃতি, উদ্দেশ্য ও পরিসর ব্যাখ্যা করেছেন। নিচে তাঁদের উক্তিগুলো বিশ্লেষণসহ উপস্থাপন করা হলো—
-
প্লেটো বলেন, “নিত্যের এবং বস্তুর স্বরূপের জ্ঞান লাভ করাই দর্শনের লক্ষ্য।”
অর্থাৎ দর্শনের মাধ্যমে মানুষ চিরন্তন সত্য ও বাস্তবতার মূল রূপ অনুধাবন করতে চায়। -
দার্শনিক পেরী-র মতে, “দর্শন আকস্মিক কিছু নয়, অলৌকিক কিছু নয়, বরং অনিবার্য ও স্বাভাবিক।”
এখানে দর্শনকে মানবজীবনের একটি স্বাভাবিক চিন্তাগত প্রক্রিয়া হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে উদ্ভূত। -
পলসন বলেন, “দর্শন সমস্ত বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের সমষ্টি।”
এই সংজ্ঞা দর্শনের জ্ঞানবিজ্ঞানমূলক দিককে তুলে ধরে, যেখানে দর্শনকে বিজ্ঞানসমূহের সমন্বিত রূপ হিসেবে দেখা হয়েছে। -
হার্বার্ট স্পেনসার বলেন, “দর্শন সাধারণ সত্যের সর্বোচ্চ ধাপের জ্ঞান।”
তাঁর মতে, দর্শন এমন এক জ্ঞান যা সব সাধারণ সত্যকে একত্রিত করে সর্বজনীন সত্যে রূপান্তরিত করে। -
ইমানুয়েল কান্ট বলেন, “দর্শন হলো জ্ঞান সম্পর্কীয় বিজ্ঞান এবং তার সমালোচনা।”
কান্টের মতে, দর্শন মূলত জ্ঞানের প্রকৃতি, সীমা ও বৈধতা সম্পর্কে সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ। -
ফিক্টে বলেন, “দর্শন হলো জ্ঞান-বিজ্ঞান।”
তিনি দর্শনকে এমন এক বিজ্ঞান হিসেবে দেখেছেন, যা জ্ঞানের ভিত্তি ও কাঠামো বিশ্লেষণ করে। -
বার্ট্রান্ড রাসেল বলেন, “দর্শন হলো ধর্ম ও বিজ্ঞানের মধ্যবর্তী একটি অনধিকৃত প্রদেশ (No Man’s Land)।”
তাঁর মতে, দর্শন এমন এক ক্ষেত্র যা ধর্মের বিশ্বাসনির্ভরতা ও বিজ্ঞানের প্রমাণনির্ভরতার মাঝামাঝি অবস্থানে থেকে সত্যের সন্ধান করে।
অতএব, এই সংজ্ঞাগুলোর সারমর্ম হলো— দর্শন জ্ঞানের মূল প্রকৃতি, সত্য ও বাস্তবতার অনুসন্ধান; এটি মানবচেতনার যুক্তিনির্ভর ও সমালোচনামূলক অনুসন্ধানের এক অনিবার্য প্রকাশ।

0
Updated: 1 day ago
হিউমের মতে জ্ঞানের উৎস কী?
Created: 1 day ago
A
স্বজ্ঞা
B
প্রত্যাদেশ
C
প্রাধিকার
D
অভিজ্ঞতা
অভিজ্ঞতাবাদী দার্শনিক ডেভিড হিউম জ্ঞানতত্ত্বে এমন এক মতবাদ উপস্থাপন করেন যেখানে অভিজ্ঞতাকেই জ্ঞানের একমাত্র উৎস বলা হয়েছে। তাঁর মতে, মানুষের মস্তিষ্কে জন্মগত কোনো ধারণা বা জ্ঞান থাকে না; বরং সব জ্ঞানই আসে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য অভিজ্ঞতা থেকে।
হিউম মানুষের মানসিক উপাদানকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন—
-
Impressions (প্রতিভাস): সরাসরি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত তীব্র অনুভূতি বা অভিজ্ঞতা, যেমন দেখা, শোনা, স্পর্শ ইত্যাদি।
-
Ideas (ধারণা): এই অভিজ্ঞতার মৃদু বা পুনঃস্মরণিত রূপ, যা চিন্তা বা কল্পনা হিসেবে প্রকাশ পায়।
তাঁর মতে, ধারণা কখনোই অভিজ্ঞতার বাইরে থেকে আসে না, বরং সব ধারণাই ইন্দ্রিয়ানুভূতির ভিত্তিতে গঠিত। তাই হিউমের অভিজ্ঞতাবাদে বলা হয়— “জ্ঞানের উৎস হলো অভিজ্ঞতা।”

0
Updated: 1 day ago