চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর উদাহরণ হলো i) প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি; ii) সুশীল সমাজ; iii) শ্রমিক সংঘ:- কোনটি সঠিক?
A
i
B
i ও ii
C
ii ও iii
D
i, ii ও iii
উত্তরের বিবরণ
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী (Pressure Groups) হলো এমন গোষ্ঠী যারা সরকারের নীতি, আইন বা প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে, কিন্তু নিজেরা সরাসরি রাজনৈতিক ক্ষমতা গ্রহণ করে না। এরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কারণ তারা জনগণের বিভিন্ন শ্রেণি ও স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করে সরকারের নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়।
• কার্যপদ্ধতি: এ গোষ্ঠীগুলি সাধারণত আন্দোলন, গণস্বাক্ষর, লবিং, গণমাধ্যম প্রচারণা, মিছিল বা আলোচনার মাধ্যমে সরকার ও প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করে।
• রাজনৈতিক ভূমিকা: তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করেও রাজনৈতিক দল বা সরকারের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে নীতি প্রণয়নের পর্যায়ে।
• গণতান্ত্রিক গুরুত্ব: গণতন্ত্রে চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী নাগরিকদের মতামত প্রকাশের একটি কার্যকর মাধ্যম। তারা জনমতকে সংগঠিত করে এবং সরকারের নীতি জনগণের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে ভূমিকা রাখে।
• উদাহরণ:
-
প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি: শিক্ষা নীতি ও শিক্ষক কল্যাণ সংক্রান্ত দাবিতে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে।
-
সুশীল সমাজ: মানবাধিকার, দুর্নীতি দমন ও নীতি সংস্কারে সামাজিক সচেতনতা ও জনমত সৃষ্টি করে সরকারের ওপর প্রভাব ফেলে।
-
শ্রমিক সংঘ: শ্রম নীতি, বেতন, কর্মপরিবেশ ও শ্রম অধিকারের প্রশ্নে সরকার ও নিয়োগকর্তার ওপর চাপ সৃষ্টি করে।
• প্রভাব ও তাৎপর্য: চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী সরকারকে জবাবদিহিতার মধ্যে রাখে, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করে এবং নীতি নির্ধারণে জনগণের স্বার্থকে প্রতিফলিত করতে সাহায্য করে।

0
Updated: 1 day ago
'সার্বভৌমত্ব অবিভাজ্য' কার মতবাদ?
Created: 1 day ago
A
বোদ্যা
B
হবস
C
মার্কস
D
অস্টিন
জঁ বোদ্যা ছিলেন ১৬ শতকের একজন প্রখ্যাত ফরাসি রাজনৈতিক চিন্তাবিদ, যিনি সার্বভৌমত্বের তত্ত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি বলেন, সার্বভৌমত্ব হলো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতা, যা সম্পূর্ণ, অবিভাজ্য এবং চিরস্থায়ী। কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো ক্ষমতার দ্বারা এটি বিভক্ত করা যায় না। তাঁর মতে, রাষ্ট্রের ঐক্য ও কর্তৃত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে সার্বভৌমত্ব একক ও অখণ্ড থাকতে হবে।
• থমাস হবস সার্বভৌমত্বকে মূলত শক্তি বা ক্ষমতার ধারণা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ “লেভিয়াথান”-এ তিনি বলেছেন যে রাষ্ট্রের ক্ষমতা একক কর্তৃপক্ষের হাতে কেন্দ্রীভূত হওয়া উচিত। তবে তিনি বোদ্যার মতো স্পষ্টভাবে “অবিভাজ্য” শব্দটি ব্যবহার করেননি।
• কার্ল মার্কস রাষ্ট্রকে শ্রেণীসংগ্রামের একটি মাধ্যম হিসেবে দেখেছেন। তাঁর দৃষ্টিতে রাষ্ট্র হলো শাসক শ্রেণির হাতিয়ার, তাই সার্বভৌমত্বের অবিভাজ্যতার ধারণা তাঁর চিন্তায় প্রযোজ্য নয়।
• জন অস্টিন সার্বভৌমত্বকে আইনের দর্শনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি আইন প্রণেতার কর্তৃত্ব ও আদেশের বাধ্যতামূলক ক্ষমতা-র উপর জোর দিয়েছেন।
• বোদ্যা সার্বভৌমত্বকে শুধু রাজনৈতিক নয়, বরং রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা ও আইনি শৃঙ্খলার মূলভিত্তি হিসেবে দেখেছিলেন, যা পরবর্তী অনেক রাজনৈতিক চিন্তাবিদের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে।

0
Updated: 1 day ago
'Division of Work' মূলত কীসের সাথে সম্পর্কিত?
Created: 1 day ago
A
বিশেষীকরণ
B
সমন্নয়
C
বিকেন্দ্রীকরণ
D
নেতৃত্ব
Division of Work বা শ্রম বিভাজন হলো কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের কাজকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে বিভিন্ন ব্যক্তি বা দলের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করা। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতিটি কর্মী নির্দিষ্ট একটি কাজে মনোনিবেশ করতে পারে, যা কাজের গতি ও মান উন্নত করে। শ্রম বিভাজনের মূল উদ্দেশ্য হলো বিশেষীকরণের মাধ্যমে দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা, যাতে প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ কার্যকারিতা অর্জন করতে পারে।
• বিশেষীকরণ (Specialization): শ্রম বিভাজনের মাধ্যমে কর্মীরা নির্দিষ্ট ধরনের কাজ বারবার সম্পাদন করে সেই ক্ষেত্রে পারদর্শী হয়ে ওঠে। এর ফলে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ভুল কমে এবং গতি বৃদ্ধি পায়।
• দক্ষতা ও উৎপাদন বৃদ্ধি: একক কাজের উপর দীর্ঘমেয়াদি অভিজ্ঞতা কর্মীর কার্যক্ষমতা বাড়ায়, যা প্রতিষ্ঠানকে কম সময়ে বেশি ফলাফল অর্জনে সহায়তা করে।
• সমন্বয়ের ভূমিকা: শ্রম বিভাজনের ফলে কাজের অংশগুলো আলাদা হলেও, সেগুলোকে সঠিকভাবে সমন্বয় করা প্রয়োজন যাতে সব কার্যক্রম একটি সাধারণ লক্ষ্য অর্জনের দিকে এগোয়। তবে সমন্বয় শ্রম বিভাজনের মূল উদ্দেশ্য নয়, বরং এর ফলাফল কার্যকর করতে একটি অপরিহার্য ধাপ।
• বিকেন্দ্রীকরণ: এটি মূলত ক্ষমতার বণ্টন-এর সাথে সম্পর্কিত, যেখানে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বিভিন্ন স্তরে ভাগ করা হয়। কিন্তু এটি শ্রম বিভাজনের সরাসরি লক্ষ্য নয়।
• নেতৃত্ব: নেতৃত্ব ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ হলেও শ্রম বিভাজনের মূল উদ্দেশ্য নয়। শ্রম বিভাজনের লক্ষ্য হচ্ছে কাজকে এমনভাবে ভাগ করা যাতে প্রত্যেকে নিজের দায়িত্বে দক্ষ হয়ে সমষ্টিগত উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে।
• সার্বিক উদ্দেশ্য: শ্রম বিভাজনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান একটি সুশৃঙ্খল ও কার্যকর কাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়, যেখানে দক্ষতা, উৎপাদন ও মান একইসাথে বৃদ্ধি পায়।

0
Updated: 1 day ago
আমলাতন্ত্রের প্রধান কাজ কোনটি?
Created: 1 day ago
A
বিধি প্রণয়ন করা
B
রেগুলেশন প্রণয়ন করা
C
প্রবিধান প্রণয়ন করা
D
সরকার কর্তৃক প্রণীত আইন বাস্তবায়ন করা।
আমলাতন্ত্র রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যার মূল দায়িত্ব হলো সরকারের গৃহীত নীতি ও আইনসমূহ কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা। এটি মূলত একটি সংগঠিত ও নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থা, যেখানে কর্মকর্তারা নির্দিষ্ট নিয়ম, বিধি ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রশাসনিক কাজ সম্পাদন করেন।
• আমলাতন্ত্রের মূল উদ্দেশ্য হলো সরকারের নীতি বাস্তবায়ন, প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা এবং নাগরিকদের সেবা নিশ্চিত করা।
• আইন প্রণয়নের দায়িত্ব সংসদ বা আইন প্রণেতাদের—আমলাতন্ত্রের নয়।
• আমলাতন্ত্র প্রবিধান বা প্রশাসনিক নির্দেশনা প্রণয়ন করতে পারে, কিন্তু তা তাদের প্রধান দায়িত্ব নয়; এটি কেবল প্রশাসনিক কাজকে সহজ করার সহায়ক প্রক্রিয়া।
• নীতি নির্ধারণ ও আইন প্রণয়ন মূলত রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাজ; আমলাতন্ত্র কেবল সেই নীতি বাস্তবায়নের উপায় নির্ধারণ করে।
• আমলাতন্ত্রের প্রধান দায়িত্ব হলো সরকারের তৈরি আইন ও নীতিকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও নিয়মিতভাবে বাস্তবায়ন করা।
• কার্যকর আমলাতন্ত্রের মাধ্যমে রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বজায় থাকে এবং সরকারের কার্যক্রম জনগণের কাছে পৌঁছায়।
• এটি প্রশাসনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে এবং রাজনৈতিক পরিবর্তন হলেও রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বজায় রাখে।

0
Updated: 1 day ago